বিডিজেন ডেস্ক
সুনামগঞ্জে টানা কয়েক দিনের রোদের কারণে হাওরের কৃষকেরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে গতি পেয়েছেন। গতকাল শনিবার ও আজ রোববার (২০ এপ্রিল) দিনের শুরু থেকে রোদ থাকায় বৃষ্টির আশঙ্কা কিছুটা কেটেছে, যা স্বস্তি দিচ্ছে কৃষকদের।
খবর প্রথম আলোর।
এর আগে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল সুনামগঞ্জে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি এবং আগাম বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়ে দ্রুত ধান কাটার নির্দেশ দেয়। সেই ঘোষণার পর হাওরের কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। অনেকে আতঙ্কে আধা পাকা ধানও কেটে ফেলেছেন।
তবে বাস্তবতা হলো, ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। বরং গতকাল ও আজ সুনামগঞ্জে প্রচণ্ড রোদ পড়েছে, যা ধান কাটার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করেছে। কৃষকেরা মাঠে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সুনামগঞ্জে চলতি মৌসুমে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৩ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। এর বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত প্রায় ৪৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুরের কৃষক আবদুল গণি জানান, তাঁর ২৬ বিঘার মধ্যে ১৪ বিঘার ধান কাটা শেষ হলেও বাকি জমির ধান পুরোপুরি পাকেনি। কৃষক ইসমাইল আলী বলেন, ‘ধান পাকছে না, কাটতে বলতেছে। আমরা সব বুঝি, তারা নিজের স্বার্থের জন্য কয়।’
‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর ওবায়দুল হক বলেন, এখানে দুটি বিষয় আছে, একটা হলো হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ, অন্যটি হারভেস্টর ব্যবসা। বৃষ্টি হলে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, উজানের ঢল নামবে, তাই যত দ্রুত সম্ভব পাকা, আধা পাকা ধান কাটানোর চেষ্টায় পরিকল্পিতভাবে এই প্রচারণা চালানো হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, বৃষ্টি হলে জমিতে কিছু কাদাপানি জমে, এতে হারভেস্টর চালাতে সমস্যা হয়, তাই জমি শুকনা থাকতেই ধান কাটানোর ফন্দি আছে তাদেরও।
ওবায়দুল হক বলেন, ‘আমরা কৃষকদের তখন বার্তা দিয়েছি, বলেছি এসব প্রচারে আতঙ্কিত ও বিভ্রান্ত হয়ে কোনো অবস্থাতেই যেন কাঁচা ধান না কাটেন। তবুও কিছু কিছু কৃষক ভয়ে আধা পাকা ধান কেটেছেন। এটা এবার নতুন নয়, এর আগেও হয়েছে।’
হাওরের কৃষকেরা জানিয়েছেন, এবার এখন পর্যন্ত অন্য বছরের তুলনায় হাওরের পরিস্থিতি ও আবহাওয়া ভালো আছে। আর ১৫ দিন পাওয়া গেলে হাওরে সব ধান গোলায় তুলতে পারবেন তারা। এখন হাওরের নিচু অংশে ধান কাটা চলছে। পরে কাটা হবে ওপরের অংশে। ওপরের অংশের ধান তুলনামূলক কম ঝুঁকিতে থাকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, এবার সুনামগঞ্জে অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কবল থেকে বোরো ফসল রক্ষায় জেলার ৫০টি হাওরে ৬৮৭টি প্রকল্পে ৫৯৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রাক্কলন ছিল ১২৭ কোটি টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, হাওরের পরিস্থিতি এখনো ভালো, কৃষকেরা নির্বিঘ্নে ধান কাটা, মাড়াই ও গোলায় তোলার কাজ করছেন। আগামী ৫ মে পর্যন্ত হাওরে ধান কাটা চলবে।
সূত্র: প্রথম আলো
সুনামগঞ্জে টানা কয়েক দিনের রোদের কারণে হাওরের কৃষকেরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে গতি পেয়েছেন। গতকাল শনিবার ও আজ রোববার (২০ এপ্রিল) দিনের শুরু থেকে রোদ থাকায় বৃষ্টির আশঙ্কা কিছুটা কেটেছে, যা স্বস্তি দিচ্ছে কৃষকদের।
খবর প্রথম আলোর।
এর আগে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল সুনামগঞ্জে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি এবং আগাম বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়ে দ্রুত ধান কাটার নির্দেশ দেয়। সেই ঘোষণার পর হাওরের কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। অনেকে আতঙ্কে আধা পাকা ধানও কেটে ফেলেছেন।
তবে বাস্তবতা হলো, ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। বরং গতকাল ও আজ সুনামগঞ্জে প্রচণ্ড রোদ পড়েছে, যা ধান কাটার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করেছে। কৃষকেরা মাঠে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সুনামগঞ্জে চলতি মৌসুমে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৩ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। এর বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত প্রায় ৪৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুরের কৃষক আবদুল গণি জানান, তাঁর ২৬ বিঘার মধ্যে ১৪ বিঘার ধান কাটা শেষ হলেও বাকি জমির ধান পুরোপুরি পাকেনি। কৃষক ইসমাইল আলী বলেন, ‘ধান পাকছে না, কাটতে বলতেছে। আমরা সব বুঝি, তারা নিজের স্বার্থের জন্য কয়।’
‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর ওবায়দুল হক বলেন, এখানে দুটি বিষয় আছে, একটা হলো হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ, অন্যটি হারভেস্টর ব্যবসা। বৃষ্টি হলে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, উজানের ঢল নামবে, তাই যত দ্রুত সম্ভব পাকা, আধা পাকা ধান কাটানোর চেষ্টায় পরিকল্পিতভাবে এই প্রচারণা চালানো হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, বৃষ্টি হলে জমিতে কিছু কাদাপানি জমে, এতে হারভেস্টর চালাতে সমস্যা হয়, তাই জমি শুকনা থাকতেই ধান কাটানোর ফন্দি আছে তাদেরও।
ওবায়দুল হক বলেন, ‘আমরা কৃষকদের তখন বার্তা দিয়েছি, বলেছি এসব প্রচারে আতঙ্কিত ও বিভ্রান্ত হয়ে কোনো অবস্থাতেই যেন কাঁচা ধান না কাটেন। তবুও কিছু কিছু কৃষক ভয়ে আধা পাকা ধান কেটেছেন। এটা এবার নতুন নয়, এর আগেও হয়েছে।’
হাওরের কৃষকেরা জানিয়েছেন, এবার এখন পর্যন্ত অন্য বছরের তুলনায় হাওরের পরিস্থিতি ও আবহাওয়া ভালো আছে। আর ১৫ দিন পাওয়া গেলে হাওরে সব ধান গোলায় তুলতে পারবেন তারা। এখন হাওরের নিচু অংশে ধান কাটা চলছে। পরে কাটা হবে ওপরের অংশে। ওপরের অংশের ধান তুলনামূলক কম ঝুঁকিতে থাকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, এবার সুনামগঞ্জে অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কবল থেকে বোরো ফসল রক্ষায় জেলার ৫০টি হাওরে ৬৮৭টি প্রকল্পে ৫৯৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রাক্কলন ছিল ১২৭ কোটি টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, হাওরের পরিস্থিতি এখনো ভালো, কৃষকেরা নির্বিঘ্নে ধান কাটা, মাড়াই ও গোলায় তোলার কাজ করছেন। আগামী ৫ মে পর্যন্ত হাওরে ধান কাটা চলবে।
সূত্র: প্রথম আলো
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, 'কখন আপনার সংস্কার শেষ হবে, কখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটা জনগণ জানতে চায়।'
আওয়ামী লীগের দোসর নয়, হয়তো সমর্থন করে, এমন ব্যক্তিকে দলের সদস্য করতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরের ফেরিঘাট এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে দুই সৌদি আরব প্রবাসীকে অপহরণের পর ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের শিকার প্রবাসীরা হলেন—জমিস শেখ ও সুজন খান।
ক্ষুদ্রঋণের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তরুণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ জন্য তিনি ‘মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি’ আইন প্রণয়নেরও প্রস্তাব দিয়েছেন।