প্রতিবেদক, বিডিজেন
ঢালিউড চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। কাজের চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে থাকেন আলোচনার কেন্দ্রে। এক দশকের অভিনয়জীবনে কাজের চেয়ে ব্যক্তিজীবনের নানা ইস্যুতে আলোচনায় এসেছেন পরীমনি। এসব ইস্যু নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ পরীমনি তাঁর ফেসবুকে শেয়ারও করেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে তিনি ফেসবুক পোস্টে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত নিয়ে যেন আর টানাটানি না করা হয়। তাঁর উপলব্ধির কথা জানাতে গিয়ে লিখেছেন, কর্মের চেয়ে তাঁর জীবনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন।
শাহ আলম মণ্ডলের ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্র দিয়ে ২০১৫ সালে বড় পর্দায় পথচলা শুরু পরীমনির। এ ছবিতে তাঁর বিপরীতে নায়ক ছিলেন জায়েদ খান। তবে চলচ্চিত্রের আগে পরীমনি নাটকেও অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ এ তারকার ‘ফেলুবক্সী’ নামে একটি চলচ্চিত্র কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে।
বরাবরই কাজের বাইরে জীবনের নানা ঘটনায় আলোচনায় থাকেন তিনি। সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তরুণ গায়ক শেখ সাদীর জামিনদার হওয়াকে ঘিরে পরীমনির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
এসব নিয়ে যখন আলোচনা চলছিল, ঠিক তখনই ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন পরীমনি। সেখানে পরীমনি নিজেই নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন। জানিয়েছেন নিজের উপলব্ধির কথাও।
পরীমনির ফেসবুক পোস্টে দেখা গেছে তিনি এখন সিঙ্গাপুরে। ছেলেকে নিয়ে একাধিক স্থিরচিত্রও পোস্ট করেছেন। পরীমনি নিজেকে প্রশ্ন করার কারণ হিসেবে লিখেছেন, ‘কোনো এক কারণে নিজেকে নিজের মতো করে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করল আমার। নিজের সঙ্গে কথোপকথন হলো খুব। নিজেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করলাম সব কটিই।’
এরপর প্রশ্নগুলো তুলে ধরে পরী লিখেছেন—
১. পরী, আপনি কর্মজীবনে কী এমন কাজ করেছেন বলে মনে করেন, যার জন্য সাধারণ জনগণের আপনাকে নিয়ে এত মাতামাতি বা পাশাপাশি গণমাধ্যমে আপনাকে নিয়ে এত সম্প্রচার কেন হয় বলে মনে করেন?
২. আপনার কাজের চেয়ে লোকে আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে কেন পছন্দ করে?
৩. আপনার আগের জেনারেশন থেকেও যদি আরও একটু আগে চলে যাই, যেমন শাবানা, ববিতা, কবরী, রোজিনাদের আমলে কি তাঁরা তাঁদের কাজ নিয়ে যতটা ফোকাসে থাকতেন, ততটা কি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফোকাসে থাকতেন? নিজেকে থামিয়ে দিলাম এ রকম হাজারো প্রশ্ন থেকে।
পরীমনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘জীবনে কখনো কখনো নিজের কর্মের অবস্থানের চেয়ে খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়ে ওই জীবনটা। প্রত্যেকটা জীবনের অধিকার আছে সুন্দর করে বেঁচে থাকার। আমার প্রথম অনুরোধ, প্লিজ এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে। আমার কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি করবেন না আল্লাহর ওয়াস্তে। বিশ্বাস করেন, এখানে আমার জীবনটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন। আমার সফল ক্যারিয়ারের চেয়েও জরুরি আমার সুস্থ জীবনযাপনের। কারণ, আমার বাচ্চাদের আমি একটা সুন্দর সুস্থ জীবন দিতে চাই। আমি আমার বাচ্চাদের মা, একমাত্র অভিভাবক হয়ে আমি তার সর্বোচ্চটা দিতে চাই—যেমন করে হয়তো সব মা–ই চায়!’
