

বিডিজেন ডেস্ক

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবার খুললেও ১০টি শর্ত যুক্ত করেছে দেশটি এবং শর্তগুলোকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে ঢাকা। এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বেশির ভাগ শর্ত পূরণ করা সম্ভব নয়। এগুলো পূরণ করতে গেলে আবারও সিন্ডিকেট হবে।
খবর বার্তা সংস্থা ইউএনবির।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার হোটেল শেরাটনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় তৈরি ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্লাটফর্মের (ওইপি) উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অতীতে বহুবার জটিলতা ও সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে। ২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে একবার বন্ধ হওয়ার পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে ২০২২ সালে এটি আবার চালু হয়। কিন্তু সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশসহ অন্য কর্মী প্রেরণকারী দেশ (যেমন: ভারত, নেপাল, মিয়ানমার) থেকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
গত অক্টোবরের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠি দিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা যৌক্তিক করার জন্য ১০টি বাধ্যতামূলক মানদণ্ড নির্ধারণ করে। তাদের দাবি, এতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এই শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: কমপক্ষে ৫ বছর কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; বিগত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী পাঠানোর রেকর্ড থাকতে হবে; অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুটের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে; নিজস্ব প্রশিক্ষণ সুবিধা থাকতে হবে; মানবপাচার, জোরপূর্বক শ্রম, মানি লন্ডারিং বা অন্য কোনো অপরাধে সংশ্লিষ্ট না থাকার রেকর্ড থাকতে হবে।
বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠনসহ অনেকেই এই শর্তগুলোকে ‘অযৌক্তিক, অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক’ বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘মালয়েশিয়া থেকে যে ১০টা শর্ত দিয়েছে, কয়েকটা শর্তের ব্যাপারে আমরা শক্ত আপত্তি জানিয়েছি। আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কথা বলার পরে মালেশিয়াকে জানিয়েছি যে এসব শর্ত মিটআপ (পূরণ) করা সম্ভব না। কারণ এগুলো মিটআপ করতে গেলে এখানে আবার সিন্ডিকেট হবে। অল্প কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সি সুযোগ পাবে। এটি আমরা চাই না।’
তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া আশ্বাস দিয়েছে যে তারা এগুলো বিবেচনা করবে। শ্রমবাজার সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলাপ অব্যাহত রাখব।”
এর আগে, মাত্র ১০০টি সংস্থাকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, যা একটি সিন্ডিকেট নামে পরিচিত।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বাংলাদেশ সরকার, আইএলও এবং সুইজারল্যান্ড সরকারের যৌথ উদ্যোগে ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম (ওইপি) চালু করেন।
প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে তৈরি এই সমন্বিত জাতীয় ডিজিটাল গেটওয়েটি শ্রম অভিবাসন চক্রের সব গুরুত্বপূর্ণ অংশকে সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অভিবাসী কর্মী, নিয়োগ সংস্থা, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি), কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নিয়োগকর্তা, অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এবং প্রত্যাবর্তন ও পুনঃএকত্রীকরণ সেবা দানকারী।
এসব প্রতিষ্ঠান ও সেবাকে একটি প্ল্যাটফর্মে আনার মাধ্যমে ওইপি অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সেবা প্রদানের মান উন্নত করতে, মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা কমাতে এবং কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় হ্রাসে অবদান রাখবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে আগ্রহী অভিবাসীদের এসব সেবার জন্য ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে টাকা দিতে হতো। নতুন প্ল্যাটফর্মে এসব সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন দেইপাক এলমার, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স তুনন প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নিয়ামত উল্লাহ ভূইঁয়া।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবার খুললেও ১০টি শর্ত যুক্ত করেছে দেশটি এবং শর্তগুলোকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে ঢাকা। এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বেশির ভাগ শর্ত পূরণ করা সম্ভব নয়। এগুলো পূরণ করতে গেলে আবারও সিন্ডিকেট হবে।
