প্রতিবেদক, বিডিজেন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এপ্রিলের মাঝামাঝি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়া ভালো আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ৮ বছর পরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন খালেদা জিয়া। এ বিষয়টা আমাদের জন্য আনন্দের।
আজ রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) সম্ভবত যতটুকু শুনেছি আমি, ফাইনাল নিশ্চিত না... এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে ফিরবেন।’
সংবাদ সম্মেলেন খালেদা জিয়ার কারাগারজীবন প্রসঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের লিভার সিরোসিস হয়েছে জেলখানার মধ্যে। সেখানে তাঁর কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি যে কারগারে তাঁকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে। এটা যদি ম্যাডামকে জিজ্ঞাসা করেন, উনি বলবেন না। কারণ, উনি সেই ধরনের মানুষ নন...একবারের জন্য বলবেন না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল, সেই ঘরটা ছিল স্যাঁতসেঁতে, সমস্ত দেয়ালের আস্তর ভেঙে ভেঙে পড়ছিল এবং ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি করত...এ রকম অবস্থা ফেস করেছেন আমাদের ম্যাডাম। এরপরও...আমি বেশি বলতে চাই না যে কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করতেই হইবে যে সে মরে নাই। এখন নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে।’
গত ৮ জানুয়ারি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পৌঁছান, হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’-এ ভর্তি করা হয়। ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এই হাসপাতালের অধ্যাপক জন প্যাট্টিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে। এরপর লন্ডন ক্লিনিকে তাঁর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
এদিকে লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আপনজনকে নিয়ে ঈদের দিনটি একান্তে কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূ (ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান), আছেন তিন নাতনি (ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাফিয়া রহমান, জাহিয়া রহমান)। ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) ঘিরে ঈদের সব আয়োজন তাঁরাই সাজিয়েছেন। কারণ দীর্ঘ বছর পর ম্যাডাম তাঁর আপনজনদের সঙ্গে ঈদ করছেন।’
খালেদা জিয়ার লন্ডনে এটি তৃতীয় ঈদ উদ্যাপন। এবার দশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ঈদ পালন করছেন। এর আগে ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে ছেলের বাসায় ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেছিলেন। এরও আগে এক-এগারোর পরে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ৮ বছর পর লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করেছিলেন।
২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। করোনা সময়কালে সরকার তাঁকে বিশেষ কারামুক্তি দেয়। কারাবন্দী অবস্থায় চারটি ঈদে কেটেছে কারাগার ও হাসপাতালে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এপ্রিলের মাঝামাঝি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়া ভালো আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ৮ বছর পরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন খালেদা জিয়া। এ বিষয়টা আমাদের জন্য আনন্দের।
আজ রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) সম্ভবত যতটুকু শুনেছি আমি, ফাইনাল নিশ্চিত না... এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে ফিরবেন।’
সংবাদ সম্মেলেন খালেদা জিয়ার কারাগারজীবন প্রসঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের লিভার সিরোসিস হয়েছে জেলখানার মধ্যে। সেখানে তাঁর কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি যে কারগারে তাঁকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে। এটা যদি ম্যাডামকে জিজ্ঞাসা করেন, উনি বলবেন না। কারণ, উনি সেই ধরনের মানুষ নন...একবারের জন্য বলবেন না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল, সেই ঘরটা ছিল স্যাঁতসেঁতে, সমস্ত দেয়ালের আস্তর ভেঙে ভেঙে পড়ছিল এবং ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি করত...এ রকম অবস্থা ফেস করেছেন আমাদের ম্যাডাম। এরপরও...আমি বেশি বলতে চাই না যে কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করতেই হইবে যে সে মরে নাই। এখন নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে।’
গত ৮ জানুয়ারি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পৌঁছান, হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’-এ ভর্তি করা হয়। ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এই হাসপাতালের অধ্যাপক জন প্যাট্টিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে। এরপর লন্ডন ক্লিনিকে তাঁর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
এদিকে লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আপনজনকে নিয়ে ঈদের দিনটি একান্তে কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূ (ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান), আছেন তিন নাতনি (ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাফিয়া রহমান, জাহিয়া রহমান)। ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) ঘিরে ঈদের সব আয়োজন তাঁরাই সাজিয়েছেন। কারণ দীর্ঘ বছর পর ম্যাডাম তাঁর আপনজনদের সঙ্গে ঈদ করছেন।’
খালেদা জিয়ার লন্ডনে এটি তৃতীয় ঈদ উদ্যাপন। এবার দশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ঈদ পালন করছেন। এর আগে ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে ছেলের বাসায় ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেছিলেন। এরও আগে এক-এগারোর পরে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ৮ বছর পর লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করেছিলেন।
২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। করোনা সময়কালে সরকার তাঁকে বিশেষ কারামুক্তি দেয়। কারাবন্দী অবস্থায় চারটি ঈদে কেটেছে কারাগার ও হাসপাতালে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।