বিডিজেন ডেস্ক
জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার ফোনালাপে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হয় এ ফোনালাপ। এরপর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে ফোনালাপ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়া ও ইউক্রেন আগামী ৩০ দিন হামলা বন্ধ রাখবে—এমন প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন পুতিন।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পুতিন তাৎক্ষণিকভাবে রুশ সামরিক বাহিনীকে সংশ্লিষ্ট আদেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া, কৃষ্ণসাগরে নিরাপদে চলাচল করার প্রস্তাবে পুতিন গঠনমূলকভাবে সাড়া দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিবরণ আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য আলোচনা শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে মস্কো।
পুতিনের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে বলা হয়েছে, ১৯ মার্চ (আজ) রাশিয়া ও ইউক্রেন ১৭৫ বন্দী বিনিময় করবে। এ ছাড়া রাশিয়ার পক্ষ থেকে ১৩ জন মারাত্মক আহত ইউক্রেনীয় সেনাকে হস্তান্তর করা হবে।
পুতিন আরও বলেছেন, সংঘাতের তীব্রতা রোধ ও রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এর সমাধানের মূল শর্ত হলো বিদেশি সামরিক সাহায্য ও কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা সম্পূর্ণ বন্ধ করা।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি এবং যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প ও পুতিন। এ সংঘাতের অবসান একটি স্থায়ী শান্তির মাধ্যমে হওয়া উচিত বলে উভয় নেতাই একমত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, জ্বালানি ও অবকাঠামোগত যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হবে বলে দুই নেতা একমত হয়েছেন। এ ছাড়া কৃষ্ণসাগরে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ী শান্তির বিষয়ে কারিগরি আলোচনা শুরুর ব্যাপারে তাঁরা মত দিয়েছেন। এসব আলোচনা মধ্যপ্রাচ্যে শিগগিরই শুরু হবে।
হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিতে ভবিষ্যতের বিরাট লাভ রয়েছে বলে দুই নেতা একমত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশাল অর্থনৈতিক চুক্তি ও শান্তি অর্জনের পর ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বিষয়।
পুতিন ও ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য, কৌশলগত অস্ত্রের বিস্তার বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এবং ইরান নিয়েও আলোচনা করেছেন।
গত জানুয়ারি মাসে ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পর পুতিনের সঙ্গে এটি তাঁর দ্বিতীয় ফোনালাপ। গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্প দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবে ইউক্রেনকে ছাড়াই রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর পর থেকে ইউক্রেনকে সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা বন্ধ করে ওয়াশিংটন। এরপর সৌদি আরবে যুক্তরাষ্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিয়েভের বৈঠকের পর ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সামনে আসে। কিয়েভ এতে তাদের সম্মতি জানায়। তবে পুতিন বলেন, যুদ্ধবিরিতর প্রস্তাবটিতে তিনি রাজি থাকলেও এতে গুরুতর অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তিনি ট্রাম্পের কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গতকালের ফোনালাপ।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টির কথা বলা হয়। একই সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইউক্রেন সংঘাত নিরসন এবং রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা করবেন দুই নেতা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারি দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপে নির্দিষ্ট কিছু বোঝাপড়া আগেই হয়। কিন্তু আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও স্বাভাবিকীকরণ এবং ইউক্রেন বিষয়ে একটি মীমাংসা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। দুই প্রেসিডেন্ট এসব নিয়ে আলোচনা করবেন।’
আরও পড়ুন
জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার ফোনালাপে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হয় এ ফোনালাপ। এরপর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে ফোনালাপ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়া ও ইউক্রেন আগামী ৩০ দিন হামলা বন্ধ রাখবে—এমন প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন পুতিন।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পুতিন তাৎক্ষণিকভাবে রুশ সামরিক বাহিনীকে সংশ্লিষ্ট আদেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া, কৃষ্ণসাগরে নিরাপদে চলাচল করার প্রস্তাবে পুতিন গঠনমূলকভাবে সাড়া দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিবরণ আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য আলোচনা শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে মস্কো।
পুতিনের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে বলা হয়েছে, ১৯ মার্চ (আজ) রাশিয়া ও ইউক্রেন ১৭৫ বন্দী বিনিময় করবে। এ ছাড়া রাশিয়ার পক্ষ থেকে ১৩ জন মারাত্মক আহত ইউক্রেনীয় সেনাকে হস্তান্তর করা হবে।
পুতিন আরও বলেছেন, সংঘাতের তীব্রতা রোধ ও রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এর সমাধানের মূল শর্ত হলো বিদেশি সামরিক সাহায্য ও কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা সম্পূর্ণ বন্ধ করা।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি এবং যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প ও পুতিন। এ সংঘাতের অবসান একটি স্থায়ী শান্তির মাধ্যমে হওয়া উচিত বলে উভয় নেতাই একমত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, জ্বালানি ও অবকাঠামোগত যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হবে বলে দুই নেতা একমত হয়েছেন। এ ছাড়া কৃষ্ণসাগরে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ী শান্তির বিষয়ে কারিগরি আলোচনা শুরুর ব্যাপারে তাঁরা মত দিয়েছেন। এসব আলোচনা মধ্যপ্রাচ্যে শিগগিরই শুরু হবে।
হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিতে ভবিষ্যতের বিরাট লাভ রয়েছে বলে দুই নেতা একমত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশাল অর্থনৈতিক চুক্তি ও শান্তি অর্জনের পর ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বিষয়।
পুতিন ও ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য, কৌশলগত অস্ত্রের বিস্তার বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এবং ইরান নিয়েও আলোচনা করেছেন।
গত জানুয়ারি মাসে ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পর পুতিনের সঙ্গে এটি তাঁর দ্বিতীয় ফোনালাপ। গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্প দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবে ইউক্রেনকে ছাড়াই রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর পর থেকে ইউক্রেনকে সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা বন্ধ করে ওয়াশিংটন। এরপর সৌদি আরবে যুক্তরাষ্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিয়েভের বৈঠকের পর ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সামনে আসে। কিয়েভ এতে তাদের সম্মতি জানায়। তবে পুতিন বলেন, যুদ্ধবিরিতর প্রস্তাবটিতে তিনি রাজি থাকলেও এতে গুরুতর অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তিনি ট্রাম্পের কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গতকালের ফোনালাপ।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টির কথা বলা হয়। একই সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইউক্রেন সংঘাত নিরসন এবং রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা করবেন দুই নেতা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারি দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপে নির্দিষ্ট কিছু বোঝাপড়া আগেই হয়। কিন্তু আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও স্বাভাবিকীকরণ এবং ইউক্রেন বিষয়ে একটি মীমাংসা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। দুই প্রেসিডেন্ট এসব নিয়ে আলোচনা করবেন।’
আরও পড়ুন
জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার ফোনালাপে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হয় এ ফোনালাপ।
সমৃদ্ধশালী উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলি আল-কাহতানি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা সাম্প্রদায়িক ছিল না বলে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গ্যারি পিটার্সকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তুলসি গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর’ উল্লেখ করে সরকার বলেছে, ‘বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।’