পোস্টের সব শেষে পরীমনি লিখেছেন, ‘গত তিন-চারটা মাস আমি আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছি। কেন বা কী জন্য সেটার বর্ণনা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে ধরে নিচ্ছি। আমি নায়িকা, আমি মেয়ে, সবকিছু ছাড়িয়ে আমি মানুষ। আমি এই পৃথিবীর সব মানুষের কাছে প্রার্থনা করছি, হে মানুষ, হে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ, তোমরা আমার ওপর এবার একটু রহম করো। আগে আমি সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব ...।’
আরও পড়ুন
ঢালিউড চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। কাজের চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে থাকেন আলোচনার কেন্দ্রে। এক দশকের অভিনয়জীবনে কাজের চেয়ে ব্যক্তিজীবনের নানা ইস্যুতে আলোচনায় এসেছেন পরীমনি। এসব ইস্যু নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ পরীমনি তাঁর ফেসবুকে শেয়ারও করেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে তিনি ফেসবুক পোস্টে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত নিয়ে যেন আর টানাটানি না করা হয়। তাঁর উপলব্ধির কথা জানাতে গিয়ে লিখেছেন, কর্মের চেয়ে তাঁর জীবনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন।
শাহ আলম মণ্ডলের ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্র দিয়ে ২০১৫ সালে বড় পর্দায় পথচলা শুরু পরীমনির। এ ছবিতে তাঁর বিপরীতে নায়ক ছিলেন জায়েদ খান। তবে চলচ্চিত্রের আগে পরীমনি নাটকেও অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ এ তারকার ‘ফেলুবক্সী’ নামে একটি চলচ্চিত্র কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে।
বরাবরই কাজের বাইরে জীবনের নানা ঘটনায় আলোচনায় থাকেন তিনি। সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তরুণ গায়ক শেখ সাদীর জামিনদার হওয়াকে ঘিরে পরীমনির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
এসব নিয়ে যখন আলোচনা চলছিল, ঠিক তখনই ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন পরীমনি। সেখানে পরীমনি নিজেই নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন। জানিয়েছেন নিজের উপলব্ধির কথাও।
পরীমনির ফেসবুক পোস্টে দেখা গেছে তিনি এখন সিঙ্গাপুরে। ছেলেকে নিয়ে একাধিক স্থিরচিত্রও পোস্ট করেছেন। পরীমনি নিজেকে প্রশ্ন করার কারণ হিসেবে লিখেছেন, ‘কোনো এক কারণে নিজেকে নিজের মতো করে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করল আমার। নিজের সঙ্গে কথোপকথন হলো খুব। নিজেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করলাম সব কটিই।’
এরপর প্রশ্নগুলো তুলে ধরে পরী লিখেছেন—
১. পরী, আপনি কর্মজীবনে কী এমন কাজ করেছেন বলে মনে করেন, যার জন্য সাধারণ জনগণের আপনাকে নিয়ে এত মাতামাতি বা পাশাপাশি গণমাধ্যমে আপনাকে নিয়ে এত সম্প্রচার কেন হয় বলে মনে করেন?
২. আপনার কাজের চেয়ে লোকে আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে কেন পছন্দ করে?
৩. আপনার আগের জেনারেশন থেকেও যদি আরও একটু আগে চলে যাই, যেমন শাবানা, ববিতা, কবরী, রোজিনাদের আমলে কি তাঁরা তাঁদের কাজ নিয়ে যতটা ফোকাসে থাকতেন, ততটা কি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফোকাসে থাকতেন? নিজেকে থামিয়ে দিলাম এ রকম হাজারো প্রশ্ন থেকে।
পরীমনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘জীবনে কখনো কখনো নিজের কর্মের অবস্থানের চেয়ে খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়ে ওই জীবনটা। প্রত্যেকটা জীবনের অধিকার আছে সুন্দর করে বেঁচে থাকার। আমার প্রথম অনুরোধ, প্লিজ এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে। আমার কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি করবেন না আল্লাহর ওয়াস্তে। বিশ্বাস করেন, এখানে আমার জীবনটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন। আমার সফল ক্যারিয়ারের চেয়েও জরুরি আমার সুস্থ জীবনযাপনের। কারণ, আমার বাচ্চাদের আমি একটা সুন্দর সুস্থ জীবন দিতে চাই। আমি আমার বাচ্চাদের মা, একমাত্র অভিভাবক হয়ে আমি তার সর্বোচ্চটা দিতে চাই—যেমন করে হয়তো সব মা–ই চায়!’
পোস্টের সব শেষে পরীমনি লিখেছেন, ‘গত তিন-চারটা মাস আমি আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছি। কেন বা কী জন্য সেটার বর্ণনা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে ধরে নিচ্ছি। আমি নায়িকা, আমি মেয়ে, সবকিছু ছাড়িয়ে আমি মানুষ। আমি এই পৃথিবীর সব মানুষের কাছে প্রার্থনা করছি, হে মানুষ, হে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ, তোমরা আমার ওপর এবার একটু রহম করো। আগে আমি সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব ...।’
আরও পড়ুন
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা করা নির্বাচনের সময়সমীনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।
ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব, সেটাই জাতির জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব, সেটি হলে তা জাতির জন্য ভালো হবে।