
বিডিজেন ডেস্ক

মেক্সিকোর বাংলাদেশ দূতাবাসে লাতিন আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর (ইউনাম) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ইন্টার্যাকটিভ সেশন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানী মেক্সিকো সিটির বাংলাদেশ দূতাবাসে শিক্ষার্থীদেরকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশকে ঘিরে গণতান্ত্রিক রূপান্তর, পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা এবং বাংলাদেশ- মেক্সিকো সম্পর্ক নিয়ে এই ইন্টার্যাকটিভ সেশন আয়োজন করা হয়।

শিক্ষার্থী দলকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক যাত্রায় তরুণ প্রজন্মের ভূমিকাকে তুলে ধরেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
তিনি বলেন, “আমি তোমাদের মাঝে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক-এমনকি ভবিষ্যতের কোনো জাতিসংঘ মহাসচিবকেও দেখতে পাচ্ছি। তোমরাই বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে, আর সেই নেতৃত্বের কেন্দ্রে থাকতে হবে মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদাকে।"

২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি ছিল একটি যুগান্তকারী অধ্যায়। "ছাত্রসমাজ-যারা তোমাদের বয়সী- গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা এবং মানবিক মর্যাদার দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল।” তিনি বলেন, “স্বৈরাচারকে হটানোর আন্দোলনে সর্বোচ্চ ত্যগা স্বীকার করতে হয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী ছাত্র, নারী, শিশুসহ প্রায় ১৪শ নাগরিককে জীবন দিতে হয়েছে।"
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে এসব পরিবর্তনের সংযোগ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত আনসারী বলেন, "বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি মূলত সমতা ও সমমর্যাদার বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দাঁড়ানো। আমরা অগ্রাধিকার দিই শান্তি, বহুপাক্ষিকতা, জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকারকে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও একাডেমিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে মেক্সিকো বাংলাদেশের জন্য একটি উদীয়মান গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
এর আগে দূতাবাসের কাউন্সেলর আবদুল্লাহ আল ফরহাদ একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো, জনমিতিক শক্তি এবং উন্নয়ন অর্জনের বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন, বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান, অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল রূপান্তর এবং জলবায়ু সহনশীলতার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের নেতৃত্ব, বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা এবং ফিলিস্তিন ও রোহিঙ্গা সংকটসহ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে।

বাংলাদেশ-মেক্সিকো সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয়। বহুপক্ষীয় সহযোগিতা, জলবায়ু উদ্যোগ, মাইগ্রেশন গভর্ন্যান্স, প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রগুলোকে সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশেষ করে ইউনাম ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একাডেমিক বিনিময় ও যুব আদান-প্রদানকে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার মূল ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আলোচনার শেষে একটি প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা আঞ্চলিক ভূরাজনীতি ও অর্থনৈতিক কূটনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করে। পরে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এক সংক্ষিপ্ত রিসেপশনে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্রদূত আনসারী তাদের প্রত্যেককে বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কিত বই এবং ঐতিহ্যবাহী কাঁচশিল্পসহ স্মারক উপহার প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তি

মেক্সিকোর বাংলাদেশ দূতাবাসে লাতিন আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর (ইউনাম) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ইন্টার্যাকটিভ সেশন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানী মেক্সিকো সিটির বাংলাদেশ দূতাবাসে শিক্ষার্থীদেরকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশকে ঘিরে গণতান্ত্রিক রূপান্তর, পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা এবং বাংলাদেশ- মেক্সিকো সম্পর্ক নিয়ে এই ইন্টার্যাকটিভ সেশন আয়োজন করা হয়।

শিক্ষার্থী দলকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক যাত্রায় তরুণ প্রজন্মের ভূমিকাকে তুলে ধরেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
তিনি বলেন, “আমি তোমাদের মাঝে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক-এমনকি ভবিষ্যতের কোনো জাতিসংঘ মহাসচিবকেও দেখতে পাচ্ছি। তোমরাই বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে, আর সেই নেতৃত্বের কেন্দ্রে থাকতে হবে মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদাকে।"

২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি ছিল একটি যুগান্তকারী অধ্যায়। "ছাত্রসমাজ-যারা তোমাদের বয়সী- গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা এবং মানবিক মর্যাদার দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল।” তিনি বলেন, “স্বৈরাচারকে হটানোর আন্দোলনে সর্বোচ্চ ত্যগা স্বীকার করতে হয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী ছাত্র, নারী, শিশুসহ প্রায় ১৪শ নাগরিককে জীবন দিতে হয়েছে।"
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে এসব পরিবর্তনের সংযোগ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত আনসারী বলেন, "বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি মূলত সমতা ও সমমর্যাদার বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দাঁড়ানো। আমরা অগ্রাধিকার দিই শান্তি, বহুপাক্ষিকতা, জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকারকে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও একাডেমিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে মেক্সিকো বাংলাদেশের জন্য একটি উদীয়মান গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
এর আগে দূতাবাসের কাউন্সেলর আবদুল্লাহ আল ফরহাদ একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো, জনমিতিক শক্তি এবং উন্নয়ন অর্জনের বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন, বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান, অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল রূপান্তর এবং জলবায়ু সহনশীলতার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের নেতৃত্ব, বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা এবং ফিলিস্তিন ও রোহিঙ্গা সংকটসহ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে।

বাংলাদেশ-মেক্সিকো সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয়। বহুপক্ষীয় সহযোগিতা, জলবায়ু উদ্যোগ, মাইগ্রেশন গভর্ন্যান্স, প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রগুলোকে সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশেষ করে ইউনাম ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একাডেমিক বিনিময় ও যুব আদান-প্রদানকে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার মূল ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আলোচনার শেষে একটি প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা আঞ্চলিক ভূরাজনীতি ও অর্থনৈতিক কূটনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করে। পরে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এক সংক্ষিপ্ত রিসেপশনে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্রদূত আনসারী তাদের প্রত্যেককে বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কিত বই এবং ঐতিহ্যবাহী কাঁচশিল্পসহ স্মারক উপহার প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তি
ব্রিফিংয়ে ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর (ইউনাম) শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের নেতৃত্ব, বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা এবং ফিলিস্তিন ও রোহিঙ্গা সংকটসহ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে আমীর আলী বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তিনি স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ টুডে ও সাপ্তাহিক জয়বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।
যদি এই বিলটি আইনে পরিণত হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশের দ্বৈত নাগরিকেরা কঠিন এক সংকটের মুখে পড়বেন। আইনটি কার্যকর হলে, তাদের যেকোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব বেছে নিতে হবে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে ২টি বুথে 'প্রাণ' ও 'জুটেক্স' এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের বুথে পাটজাত পণ্য, সিরামিকস সামগ্রী, ঔষধসামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, খাদ্য ও পানীয় সামগ্রীসহ রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে।