সুজনের গোলটেবিল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন বলেছেন, ভালো নির্বাচন হলে স্বৈরশাসক আসবে না, এমন গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, জবাবদিহি না থাকলেই স্বৈরশাসকের উত্থান হয়। ভালো নির্বাচনের পরও স্বৈরশাসক বনে যাওয়ার উদাহরণ আগেও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সহযোগিতায় দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এতে লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
লিখিত প্রবন্ধে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, আগে রাষ্ট্র সংস্কার, না আগে নির্বাচন, এই বিতর্কে না গিয়ে সংস্কার ও নির্বাচন ভাবনাকে কয়েকটি ধাপে ভাবা যেতে পারে। প্রথমত, সংস্কার কমিশনগুলো কর্তৃক অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ; দ্বিতীয়ত, অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক অংশীজনদের সাথে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনাক্রমে সংস্কারের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ; তৃতীয়ত, কোন সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তী সরকার করবে এবং কোন সংস্কারগুলো নির্বাচিত সরকার করবে তা নির্ধারণ; চতুর্থত, অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ারভুক্ত সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি; পঞ্চমত, নির্বাচিত সরকার কর্তৃক কোন সংস্কারগুলোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর–যাতে যেদল সরকার গঠন করবে তারা যেন সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় এবং বিরোধীদলগুলোও যেন তাতে সমর্থন দিতে বাধ্য থাকে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের আগে যেমন সংস্কার প্রয়োজন, নির্বাচনের পরেও তা চলমান রাখতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সুজনের সহসভাপতি বিচারপতি এম এ মতিন।
উপস্থিত ছিলেন ড. আব্দুল আওয়াল মজুমদার, মাহাবুব কামাল, সোহরাব হাসান, এস এম শফিকুল ইসলাম কানুসহ সুজনের নেতৃবৃন্দ।
বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, একটি সফল বিপ্লবের পর আগামী সময়ে রাষ্ট্রের কী মেরামত লাগবে এ ব্যাপারে সুজন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে এটাই স্বাভাবিক। এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। তাই নির্বাচনে যাওয়ার আগে কিছু জরুরি সংস্কার করা দরকার।
এস এম শফিকুল ইসলাম কানু বলেন, রাজনীতিবিদরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেন, অথচ সাধারণ মানুষ সামান্য চিকিৎসা সেবাও পান না। দেশের এ পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে হলে সাধারণ মানুষকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে।
সোহরাব হাসান বলেন, ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্য বদলের চিন্তা করতে হবে। এটাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ৫৩ বছর ধরে রাষ্ট্র এটি করেনি। এতগুলো জীবনের বিনিময়ে এখনো বৈষম্যবিরোধী সমাজ পাচ্ছি। গতকাল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিয়ে যে ঘটনা ঘটলো এটা কাম্য ছিল না। সরকার আহতদের প্রতি ন্যায় বিচার করেনি। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করেনি। এখন পর্যন্ত নিহতদের তালিকাও করা হয়নি। ৫ আগস্টের পর সব অবিচার বন্ধ হয়ে যায়নি। অবিচারের প্রতিবাদ এখনো করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন বলেছেন, ভালো নির্বাচন হলে স্বৈরশাসক আসবে না, এমন গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, জবাবদিহি না থাকলেই স্বৈরশাসকের উত্থান হয়। ভালো নির্বাচনের পরও স্বৈরশাসক বনে যাওয়ার উদাহরণ আগেও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সহযোগিতায় দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এতে লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
লিখিত প্রবন্ধে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, আগে রাষ্ট্র সংস্কার, না আগে নির্বাচন, এই বিতর্কে না গিয়ে সংস্কার ও নির্বাচন ভাবনাকে কয়েকটি ধাপে ভাবা যেতে পারে। প্রথমত, সংস্কার কমিশনগুলো কর্তৃক অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ; দ্বিতীয়ত, অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক অংশীজনদের সাথে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনাক্রমে সংস্কারের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ; তৃতীয়ত, কোন সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তী সরকার করবে এবং কোন সংস্কারগুলো নির্বাচিত সরকার করবে তা নির্ধারণ; চতুর্থত, অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ারভুক্ত সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি; পঞ্চমত, নির্বাচিত সরকার কর্তৃক কোন সংস্কারগুলোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর–যাতে যেদল সরকার গঠন করবে তারা যেন সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় এবং বিরোধীদলগুলোও যেন তাতে সমর্থন দিতে বাধ্য থাকে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের আগে যেমন সংস্কার প্রয়োজন, নির্বাচনের পরেও তা চলমান রাখতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সুজনের সহসভাপতি বিচারপতি এম এ মতিন।
উপস্থিত ছিলেন ড. আব্দুল আওয়াল মজুমদার, মাহাবুব কামাল, সোহরাব হাসান, এস এম শফিকুল ইসলাম কানুসহ সুজনের নেতৃবৃন্দ।
বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, একটি সফল বিপ্লবের পর আগামী সময়ে রাষ্ট্রের কী মেরামত লাগবে এ ব্যাপারে সুজন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে এটাই স্বাভাবিক। এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। তাই নির্বাচনে যাওয়ার আগে কিছু জরুরি সংস্কার করা দরকার।
এস এম শফিকুল ইসলাম কানু বলেন, রাজনীতিবিদরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেন, অথচ সাধারণ মানুষ সামান্য চিকিৎসা সেবাও পান না। দেশের এ পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে হলে সাধারণ মানুষকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে।
সোহরাব হাসান বলেন, ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্য বদলের চিন্তা করতে হবে। এটাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ৫৩ বছর ধরে রাষ্ট্র এটি করেনি। এতগুলো জীবনের বিনিময়ে এখনো বৈষম্যবিরোধী সমাজ পাচ্ছি। গতকাল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিয়ে যে ঘটনা ঘটলো এটা কাম্য ছিল না। সরকার আহতদের প্রতি ন্যায় বিচার করেনি। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করেনি। এখন পর্যন্ত নিহতদের তালিকাও করা হয়নি। ৫ আগস্টের পর সব অবিচার বন্ধ হয়ে যায়নি। অবিচারের প্রতিবাদ এখনো করতে হবে।
যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
কথাসাহিত্যিক ও গবেষক সিরাজুল ইসলাম মুনির সমকালীন বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে সুপরিচিত নাম। তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির সমৃদ্ধ বহুমাত্রিকতা সৃষ্টি করেছে শক্তিশালী স্বতন্ত্র অবস্থান। সাবলীল শব্দ ব্যঞ্জনার প্রকাশে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন, দেশাত্মবোধ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন মাত্রাকে।