বিডিজেন ডেস্ক
বিশেষ ক্ষমতা আইনে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ ও মডেল মেঘনা আলমকে আটকের পর কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অফিস নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।
পোস্টে বলা হয়েছে, এ কালো আইন ঐতিহাসিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে অভিযোগ ও বিচারিক তত্ত্বাবধান ছাড়াই নির্বিচার আটকের জন্য ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এসব কাজের মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াগত সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মান ও প্রয়োগ গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির পোস্টে আরও বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেঘনা আলমকে গোপনীয়তার সঙ্গে আটক করা হয়েছে। তাঁকে আটক করার পরোয়ানা ছিল না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এটা পদ্ধতিগত সুরক্ষার উদ্বেগজনক লঙ্ঘন।
অ্যামনেস্টি বলছে, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আহ্বান, হয় মেঘনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অপরাধের অভিযোগ আনুন অথবা তাঁকে মুক্তি দিন।’ সেই সঙ্গে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ব্যবহার বন্ধ এবং আইনটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এর আগে বুধবার রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে। মেঘনা তখন ফেসবুক লাইভ এসে দাবি করেন, তিনি নিরপরাধ।
বিশেষ ক্ষমতা আইন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এই আইন করা হয়। পাকিস্তানের নিরাপত্তা আইন ১৯৫২, জন নিরাপত্তা অর্ডিন্যান্স ১৯৫৮ এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ তফসিলি অপরাধ (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশকে প্রতিস্থাপনের জন্য আইনটি পাস করা হয়েছিলো।
এর উদ্দেশ্য ছিল বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু কার্যকলাপ প্রতিহত করা। একই সঙ্গে কিছু গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা। এই আইনে চোরাচালান, কৃত্রিম সংকট তৈরি এবং ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত যে কাউকে সরকারের আটক করতে পারার বিধান রয়েছে।
এই আইনে রাষ্ট্র-বিরোধী কার্যকলাপের সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং প্রতিরক্ষা বিরোধী কার্যকলাপ, বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি সাধন, জন নিরাপত্তা বিরোধী কাজ করা, জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা-সহ নানা বিষয়।
এ ছাড়াও জনগণের মধ্যে বা জনগোষ্ঠীর কোনও অংশের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করা , দেশের আইন ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বাধা দেয়া এবং দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করা রাষ্ট্র-বিরোধী কার্যকলাপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের বিভিন্ন সময় এই আইনে কিছু কিছু ধারা সংশোধন ও সংযোজন করা হয়। যে সব ধারা এই আইনে সংযোজন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কাগজের মুদ্রা ও সরকারি স্ট্যাম্প জাল করা, চোরাচালানি, খাদ্য, পানীয় ওষুধ ও প্রসাধনী দ্রব্যে ভেজাল, অপরাধ করার ষড়যন্ত্র করা এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
এই আইনটিকে ‘কালো আইন’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিভিন্ন সময় এই আইনটি অপসারণের দাবি উঠলেও কোনো সরকারই তা করেনি।
আরও পড়ুন
বিশেষ ক্ষমতা আইনে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ ও মডেল মেঘনা আলমকে আটকের পর কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অফিস নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।
পোস্টে বলা হয়েছে, এ কালো আইন ঐতিহাসিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে অভিযোগ ও বিচারিক তত্ত্বাবধান ছাড়াই নির্বিচার আটকের জন্য ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এসব কাজের মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াগত সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মান ও প্রয়োগ গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির পোস্টে আরও বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেঘনা আলমকে গোপনীয়তার সঙ্গে আটক করা হয়েছে। তাঁকে আটক করার পরোয়ানা ছিল না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এটা পদ্ধতিগত সুরক্ষার উদ্বেগজনক লঙ্ঘন।
অ্যামনেস্টি বলছে, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আহ্বান, হয় মেঘনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অপরাধের অভিযোগ আনুন অথবা তাঁকে মুক্তি দিন।’ সেই সঙ্গে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ব্যবহার বন্ধ এবং আইনটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এর আগে বুধবার রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে। মেঘনা তখন ফেসবুক লাইভ এসে দাবি করেন, তিনি নিরপরাধ।
বিশেষ ক্ষমতা আইন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এই আইন করা হয়। পাকিস্তানের নিরাপত্তা আইন ১৯৫২, জন নিরাপত্তা অর্ডিন্যান্স ১৯৫৮ এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ তফসিলি অপরাধ (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশকে প্রতিস্থাপনের জন্য আইনটি পাস করা হয়েছিলো।
এর উদ্দেশ্য ছিল বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু কার্যকলাপ প্রতিহত করা। একই সঙ্গে কিছু গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা। এই আইনে চোরাচালান, কৃত্রিম সংকট তৈরি এবং ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত যে কাউকে সরকারের আটক করতে পারার বিধান রয়েছে।
এই আইনে রাষ্ট্র-বিরোধী কার্যকলাপের সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং প্রতিরক্ষা বিরোধী কার্যকলাপ, বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি সাধন, জন নিরাপত্তা বিরোধী কাজ করা, জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা-সহ নানা বিষয়।
এ ছাড়াও জনগণের মধ্যে বা জনগোষ্ঠীর কোনও অংশের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করা , দেশের আইন ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বাধা দেয়া এবং দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করা রাষ্ট্র-বিরোধী কার্যকলাপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের বিভিন্ন সময় এই আইনে কিছু কিছু ধারা সংশোধন ও সংযোজন করা হয়। যে সব ধারা এই আইনে সংযোজন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কাগজের মুদ্রা ও সরকারি স্ট্যাম্প জাল করা, চোরাচালানি, খাদ্য, পানীয় ওষুধ ও প্রসাধনী দ্রব্যে ভেজাল, অপরাধ করার ষড়যন্ত্র করা এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
এই আইনটিকে ‘কালো আইন’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিভিন্ন সময় এই আইনটি অপসারণের দাবি উঠলেও কোনো সরকারই তা করেনি।
আরও পড়ুন
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, লাখ লাখ প্রবাসীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে বিশেষ করে কনস্যুলেট জেনারেল অফিসগুলোতে জনবল বৃদ্ধিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, অনভিপ্রেত মন্তব্য না দিয়ে বাংলাদেশ বরং নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দিক।
মিজানুর রহমান ১৯৯৩ সাল থেকে সৌদি আরবে কাজ করছেন। ছুটি নিয়ে সবশেষ দেশে এসেছিলেন ২০১৫ সালে। এখন তিনি দেশে ফিরতে চান, কিন্তু ফিরতে পারছেন না। নিজ থেকে ফেরার অবস্থা তাঁর নেই।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। এ ঘটনায় ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে। তবে হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়নি।