বিডিজেন ডেস্ক
হাইতির গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে এবার কাজ পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নিরাপত্তা ঠিকাদারি সংস্থা। এরই মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হয়েছে। এই সংস্থা সেখানে প্রবল ক্ষমতাধর গ্যাংগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং একই সঙ্গে কর আদায়ের দায়িত্বও পালন করবে।
খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তিটি বাগিয়েছেন বিতর্কিত নিরাপত্তা ঠিকাদারি সংস্থা ব্ল্যাকওয়াটারের প্রতিষ্ঠাতা এরিক প্রিন্স। তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সমর্থক। হাইতিতে ১০ বছরের জন্য একটি চুক্তি করেছেন তিনি। এই চুক্তির অধীনে তাঁর কোম্পানি দেশটির অপরাধী চক্রগুলোকে দমনের পর কর আদায়ের দায়িত্ব পালন করবে।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স জানিয়েছেন, তাঁর কোম্পানি, ভেক্টাস গ্লোবাল, হাইতির নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার পর ডোমিনিকান রিপাবলিকের সঙ্গে আমদানি করা পণ্যের ওপর কর আদায়ের একটি ব্যবস্থা ডিজাইন ও বাস্তবায়ন করবে। তিনি আশা করেন, প্রায় ১ বছরের মধ্যে তাঁর কোম্পানি গ্যাংগুলোর কাছ থেকে প্রধান সড়ক ও এলাকার নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিতে পারবে।
প্রিন্স বলেন, ‘আমার সাফল্যের একটি প্রধান পরিমাপক হবে যখন পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ক্যাপ হাইশিয়ান পর্যন্ত কোনো পাতলা চামড়ার গাড়ি নিরাপদে চলাচল করতে পারবে এবং গ্যাংগুলো সেই গাড়ি থামাবে না।’
তবে, হাইতি সরকার ভেক্টাস গ্লোবালকে কত অর্থ দেবে এবং প্রিন্স কত কর আদায়ের প্রত্যাশা করছেন, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। হাইতির নতুন অন্তর্বর্তী কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট লরেন্ট সেইন্ট-সির এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভেক্টাস গ্লোবাল গত মার্চ থেকেই হাইতিতে কাজ শুরু করেছে। তারা মূলত ড্রোন ব্যবহার করে একটি টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহে কোম্পানিটি হাইতি পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান জোরদার করবে। এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এল সালভাদর থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েক শ স্নাইপার, গোয়েন্দা ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেলিকপ্টার ও নৌযান ব্যবহার করা হবে।
এরিক প্রিন্স, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন নেভি সিল। ১৯৯৭ সালে ব্ল্যাকওয়াটার সামরিক নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। বাগদাদের নিসুর স্কোয়ারে নিরস্ত্র ১৪ জন বেসামরিক নাগরিককে বেআইনিভাবে হত্যার দায়ে ব্ল্যাকওয়াটারের কর্মীরা দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি ২০১০ সালে কোম্পানিটি বিক্রি করে দেন। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে এই কর্মীদের ক্ষমা করে দেন।
ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর এরিক প্রিন্স ইকুয়েডরকে অপরাধী চক্র দমনে এবং কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রকে খনিজ সম্পদ সুরক্ষিত রাখতে ও কর আদায়ে সহায়তা করেছেন। জেনেভাভিত্তিক গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অ্যাগেইনস্ট ট্রান্সন্যাশনাল অর্গানাইজড ক্রাইমের হাইতি প্রোগ্রামের প্রধান রোমেইন লে কর গ্র্যান্ডমেইসন মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সম্মতি ছাড়া তাদের পক্ষে কাজ করা কঠিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র এবং হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রিন্স বা তাঁর কোম্পানিকে হাইতিতে কোনো কাজের জন্য তারা ভাড়া করেননি। এই চুক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেরও কোনো সম্পর্ক নেই।
হাইতির মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রধান গেদিওন জ্যঁ এই ধরনের বেসরকারি সামরিক কোম্পানিকে ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাইতির নিরাপত্তাহীনতার সমাধান হিসেবে বেসরকারি সামরিক কোম্পানিকে দেখা যায় না এবং বেসরকারি কোম্পানির ব্যবহার প্রায়শই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণ হয়।’ তিনি আরও সতর্ক করেন, বিদেশি কোম্পানির পেছনে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করা উচিত নয়, যেখানে দেশের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী পরিচালনার জন্যই পর্যাপ্ত তহবিল নেই।
হাইতির বর্তমান সংকটের কারণে দেশটির প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা খাদ্য সংকটে ভুগছে। গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রধান পরিবহন রুটগুলো বাণিজ্যকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
হাইতির গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে এবার কাজ পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নিরাপত্তা ঠিকাদারি সংস্থা। এরই মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হয়েছে। এই সংস্থা সেখানে প্রবল ক্ষমতাধর গ্যাংগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং একই সঙ্গে কর আদায়ের দায়িত্বও পালন করবে।
খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তিটি বাগিয়েছেন বিতর্কিত নিরাপত্তা ঠিকাদারি সংস্থা ব্ল্যাকওয়াটারের প্রতিষ্ঠাতা এরিক প্রিন্স। তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সমর্থক। হাইতিতে ১০ বছরের জন্য একটি চুক্তি করেছেন তিনি। এই চুক্তির অধীনে তাঁর কোম্পানি দেশটির অপরাধী চক্রগুলোকে দমনের পর কর আদায়ের দায়িত্ব পালন করবে।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স জানিয়েছেন, তাঁর কোম্পানি, ভেক্টাস গ্লোবাল, হাইতির নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার পর ডোমিনিকান রিপাবলিকের সঙ্গে আমদানি করা পণ্যের ওপর কর আদায়ের একটি ব্যবস্থা ডিজাইন ও বাস্তবায়ন করবে। তিনি আশা করেন, প্রায় ১ বছরের মধ্যে তাঁর কোম্পানি গ্যাংগুলোর কাছ থেকে প্রধান সড়ক ও এলাকার নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিতে পারবে।
প্রিন্স বলেন, ‘আমার সাফল্যের একটি প্রধান পরিমাপক হবে যখন পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ক্যাপ হাইশিয়ান পর্যন্ত কোনো পাতলা চামড়ার গাড়ি নিরাপদে চলাচল করতে পারবে এবং গ্যাংগুলো সেই গাড়ি থামাবে না।’
তবে, হাইতি সরকার ভেক্টাস গ্লোবালকে কত অর্থ দেবে এবং প্রিন্স কত কর আদায়ের প্রত্যাশা করছেন, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। হাইতির নতুন অন্তর্বর্তী কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট লরেন্ট সেইন্ট-সির এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভেক্টাস গ্লোবাল গত মার্চ থেকেই হাইতিতে কাজ শুরু করেছে। তারা মূলত ড্রোন ব্যবহার করে একটি টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহে কোম্পানিটি হাইতি পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান জোরদার করবে। এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এল সালভাদর থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েক শ স্নাইপার, গোয়েন্দা ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেলিকপ্টার ও নৌযান ব্যবহার করা হবে।
এরিক প্রিন্স, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন নেভি সিল। ১৯৯৭ সালে ব্ল্যাকওয়াটার সামরিক নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। বাগদাদের নিসুর স্কোয়ারে নিরস্ত্র ১৪ জন বেসামরিক নাগরিককে বেআইনিভাবে হত্যার দায়ে ব্ল্যাকওয়াটারের কর্মীরা দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি ২০১০ সালে কোম্পানিটি বিক্রি করে দেন। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে এই কর্মীদের ক্ষমা করে দেন।
ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর এরিক প্রিন্স ইকুয়েডরকে অপরাধী চক্র দমনে এবং কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রকে খনিজ সম্পদ সুরক্ষিত রাখতে ও কর আদায়ে সহায়তা করেছেন। জেনেভাভিত্তিক গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অ্যাগেইনস্ট ট্রান্সন্যাশনাল অর্গানাইজড ক্রাইমের হাইতি প্রোগ্রামের প্রধান রোমেইন লে কর গ্র্যান্ডমেইসন মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সম্মতি ছাড়া তাদের পক্ষে কাজ করা কঠিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র এবং হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রিন্স বা তাঁর কোম্পানিকে হাইতিতে কোনো কাজের জন্য তারা ভাড়া করেননি। এই চুক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেরও কোনো সম্পর্ক নেই।
হাইতির মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রধান গেদিওন জ্যঁ এই ধরনের বেসরকারি সামরিক কোম্পানিকে ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাইতির নিরাপত্তাহীনতার সমাধান হিসেবে বেসরকারি সামরিক কোম্পানিকে দেখা যায় না এবং বেসরকারি কোম্পানির ব্যবহার প্রায়শই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণ হয়।’ তিনি আরও সতর্ক করেন, বিদেশি কোম্পানির পেছনে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করা উচিত নয়, যেখানে দেশের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী পরিচালনার জন্যই পর্যাপ্ত তহবিল নেই।
হাইতির বর্তমান সংকটের কারণে দেশটির প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা খাদ্য সংকটে ভুগছে। গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রধান পরিবহন রুটগুলো বাণিজ্যকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে কখনোই আপস করবে না ভারত সরকার। দেশটির স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আবার কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
হাইতির গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে এবার কাজ পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নিরাপত্তা ঠিকাদারি সংস্থা। এরই মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হয়েছে। এই সংস্থা সেখানে প্রবল ক্ষমতাধর গ্যাংগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং একই সঙ্গে কর আদায়ের দায়িত্বও পালন করবে।
দক্ষিণ ইউরোপজুড়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহের মধ্যে একের পর এক দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে গ্রিস, স্পেন, তুরস্ক ও আলবেনিয়ায়।
যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর খালার (শেখ হাসিনা) মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। এর জেরে তিনি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।