খবর বার্তা সংস্থা ইউএনবির।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার হোটেল শেরাটনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় তৈরি ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্লাটফর্মের (ওইপি) উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অতীতে বহুবার জটিলতা ও সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে। ২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে একবার বন্ধ হওয়ার পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে ২০২২ সালে এটি আবার চালু হয়। কিন্তু সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশসহ অন্য কর্মী প্রেরণকারী দেশ (যেমন: ভারত, নেপাল, মিয়ানমার) থেকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
গত অক্টোবরের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠি দিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা যৌক্তিক করার জন্য ১০টি বাধ্যতামূলক মানদণ্ড নির্ধারণ করে। তাদের দাবি, এতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এই শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: কমপক্ষে ৫ বছর কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; বিগত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী পাঠানোর রেকর্ড থাকতে হবে; অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুটের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে; নিজস্ব প্রশিক্ষণ সুবিধা থাকতে হবে; মানবপাচার, জোরপূর্বক শ্রম, মানি লন্ডারিং বা অন্য কোনো অপরাধে সংশ্লিষ্ট না থাকার রেকর্ড থাকতে হবে।
বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠনসহ অনেকেই এই শর্তগুলোকে ‘অযৌক্তিক, অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক’ বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘মালয়েশিয়া থেকে যে ১০টা শর্ত দিয়েছে, কয়েকটা শর্তের ব্যাপারে আমরা শক্ত আপত্তি জানিয়েছি। আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কথা বলার পরে মালেশিয়াকে জানিয়েছি যে এসব শর্ত মিটআপ (পূরণ) করা সম্ভব না। কারণ এগুলো মিটআপ করতে গেলে এখানে আবার সিন্ডিকেট হবে। অল্প কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সি সুযোগ পাবে। এটি আমরা চাই না।’
তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া আশ্বাস দিয়েছে যে তারা এগুলো বিবেচনা করবে। শ্রমবাজার সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলাপ অব্যাহত রাখব।”
এর আগে, মাত্র ১০০টি সংস্থাকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, যা একটি সিন্ডিকেট নামে পরিচিত।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বাংলাদেশ সরকার, আইএলও এবং সুইজারল্যান্ড সরকারের যৌথ উদ্যোগে ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম (ওইপি) চালু করেন।
প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে তৈরি এই সমন্বিত জাতীয় ডিজিটাল গেটওয়েটি শ্রম অভিবাসন চক্রের সব গুরুত্বপূর্ণ অংশকে সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অভিবাসী কর্মী, নিয়োগ সংস্থা, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি), কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নিয়োগকর্তা, অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এবং প্রত্যাবর্তন ও পুনঃএকত্রীকরণ সেবা দানকারী।
এসব প্রতিষ্ঠান ও সেবাকে একটি প্ল্যাটফর্মে আনার মাধ্যমে ওইপি অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সেবা প্রদানের মান উন্নত করতে, মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা কমাতে এবং কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় হ্রাসে অবদান রাখবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে আগ্রহী অভিবাসীদের এসব সেবার জন্য ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে টাকা দিতে হতো। নতুন প্ল্যাটফর্মে এসব সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন দেইপাক এলমার, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স তুনন প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নিয়ামত উল্লাহ ভূইঁয়া।
প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘মালয়েশিয়া থেকে যে ১০টা শর্ত দিয়েছে, কয়েকটা শর্তের ব্যাপারে আমরা শক্ত আপত্তি জানিয়েছি। আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কথা বলার পরে মালেশিয়াকে জানিয়েছি যে এসব শর্ত মিটআপ (পূরণ) করা সম্ভব না। কারণ এগুলো মিটআপ করতে গেলে এখানে আবার সিন্ডিকেট হবে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সব সিস্টেম বললেন তাহলে গণভোটে সে [প্রবাসী] কীভাবে ভোট দেবে? গণভোটের ব্যাপারে প্রবাসীদের ভোট তাদের তো ব্যালট আলাদা, সিস্টেম আলাদা। একই সিস্টেমে কীভাবে তারা ঢুকবে?”
এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে বলে মনে করছে ইসি। সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, “তাদের (প্রবাসী) ভোট দেওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও বিস্তৃত আরও প্রতিনিধিত্বশীল ও শক্তিশালী হবে।”
ফেরত আসা বেশির ভাগ বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন বলে জানা যায়। তাদের অনেকেই সেখানে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।