বিডিজেন ডেস্ক
এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদচ্যুত করার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক গণজমায়েতে এ দাবি জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে এ গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা এবং ৭২–এর সংবিধান বাতিলের দাবিও জানানো হয়।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দাবি ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে এ সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে। অভ্যুত্থান ও জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের আলোকে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে প্রোকলেমশন অব রিপাবলিক ঘোষণা করতে হবে। সেটির ভিত্তিতে এবং বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক বলয়ের মতের ভিত্তিতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।’
আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত সবশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার দাবিও জানান হাসনাত। তিনি বলেন, ‘গত যে তিনটি নির্বাচন ছিল ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন, এই তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এই তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে যারা সংসদ সদস্য ছিল তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তারা যেন ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক হতে না পারে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণ না করতে পারে এজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা পুরো দেশের ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, আবার যদি প্রয়োজন হয় আমরা চোখ দিতে প্রস্তুত, হাত দিতে প্রস্তুত, পা হারাতে প্রস্তুত, রক্ত দিতে প্রস্তুত। এমনকি আমরা আবারও আমাদের জীবন দিতে পর্যন্ত প্রস্তুত। কিন্তু ওই ফ্যাসিস্টদের দোসর ছাত্রলীগ, যুবলীগ আওয়ামী লীগ নামের যে সব সন্ত্রাসীরা আমার ভাই বোনদের রক্ত ঝরিয়েছে, আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের প্রতিহত করতে আমরা আমৃত্যু প্রস্তুত থাকব।’
সম্প্রতি মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।
কথোপকথনটি রোববার (২০ অক্টোবর) মানবজমিনের রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’–এ প্রকাশিত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দাবি করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছিলেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি সেটা গ্রহণ করেছেন। এখন আড়াই মাস পর বলছেন, তাঁর কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই। এমন কথা বলা স্ববিরোধিতা।’
আসিফ নজরুল দাবি করেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি) মিথ্যাচার করেছেন, যা শপথ ভঙ্গের শামিল। তাঁর বক্তব্যে অটল থাকলে তিনি পদে থাকতে পারেন কিনা তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচিত হতে পারে।’
অবশ্য সমালোচনা ওঠার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে সোমবার বঙ্গভবনের পাঠানো এক ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার ওপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪–এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গত ৮ আগস্টের আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতির বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে সরকার একমত: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ এবং শপথ লঙ্ঘনের শামিল বলে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটির সঙ্গে সরকার একমত পোষণ করে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ কথা বলেন। এ সময় আরেক উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন আইন উপদেষ্টার বক্তব্য সরকারের কি না—জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, আইন উপদেষ্টা যা বলেছেন, সেটির সঙ্গে সরকার একমত পোষণ করে। তাহলে রাষ্ট্রপতিকে সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ভবিষ্যতে চিন্তা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সেটা ভবিষ্যতেই বলা যাবে।
এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদচ্যুত করার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক গণজমায়েতে এ দাবি জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে এ গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা এবং ৭২–এর সংবিধান বাতিলের দাবিও জানানো হয়।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দাবি ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে এ সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে। অভ্যুত্থান ও জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের আলোকে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে প্রোকলেমশন অব রিপাবলিক ঘোষণা করতে হবে। সেটির ভিত্তিতে এবং বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক বলয়ের মতের ভিত্তিতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।’
আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত সবশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার দাবিও জানান হাসনাত। তিনি বলেন, ‘গত যে তিনটি নির্বাচন ছিল ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন, এই তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এই তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে যারা সংসদ সদস্য ছিল তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তারা যেন ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক হতে না পারে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণ না করতে পারে এজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা পুরো দেশের ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, আবার যদি প্রয়োজন হয় আমরা চোখ দিতে প্রস্তুত, হাত দিতে প্রস্তুত, পা হারাতে প্রস্তুত, রক্ত দিতে প্রস্তুত। এমনকি আমরা আবারও আমাদের জীবন দিতে পর্যন্ত প্রস্তুত। কিন্তু ওই ফ্যাসিস্টদের দোসর ছাত্রলীগ, যুবলীগ আওয়ামী লীগ নামের যে সব সন্ত্রাসীরা আমার ভাই বোনদের রক্ত ঝরিয়েছে, আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের প্রতিহত করতে আমরা আমৃত্যু প্রস্তুত থাকব।’
সম্প্রতি মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।
কথোপকথনটি রোববার (২০ অক্টোবর) মানবজমিনের রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’–এ প্রকাশিত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দাবি করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছিলেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি সেটা গ্রহণ করেছেন। এখন আড়াই মাস পর বলছেন, তাঁর কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই। এমন কথা বলা স্ববিরোধিতা।’
আসিফ নজরুল দাবি করেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি) মিথ্যাচার করেছেন, যা শপথ ভঙ্গের শামিল। তাঁর বক্তব্যে অটল থাকলে তিনি পদে থাকতে পারেন কিনা তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচিত হতে পারে।’
অবশ্য সমালোচনা ওঠার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে সোমবার বঙ্গভবনের পাঠানো এক ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার ওপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪–এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গত ৮ আগস্টের আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতির বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে সরকার একমত: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ এবং শপথ লঙ্ঘনের শামিল বলে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটির সঙ্গে সরকার একমত পোষণ করে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ কথা বলেন। এ সময় আরেক উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন আইন উপদেষ্টার বক্তব্য সরকারের কি না—জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, আইন উপদেষ্টা যা বলেছেন, সেটির সঙ্গে সরকার একমত পোষণ করে। তাহলে রাষ্ট্রপতিকে সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ভবিষ্যতে চিন্তা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সেটা ভবিষ্যতেই বলা যাবে।
যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
কথাসাহিত্যিক ও গবেষক সিরাজুল ইসলাম মুনির সমকালীন বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে সুপরিচিত নাম। তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির সমৃদ্ধ বহুমাত্রিকতা সৃষ্টি করেছে শক্তিশালী স্বতন্ত্র অবস্থান। সাবলীল শব্দ ব্যঞ্জনার প্রকাশে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন, দেশাত্মবোধ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন মাত্রাকে।