প্রতিবেদক, বিডিজেন
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনাকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুক বাংলাদেশকে ‘প্রতিশোধের চক্র; থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (৫ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক আলোচনায় বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভ–সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন নিয়ে এক আলোচনায় ফলকার টুক এই তাগিদ দেন। তিনি এদিন ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। পরে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা এবং মানবাধিকার রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে টুক বলেন, বাংলাদেশের সামনে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে তার অতীত মোকাবিলা করে সত্য উদঘাটন এবং ক্ষত নিরাময় করার।
‘দেশের যে প্রতিশোধের চক্র আমরা অতীতে দেখেছি, সেটা থেকে বেরিয়ে আসার এটা আসলেই একটা ঐতিহাসিক সুযোগ।…জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার, আস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করার’, বলেন তিনি।
ফলকার টুক ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত রিপোর্টের সারমর্ম উল্লেখ করে বলেন, তাদের বিশ্বাস সাবেক সরকারের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং সাবেক ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সহিংস ব্যক্তিরা গুরুতর, সংগঠিত এবং নিয়মমাফিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে ছিল শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বেআইনিভাবে আটক ও নির্যাতন।
তবে টুক বলেন, ৫ আগস্টের পর প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ডও তারা নথিভুক্ত করেছেন।
‘প্রতিবাদ বিক্ষোভ শেষ হবার পর, সাবেক ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক, পুলিশ কর্মকর্তা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীসহ সংখ্যালঘুদের ওপর গুরুতর প্রতিশোধের ঘটনা আমরা নথিভুক্ত করেছি,’ তিনি বলেন।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার সদস্য রাষ্ট্র এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের রিপোর্টের তথ্য এবং সুপারিশ নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকটি হয়, যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে জবাবদিহিতা, ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার সংক্রান্ত সংস্কার এগিয়ে নেওয়া।
'মুসলিম বেশি, সংখ্যালঘু কম'
আলোচনার এক পর্যায়ে, জাম্বিয়ার এক কর্মকর্তা বলেন তাঁর মতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণকে ‘প্রতিশোধ’ বলা ঠিক হবে না। তিনি বলেন মব সংগঠিত করে সহিংসতা চালানো হয়েছে।
এই মন্তব্যের জবাবে প্যানেল সদস্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও বিচার উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন, যারা বছরের পর বছর ‘নির্যাতন করেছে, হত্যা করেছে,’ তাদের বিরুদ্ধে কিছু সহিংসতা হয়েছে।
‘কিছুসংখ্যক লোক, যারা আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিল, তাদের আক্রমণ করা হয়েছে, সেরকম কিছু ঘটনা ঘটেছে,’ নজরুল বলেন। ‘এবং আমরা শক্তভাবে সেটার নিন্দা করেছি।’
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কতজন আওয়ামী লীগ সমর্থক নিহত হয়েছে, তার কোনো সরকারি পরিসংখ্যান নেই। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে আন্দোলনের সময় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
তবে আইন উপদেষ্টা বলেন, যারা নিহত হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই মুসলিম এবং সংখ্যালঘুর সংখ্যা খুবই কম।
‘কাজেই, আপনি যদি এটাকে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করেন, তাহলে আমি আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করব,’ তিনি বলেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, ফৌজদারি মামলা আইনসম্মত প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা এবং সংখ্যালঘুসহ সকল প্রতিশোধমূলক সহিংসতা তদন্ত করা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনাকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুক বাংলাদেশকে ‘প্রতিশোধের চক্র; থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (৫ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক আলোচনায় বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভ–সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন নিয়ে এক আলোচনায় ফলকার টুক এই তাগিদ দেন। তিনি এদিন ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। পরে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা এবং মানবাধিকার রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে টুক বলেন, বাংলাদেশের সামনে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে তার অতীত মোকাবিলা করে সত্য উদঘাটন এবং ক্ষত নিরাময় করার।
‘দেশের যে প্রতিশোধের চক্র আমরা অতীতে দেখেছি, সেটা থেকে বেরিয়ে আসার এটা আসলেই একটা ঐতিহাসিক সুযোগ।…জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার, আস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করার’, বলেন তিনি।
ফলকার টুক ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত রিপোর্টের সারমর্ম উল্লেখ করে বলেন, তাদের বিশ্বাস সাবেক সরকারের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং সাবেক ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সহিংস ব্যক্তিরা গুরুতর, সংগঠিত এবং নিয়মমাফিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে ছিল শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বেআইনিভাবে আটক ও নির্যাতন।
তবে টুক বলেন, ৫ আগস্টের পর প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ডও তারা নথিভুক্ত করেছেন।
‘প্রতিবাদ বিক্ষোভ শেষ হবার পর, সাবেক ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক, পুলিশ কর্মকর্তা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীসহ সংখ্যালঘুদের ওপর গুরুতর প্রতিশোধের ঘটনা আমরা নথিভুক্ত করেছি,’ তিনি বলেন।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার সদস্য রাষ্ট্র এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের রিপোর্টের তথ্য এবং সুপারিশ নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকটি হয়, যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে জবাবদিহিতা, ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার সংক্রান্ত সংস্কার এগিয়ে নেওয়া।
'মুসলিম বেশি, সংখ্যালঘু কম'
আলোচনার এক পর্যায়ে, জাম্বিয়ার এক কর্মকর্তা বলেন তাঁর মতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণকে ‘প্রতিশোধ’ বলা ঠিক হবে না। তিনি বলেন মব সংগঠিত করে সহিংসতা চালানো হয়েছে।
এই মন্তব্যের জবাবে প্যানেল সদস্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও বিচার উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন, যারা বছরের পর বছর ‘নির্যাতন করেছে, হত্যা করেছে,’ তাদের বিরুদ্ধে কিছু সহিংসতা হয়েছে।
‘কিছুসংখ্যক লোক, যারা আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিল, তাদের আক্রমণ করা হয়েছে, সেরকম কিছু ঘটনা ঘটেছে,’ নজরুল বলেন। ‘এবং আমরা শক্তভাবে সেটার নিন্দা করেছি।’
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কতজন আওয়ামী লীগ সমর্থক নিহত হয়েছে, তার কোনো সরকারি পরিসংখ্যান নেই। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে আন্দোলনের সময় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
তবে আইন উপদেষ্টা বলেন, যারা নিহত হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই মুসলিম এবং সংখ্যালঘুর সংখ্যা খুবই কম।
‘কাজেই, আপনি যদি এটাকে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করেন, তাহলে আমি আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করব,’ তিনি বলেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, ফৌজদারি মামলা আইনসম্মত প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা এবং সংখ্যালঘুসহ সকল প্রতিশোধমূলক সহিংসতা তদন্ত করা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে।
নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিককল্যাণ পরিদপ্তরের বিভিন্ন পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১১৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরিদপ্তরের উপপরিচালক মিঠু ভৌমিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মোবাইল ফোন নিয়ে বিতণ্ডার ঘটনায় নিখোঁজের দুই দিন পর ডোবা থেকে সামছুল হক (৩৬) নামের এক প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার স্বল্পেরচক এলাকার একটি পুকুর থেকে রোববার (১৩ অক্টোবর) লাশটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।