
ফারুক আহমদ, লন্ডন (যুক্তরাজ্য) থেকে

লন্ডনপ্রবাসী ভাষাসৈনিক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও গবেষক আমীর আলী মারা গেছেন। তিনি গত ২৮ নভেম্বর (শুক্রবার) লন্ডনে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান।
আমীর আলী ১৯৩৬ সালের ২৬ মে ময়মনসিংহ জেলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস যশোর জেলার সারসা থানার অন্তর্গত কাঠুরিয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে বিএ অনার্স ও এমএ এবং পরে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য কারাবরণের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন। পরবর্তীকালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৫৫ সালে তিনি দ্বিতীয়বার কারাবরণ করেন।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে পাকিস্তান অডিট্স অ্যাকাউন্টস সার্ভিসের জন্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে পুলিশ রিপোর্টের জন্য তার চাকরি হয়নি।
তিনি তার প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন তৎকালীন পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার কলামিস্ট হিসেবে। পরে জগন্নাথ কলেজের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯৬৪ সালের ২৭ মার্চ উচ্চশিক্ষার্থে বিলাতে আসেন। পরে লন্ডনের সারে ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কবেক কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-অর্জনের জন্য যুক্তরাজ্যে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তিনি ছিলেন তার অন্যতম সংগঠক। সেই সময় লন্ডনের ঐতিহাসিক ‘ইস্ট পাকিস্তান হাউস’ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা ছাড়াও ‘ইস্ট পাকিস্তান হাউস’-এর বাংলা ও ইংরেজি মুখপত্র মাসিক পূর্ব বাংলা এবং এশিয়ান টাইড-এর সম্পাদনা ও প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে আমীর আলী বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তিনি স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ টুডে ও সাপ্তাহিক জয়বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ফ্রন্ট বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য থেকে একযোগে প্রকাশিত প্রগতিশীল মাসিক ম্যাগাজিন সমাজ চেতনার নির্বাহী-সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়াও, ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকার লন্ডন প্রতিনিধি হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেন।
তিনি ব্রিটিশ সরকারের ‘কমিশন ফর রেশিয়াল ইক্যুয়ালিটি’র গবেষণা বিভাগের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। ১৯৮৫ সালে তার রচিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাউস অব কমন্স হোম অ্যাফেয়ার্স কমিটি ১৯৮৬ বাংলাদেশিজ ইন ব্র্রিটেন নামক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। ১৯৯১ সালের আদমশুমারিতে ‘অ্যাথনিক কোয়েশ্চনেয়ার’-এর তিনিই রচয়িতা।
আমীর আলীর প্রকাশিত গ্রন্থ
প্রবন্ধ: স্মৃতি অনিবার: একুশে ফেব্র্রুয়ারির ইতিহাস ও সত্যাগ্রহীর বক্তব্য, জ্যোৎস্না পাবলিশার্স, ঢাকা, ২০০৯; আমার কাল আমার দেশ, জ্যোৎস্না পাবলিশার্স, ঢাকা, ২০০৯।

লন্ডনপ্রবাসী ভাষাসৈনিক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও গবেষক আমীর আলী মারা গেছেন। তিনি গত ২৮ নভেম্বর (শুক্রবার) লন্ডনে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান।
আমীর আলী ১৯৩৬ সালের ২৬ মে ময়মনসিংহ জেলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস যশোর জেলার সারসা থানার অন্তর্গত কাঠুরিয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে বিএ অনার্স ও এমএ এবং পরে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য কারাবরণের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন। পরবর্তীকালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৫৫ সালে তিনি দ্বিতীয়বার কারাবরণ করেন।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে পাকিস্তান অডিট্স অ্যাকাউন্টস সার্ভিসের জন্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে পুলিশ রিপোর্টের জন্য তার চাকরি হয়নি।
তিনি তার প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন তৎকালীন পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার কলামিস্ট হিসেবে। পরে জগন্নাথ কলেজের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯৬৪ সালের ২৭ মার্চ উচ্চশিক্ষার্থে বিলাতে আসেন। পরে লন্ডনের সারে ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কবেক কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-অর্জনের জন্য যুক্তরাজ্যে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তিনি ছিলেন তার অন্যতম সংগঠক। সেই সময় লন্ডনের ঐতিহাসিক ‘ইস্ট পাকিস্তান হাউস’ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা ছাড়াও ‘ইস্ট পাকিস্তান হাউস’-এর বাংলা ও ইংরেজি মুখপত্র মাসিক পূর্ব বাংলা এবং এশিয়ান টাইড-এর সম্পাদনা ও প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে আমীর আলী বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তিনি স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ টুডে ও সাপ্তাহিক জয়বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ফ্রন্ট বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য থেকে একযোগে প্রকাশিত প্রগতিশীল মাসিক ম্যাগাজিন সমাজ চেতনার নির্বাহী-সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়াও, ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকার লন্ডন প্রতিনিধি হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেন।
তিনি ব্রিটিশ সরকারের ‘কমিশন ফর রেশিয়াল ইক্যুয়ালিটি’র গবেষণা বিভাগের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। ১৯৮৫ সালে তার রচিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাউস অব কমন্স হোম অ্যাফেয়ার্স কমিটি ১৯৮৬ বাংলাদেশিজ ইন ব্র্রিটেন নামক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। ১৯৯১ সালের আদমশুমারিতে ‘অ্যাথনিক কোয়েশ্চনেয়ার’-এর তিনিই রচয়িতা।
আমীর আলীর প্রকাশিত গ্রন্থ
প্রবন্ধ: স্মৃতি অনিবার: একুশে ফেব্র্রুয়ারির ইতিহাস ও সত্যাগ্রহীর বক্তব্য, জ্যোৎস্না পাবলিশার্স, ঢাকা, ২০০৯; আমার কাল আমার দেশ, জ্যোৎস্না পাবলিশার্স, ঢাকা, ২০০৯।
ব্রিফিংয়ে ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর (ইউনাম) শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের নেতৃত্ব, বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা এবং ফিলিস্তিন ও রোহিঙ্গা সংকটসহ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে আমীর আলী বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তিনি স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ টুডে ও সাপ্তাহিক জয়বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।
যদি এই বিলটি আইনে পরিণত হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশের দ্বৈত নাগরিকেরা কঠিন এক সংকটের মুখে পড়বেন। আইনটি কার্যকর হলে, তাদের যেকোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব বেছে নিতে হবে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে ২টি বুথে 'প্রাণ' ও 'জুটেক্স' এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের বুথে পাটজাত পণ্য, সিরামিকস সামগ্রী, ঔষধসামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, খাদ্য ও পানীয় সামগ্রীসহ রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে।