logo
খবর

বালাগঞ্জ শত্রুমুক্ত হওয়ার গল্প

হামিদ মোহাম্মদ, যুক্তরাজ্য৮ দিন আগে
Copied!
বালাগঞ্জ শত্রুমুক্ত হওয়ার গল্প
মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল কামাল। ছবিটি ২০১২ সালে তোলা। ছবি: লেখকের মাধ্যমে প্রাপ্ত

একাত্তরের ঐতিহাসিক বছরটির প্রতিটি দিন ছিল বাঙালির জীবনে সোনাঝরা দিন। ডিসেম্বর মাস ছিল সেই সোনাঝরা দিনের শ্রেষ্ঠ মাস। বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে যুদ্ধে পরাজিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। বিজয় অর্জন করে নয় মাসের সশস্ত্র লড়াই ও বহু রক্তের বিনিময়ে। এই ডিসেম্বর এলেই বাঙালিরা আবেগে, উচ্ছাসে আত্মহারা হওয়া শুধু নয় আত্মপরিচয়ের শিখরেও দাঁড়ায়। এত উঁচু মাথা বাঙালির, কে ঠেকায় তাকে! একাত্তরের সেই অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কত বীরত্বগাথা বাঙালি জীবনে জড়িয়ে গেছে ইতিহাস হয়ে। অমর এসব ইতিহাস শুধুই আমাদের, বাঙালিদের, পৃথিবীর সংগ্রামী মানুষের পাশে বাঙালি বীর সন্তানরা অদ্বিতীয় ইতিহাস।

সেই ইতিহাসের একটি গল্প বলতেই আজকের এ লেখা শুরু। সিলেটের প্রথম শত্রুমুক্ত এলাকা বালাগঞ্জের শত্রুমুক্ত হওয়ার কাহিনি। যিনি এ বিজয়ের কাব্য রচনা করার মূল নায়ক ছিলেন তিনি মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল কামাল। তাঁর কাছে বালাগঞ্জ শত্রুমুক্ত করার কাহিনি শুনেছিলাম ২০১৩ সালে, আজ থেকে ১১ বছর আগে।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানা প্রথম শত্রুমুক্ত করেন আজিজুল কামালের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধারা। একদল মুক্তিযোদ্ধার সাহসী অভিযানের নেতৃত্ব দেন তিনি। বালাগঞ্জ থানায় মুক্তিবাহিনীর প্রধান কর্নেল এম এ জি ওসমানীর বাড়ি। পাকিস্তানি বাহিনী এ এলাকায় বড় ধরনের তিন–চারটি গণহত্যা ঘটায় তাদের এ দেশীয় সহযোগী শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের সহযোগিতায়। এর প্রতিশোধ স্পৃহা তখন দাউ দাউ করে জ্বলছে মুক্তিযোদ্ধাদের বুকে। অন্যদিকে দেশকে শত্রুমুক্ত করার মরণপণ অঙ্গীকার। একাত্তরের ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সমগ্র বাংলার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় এলাকায় প্রচণ্ড আঘাত হানা শুরু করে।

২ ডিসেম্বর ৪০ জনের একদল তেজোদীপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সিলেটের পূর্ব সীমান্তের রাতাছড়ার মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প থেকে ভোর ৬টায় বালাগঞ্জ অভিমুখে অধিনায়ক আজিজুল কামাল রওনা দেন। এ দলে ছিলেন সহ–অধিনায়ক মছব্বির বেগসহ শফিকুর রহমান, মজির উদ্দিন, ধীরেন্দ্র কুমার দে, আবদুল বারি, সমুজ আলী, আবদুল খালিক, জবেদ আলী, সিকন্দর আলী, নেহাবেন্দ্র ধর, আমান উদ্দিন, লালা মিয়া ও আবুল হোসেনসহ ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা। সবার নাম তাঁর মনে নেই।

পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী তারা তাদের ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে পথিমধ্যে রাজনগর থানার একটি জায়গায় রেখে অবশিষ্ট ১৪ জন সাহসী মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁওয়ে গণিমাস্টার ও বদরুল হক নিলুর বাড়িতে যাত্রাবিরতি করেন। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে অভিযান শুরু করেন। ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের ভোর রাত ৪টায় ইলাশপুর সেতুর কাছে বাংকারে অবস্থান নেন শত্রুকে অ্যামবুস করার অপেক্ষায়।

দিনটি ছিল ৬ ডিসেম্বর। সিলেট থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর একদল সেনা ফেঞ্চুগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ইলাশপুর সেতুর কাছে আসতেই মুক্তিযোদ্ধারা গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। পাকিস্তানি বাহিনীও পাল্টা আক্রমণ করে বৃষ্টির মতো গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী টিকতে না পেরে ফের সিলেটের দিকে চলে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি তবে পাকিস্তানি বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গোলাবারুদ ফেলে পলায়ন করে।

সেদিন ইলাশপুর এলাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। এর কয়েক দিন আগে প্রচণ্ড যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা ফেঞ্চুগঞ্জ করায়ত্ব করে। এর আগে আজিজুল কামালের নেতৃত্বে প্রচণ্ড যুদ্ধের পর ছোটলেখা চাবাগান পাকিস্তানি দখলমুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। তুমুল যুদ্ধে ২ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত ও কয়েকজন মারাত্মক আহত হয়। বাকিরা অস্ত্রশস্ত্র ফেলে বাগান ছেড়ে পালায়। এ বিজয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল আরও বেড়ে যায়।

এই অভিযানের সাফল্য ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য তাদের ওপর দায়িত্ব পড়ে বালাগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করার। ৬ ডিসেম্বর ইলাশপুর যুদ্ধে জয়লাভের পর ১২ কিলোমিটার দূরে বালাগঞ্জের থানা সদরে অভিযানের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ উদ্দেশ্যে আজিজুল কামালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা রওনা দেন বালাগঞ্জ অভিযানে।

এদিকে রাজনগরে অবস্থানকারী দলটিও ৬ ডিসেম্বর বালাগঞ্জে এসে আজিজুল কামালের মূল গ্রুপের সঙ্গে মিলিত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা রেকি পার্টির মাধ্যমে নিশ্চিত খবর পান পাকিস্তানি বাহিনী বালাগঞ্জ সদরে নেই। থানা নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ ও পাকিস্তানি বাহিনীর এ দেশীয় দোসর রাজাকার বাহিনী। রাতেই মুক্তিযোদ্ধারা থানা সদর ঘেরাও করে পুলিশ সদস্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায়। এ সময় বালাগঞ্জে কর্মরত ডা. জাকারিয়া, কানুনগো বদিউজ্জামান ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুস সোবহান মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বার্তা আদান প্রদান করতে বিশেষ সহায়তা করেন।

৭ ডিসেম্বর ভোরে অধিনায়ক আজিজুল কামাল ওই ৩ জন প্রতিনিধিকে দিয়ে পুলিশসহ থানার ভেতরে অবস্থানরত পাকিস্তান সরকারকে সহযোগিতাকারীদের আত্মসমর্পণের জন্য চুড়ান্ত আহ্বান জানান। পুলিশ সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ২ ঘন্টা সময় প্রার্থনা করে। কিন্তু তাদেরকে ১৫ মিনিট সময় বেঁধে দিয়ে এর মধ্যে আত্মসমর্পণ নতুবা থানা ভবন উড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন মুক্তিযোদ্ধারা।

অবস্থা বেগতিক দেখে সকাল ৯টায় ভীতসন্ত্রস্ত পুলিশ দলটি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণের কথা জানায়। ভোরের আলো ফুটে ওঠার আগেই আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। থানা সদরে অবস্থান করা রাজাকার দলটি অন্ধকার থাকতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে আত্মগোপন করে। পালাতে গিয়ে কয়েকজন ধরা পড়ে। দায়িত্বরত ওসি আবদুল জব্বার ও সেকেন্ড অফিসার ফয়জুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ দলটি ভবন থেকে বেরিয়ে থানা চত্বরে তাদের অস্ত্র জমা দিতে থাকে। ইতিমধ্যে ডাকবাংলো ভবনে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধা দলের অধিনায়ক আজিজুল কামাল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে থানা চত্বরে হাজির হন। আনুষ্ঠানিকভাবে ওসি আবদুল জব্বার অধিনায়ক আজিজুল কামালের হাতে থানা ভবনের চাবি হস্তান্তর করেন।

থানা সদর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে আসার খবর এবং পুলিশ ও রাজাকারদের আত্মসমর্পণের সংবাদটি আগেই মুক্তিকামী মানুষের কাছ পৌঁছে গিয়েছিল। তাই থানা সদর সকাল ১০টার মধ্যেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। সকাল ৯টায় মুক্তিযোদ্ধাদের দলপতি আজিজুল কামাল থানার দায়িত্ব বুঝে নেন।

Azizul Kamal 2

আজিজুল কামাল সমবেত মুক্তিকামী জনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি ঘোষণা দেন, আজ থেকে বালাগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। যেকোনো আক্রমণ ও অপকর্ম মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিহত করতে সক্ষম। তিনি বালাগঞ্জবাসীকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং যেকোনো সমস্যার বিষয়ে থানা ভবনে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের অবহিত করতে উপস্থিত জনতার প্রতি আহবান জানান। আবেগঘন এ বক্তব্যের পর জনতার জয়বাংলা ধ্বনি ও জাতীয় সংগীত গীত হওয়ার মাধ্যমে আজিজুল কামাল থানা সদরে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে আমাদের প্রিয় লাল সবুজ পতাকাটি প্রথম উত্তোলন করেন। জনতার পক্ষ থেকে ছাত্রনেতা মখলিসুর রহমান অধিনায়ক আজিজুল কামালকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সহ–অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা মছব্বির বেগ, মইজ উদ্দিন দোলা, আনোয়ার উদ্দিন ও ছাত্রনেতা জামি আহমদ প্রমুখ। আটককৃত রাজাকার ও পুলিশ সদস্যদের থানা কাষ্টডিতে রাখা হয়।

৯ ডিসেম্বর পকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী বালাগঞ্জের ত্রাস সাইদুর রহমান ওরফে কালা মৌলভীকে আটক করেন মুক্তিযোদ্ধারা। দুই দিন পর সকল বন্দীদের জালালপুর ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর দালাল মৌলভী ফজলুর রহমান, শান্তি কমিটির ইউনিয়ন কনভেনার আবদুল আহাদ চৌধুরী সাদ মাস্টার, বদরুল জায়গীরদার, আজিজুল হক জানু ও রাজাকার হারুন এবং থানা রাজাকার কমান্ডার আফতাবুজ্জামানকে আটক করতে পারেনি। জনরোষ থেকে বাঁচতে তারা আত্মগোপন করে।

বদরুল জায়গীরদার ছিল বোয়ালজুড় ইউনিয়নের শান্তি কমিটির কনভেনার। বদরুল জায়গীরদার বোয়ালজুড় বাজারে শান্তি কমিটির অফিস স্থাপন করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। সাদ মাস্টার বুরুঙ্গা ও আদিত্যপুর গণহত্যার মূল নায়ক ছিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল কামাল এ উত্তেজনাকর অভিযানের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে আমার হাতে তুলে দেন যত্ন করে রাখা ভাঁজ করা পত্রিকার পুরনো একটি অংশ। তরুণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের লেখা সিলেটে প্রথম শত্রুমুক্ত জনপদ বালাগঞ্জ। কাগজটি হাতে ধরিয়ে দেওয়ার সময় দেখলাম তাঁর চোখ আনন্দে চিকচিক করছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর এ দেশীয় দালালেরা হত্যা, লুটপাটসহ নারীর সম্ভ্রমহানির মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ জঘন্য অপরাধীদের বিচার হয়নি।

আজিজুল কামাল ১৯৭৪ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার পর স্বপ্নে ভরা বুক নিয়ে জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। যুক্তরাজ্যে বাস করলেও দেশে থাকেন বেশি। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক আজিজুল কামালের পৈতৃক নিবাস বালাগঞ্জের বোয়ালজুরে। সিলেট শহরের শাহাজালাল হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা তিনি। তাঁর গ্রাম বোয়ালজুরে হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া, শিক্ষায় পশ্চাদপদ বালাগঞ্জে কলেজ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে তিনি জড়িয়ে ছিলেন। এখন কলেজটি একটি প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যুক্তরাজ্যেও বালাগঞ্জের শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক কমিউনিটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। মূলত দেশের কল্যাণ কামনায় নিবেদিত আজিজুল কামাল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ। কিন্তু তাঁর কোনো অহংকার নেই। দেশপ্রেম আর সততা আজিজুল কামালের শ্রেষ্ঠ ভাষণ। ব্যক্তিগতভাবে সদালাপী ও বন্ধু বৎসল তিনি ।

আরও পড়ুন

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৪ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৪ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

দাবি মেনে নেওয়ায় গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রমিকেরা। এর ফলে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর সোমবার বেলা দেড়টার দিকে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

১৪ মিনিট আগে

গাজীপুরে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

বন্ধ ঘোষণা করা ২টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।

৩ ঘণ্টা আগে

হার মানা হার

হার মানা হার

যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।

২ দিন আগে

সাগরে নিম্নচাপ, ৪ বন্দরে সতর্কসংকেত

সাগরে নিম্নচাপ, ৪ বন্দরে সতর্কসংকেত

পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

২ দিন আগে