বিডিজেন ডেস্ক
২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা সাম্প্রদায়িক ছিল না বলে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গ্যারি পিটার্সকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানী ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে সিনেটর পিটার্স বলেন, ‘মিশিগানে, বিশেষত ডেট্রয়ট শহরে, অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিনেটর বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। এই ভুল তথ্যের কিছু অংশ আমেরিকাতেও পৌঁছেছে, যা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।’
এ সময় অধ্যাপক ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, ‘ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ বা পরিচয় যা-ই হোক না কেন, সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর সংখ্যালঘুদের, বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা হয়েছিল, তা ধর্মীয় কারণে নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। তবে সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা সিনেটর পিটার্সকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম পরিদর্শনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদেরও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এর মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে পারেন। আমরা আপনাদের সাহায্য চাই। দয়া করে আপনার বন্ধুদের বলুন বাংলাদেশ সফর করতে। তাহলে আমরা এই ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়তে পারব।’
আগামী নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরকে আশ্বস্ত করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা জানান, রাজনৈতিক দলগুলো যদি অল্প সংস্কারে সম্মত হয়, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে দলগুলো যদি বড় সংস্কার প্যাকেজ চায়, তাহলে নির্বাচন কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিত হবে।
ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অতীতে যেমন দেখা যেত নির্বাচনের দিনটিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপন করতে, এবারও নির্বাচনের দিন সেভাবে বড় আকারে উদযাপন করা হবে।’
ড. ইউনূস জানান, রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সুপারিশে একমত হলে জুলাই সনদে সই করবে। এই জুলাই সনদ দেশের ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ করবে।
গ্যারি পিটার্স সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, ‘আমেরিকা বাংলাদেশে টেকসই গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রত্যাশা করছে।’
বৈঠকে উভয় নেতা সামাজিক ব্যবসা পরিচালনা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব তৈরি এবং ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা সাম্প্রদায়িক ছিল না বলে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গ্যারি পিটার্সকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানী ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে সিনেটর পিটার্স বলেন, ‘মিশিগানে, বিশেষত ডেট্রয়ট শহরে, অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিনেটর বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। এই ভুল তথ্যের কিছু অংশ আমেরিকাতেও পৌঁছেছে, যা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।’
এ সময় অধ্যাপক ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, ‘ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ বা পরিচয় যা-ই হোক না কেন, সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর সংখ্যালঘুদের, বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা হয়েছিল, তা ধর্মীয় কারণে নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। তবে সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা সিনেটর পিটার্সকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম পরিদর্শনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদেরও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এর মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে পারেন। আমরা আপনাদের সাহায্য চাই। দয়া করে আপনার বন্ধুদের বলুন বাংলাদেশ সফর করতে। তাহলে আমরা এই ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়তে পারব।’
আগামী নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরকে আশ্বস্ত করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা জানান, রাজনৈতিক দলগুলো যদি অল্প সংস্কারে সম্মত হয়, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে দলগুলো যদি বড় সংস্কার প্যাকেজ চায়, তাহলে নির্বাচন কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিত হবে।
ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অতীতে যেমন দেখা যেত নির্বাচনের দিনটিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপন করতে, এবারও নির্বাচনের দিন সেভাবে বড় আকারে উদযাপন করা হবে।’
ড. ইউনূস জানান, রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সুপারিশে একমত হলে জুলাই সনদে সই করবে। এই জুলাই সনদ দেশের ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ করবে।
গ্যারি পিটার্স সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, ‘আমেরিকা বাংলাদেশে টেকসই গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রত্যাশা করছে।’
বৈঠকে উভয় নেতা সামাজিক ব্যবসা পরিচালনা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব তৈরি এবং ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার ফোনালাপে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হয় এ ফোনালাপ।
সমৃদ্ধশালী উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলি আল-কাহতানি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা সাম্প্রদায়িক ছিল না বলে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গ্যারি পিটার্সকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তুলসি গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর’ উল্লেখ করে সরকার বলেছে, ‘বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।’