বিডিজেন ডেস্ক
সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং জাকজমকপূর্ণ মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে সৌদি আরবের ফিউচারিস্টিক নিওম (দ্য লাইন) শহর প্রজেক্ট। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত শ্রমিকেরা ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আইটিভির বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আট বছরে নিওম প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে ২১ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮ জন করে শ্রমিকের মৃত্য়ু হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নিওম প্রকল্পের শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
সূত্র জানায়, নিওম প্রকল্পে শ্রমিকদের দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করানো হয়। সেইসঙ্গে মজুরি চুরি এবং ঘন ঘন মানবাধিকার লঙ্ঘনও অন্তর্ভুক্ত থাকে। এসব শ্রমিকদের সঙ্গে আটকা পড়া ক্রীতদাস এবং ভিক্ষুকের মতো আচরণ করা হয়।
আইটিভির প্রামাণ্যচিত্রে দেখানো হয়, রাজু বিশ্বকর্মা নামে এক নেপালের শ্রমিক পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের ফোন করে বলছেন, তাকে সৌদি থেকে নিতে হলে তার পাঁচ মাসের বেতনের সমান অর্থ নিওম কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। এর কয়েক দিন পরই মারা যান রাজু।
এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি সরকার। সৌদির ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ এসব তথ্যকে ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাটি বলছে, এসব তথ্য ভিত্তিহীন ।
সম্প্রতি নিওম প্রকল্পের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আইমান আল মুদাইফারের নাম ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড জানায়, নাদমি আল নাসর ২০১৮ সাল থেকে নিওম প্রকল্পের সিইওর দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর পরিবর্তে এখন এ দায়িত্ব পালন করবেন আইমান আল মুদাইফার।
সৌদি আরবের নিওম শহরের মালিকানা থাকছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের কাছে। এই সংস্থাটিই এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।
সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নিওম দেশটির বিস্তৃত অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প। এ শহর তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ১ দশমিক ২৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ। তবে শহরটির নির্মাণ উদ্যোগের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ তেলের দাম হ্রাস এবং ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০, বিশ্বকাপ ২০৩৪-এর আয়োজনের জন্য অন্যখাতে বরাদ্দ দেওয়ায় সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড নিওমের জন্য অর্থ বরাদ্দে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
এরইমধ্যে সৌদির নিওম শহরের প্রথম রিসোর্ট সিন্দালাহর যাত্রা শুরু হয়েছে। সিন্দালাহ রিসোর্টটি হলো লোহিত সাগরে অবস্থিত একটি রিসোর্ট দ্বীপ। যেখানে দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ও হোটেলসহ নানা রকম সুবিধা।
আধুনিক শহর নিওম ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং মাত্র ২০০ মিটার চওড়া হবে। এতে কোনো গাড়ি থাকবে না। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রকল্পটির মাত্র ২.৪ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হবে।
নিওম ছাড়া আরও ১৩টি বেশ বড় আকারের নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। ট্রিলিয়ন ডলারের এসব প্রকল্পকে ‘গিগা প্রজেক্ট’ বলা হচ্ছে। এর আওতায় রাজধানী রিয়াদের উপকণ্ঠে একটি বিনোদন শহর এবং লোহিত সাগরের পাশে কয়েকটি বিলাসবহুল দ্বীপসহ বিভিন্ন পর্যটক ও বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং জাকজমকপূর্ণ মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে সৌদি আরবের ফিউচারিস্টিক নিওম (দ্য লাইন) শহর প্রজেক্ট। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত শ্রমিকেরা ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আইটিভির বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আট বছরে নিওম প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে ২১ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮ জন করে শ্রমিকের মৃত্য়ু হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নিওম প্রকল্পের শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
সূত্র জানায়, নিওম প্রকল্পে শ্রমিকদের দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করানো হয়। সেইসঙ্গে মজুরি চুরি এবং ঘন ঘন মানবাধিকার লঙ্ঘনও অন্তর্ভুক্ত থাকে। এসব শ্রমিকদের সঙ্গে আটকা পড়া ক্রীতদাস এবং ভিক্ষুকের মতো আচরণ করা হয়।
আইটিভির প্রামাণ্যচিত্রে দেখানো হয়, রাজু বিশ্বকর্মা নামে এক নেপালের শ্রমিক পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের ফোন করে বলছেন, তাকে সৌদি থেকে নিতে হলে তার পাঁচ মাসের বেতনের সমান অর্থ নিওম কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। এর কয়েক দিন পরই মারা যান রাজু।
এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি সরকার। সৌদির ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ এসব তথ্যকে ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাটি বলছে, এসব তথ্য ভিত্তিহীন ।
সম্প্রতি নিওম প্রকল্পের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আইমান আল মুদাইফারের নাম ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড জানায়, নাদমি আল নাসর ২০১৮ সাল থেকে নিওম প্রকল্পের সিইওর দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর পরিবর্তে এখন এ দায়িত্ব পালন করবেন আইমান আল মুদাইফার।
সৌদি আরবের নিওম শহরের মালিকানা থাকছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের কাছে। এই সংস্থাটিই এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।
সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নিওম দেশটির বিস্তৃত অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প। এ শহর তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ১ দশমিক ২৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ। তবে শহরটির নির্মাণ উদ্যোগের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ তেলের দাম হ্রাস এবং ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০, বিশ্বকাপ ২০৩৪-এর আয়োজনের জন্য অন্যখাতে বরাদ্দ দেওয়ায় সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড নিওমের জন্য অর্থ বরাদ্দে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
এরইমধ্যে সৌদির নিওম শহরের প্রথম রিসোর্ট সিন্দালাহর যাত্রা শুরু হয়েছে। সিন্দালাহ রিসোর্টটি হলো লোহিত সাগরে অবস্থিত একটি রিসোর্ট দ্বীপ। যেখানে দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ও হোটেলসহ নানা রকম সুবিধা।
আধুনিক শহর নিওম ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং মাত্র ২০০ মিটার চওড়া হবে। এতে কোনো গাড়ি থাকবে না। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রকল্পটির মাত্র ২.৪ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হবে।
নিওম ছাড়া আরও ১৩টি বেশ বড় আকারের নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। ট্রিলিয়ন ডলারের এসব প্রকল্পকে ‘গিগা প্রজেক্ট’ বলা হচ্ছে। এর আওতায় রাজধানী রিয়াদের উপকণ্ঠে একটি বিনোদন শহর এবং লোহিত সাগরের পাশে কয়েকটি বিলাসবহুল দ্বীপসহ বিভিন্ন পর্যটক ও বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
এসব দেশের কোনো নাগরিককে বিয়ে করলেই দ্রুত আপনি পেয়ে যেতে পারেন সেই দেশের নাগরিকত্ব।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
কুয়েতের একটি তদন্ত কমিটি ২ হাজার ৮৯৯ কুয়েতির নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। এ সিদ্ধান্তটি এখন অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদের কাছে পাঠানো হবে।
কুয়েতে ১০ হাজার নার্স নিয়োগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ থেকে তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।