বিডিজেন ডেস্ক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের উদ্দেশ্য নিয়ে বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাবই চূড়ান্ত নয়। সবার সম্মতি থাকা প্রস্তাবগুলোকেই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।'
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু বিষয়ে হয়তো একমত হওয়া যাবে। তবে প্রত্যেক দলই তাদের নিজ নিজ অবস্থান, দলীয় ইশতেহার ও রাজনৈতিক অভিপ্রায় ধরে রাখবে। তবে কোনো দল যদি অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করতে চায়, তাদের সেই মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সনদে আমরা কেবলমাত্র সেসব প্রস্তাবই অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, যেগুলোতে আপনাদের সম্মতি থাকবে। আমরা আলাদাভাবে প্রতিটি দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সম্মিলিত সংলাপের পথ বেছে নিয়েছি, যাতে পারস্পরিক যুক্তি-বিশ্লেষণের মাধ্যমে অবস্থানে পরিবর্তন আসতে পারে। সেই বিবেচনায় একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চাই আমরা।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ে একমত হওয়া না গেলেও, আমাদের কিছু উপসংহার টানতেই হবে—বিশেষ করে সময়ের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে। আমাদের লক্ষ্য হলো জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদটি চূড়ান্ত করা।’ তিনি বলেন, ‘সেই সনদে কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে, আর কোনটি হবে না, সে সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হবে। যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হবে না, সেগুলোকেও উল্লেখ করা হবে “আলোচিত হলেও ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি”—এই বিবেচনায়।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকের আলোচনার এজেন্ডায় রয়েছে—সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন, স্থায়ী সংসদীয় কমিটি, সরকারের মেয়াদ এবং এসব ব্যবস্থাকে কীভাবে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায়, সে বিষয়গুলো।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
বৈঠকে অংশ নিচ্ছে ৩০টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), গণ অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২–দলীয় জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাকের পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, আমজনতার দল, ভাসানী অনুসারী পরিষদ/ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের উদ্দেশ্য নিয়ে বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাবই চূড়ান্ত নয়। সবার সম্মতি থাকা প্রস্তাবগুলোকেই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।'
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু বিষয়ে হয়তো একমত হওয়া যাবে। তবে প্রত্যেক দলই তাদের নিজ নিজ অবস্থান, দলীয় ইশতেহার ও রাজনৈতিক অভিপ্রায় ধরে রাখবে। তবে কোনো দল যদি অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করতে চায়, তাদের সেই মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সনদে আমরা কেবলমাত্র সেসব প্রস্তাবই অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, যেগুলোতে আপনাদের সম্মতি থাকবে। আমরা আলাদাভাবে প্রতিটি দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সম্মিলিত সংলাপের পথ বেছে নিয়েছি, যাতে পারস্পরিক যুক্তি-বিশ্লেষণের মাধ্যমে অবস্থানে পরিবর্তন আসতে পারে। সেই বিবেচনায় একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চাই আমরা।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ে একমত হওয়া না গেলেও, আমাদের কিছু উপসংহার টানতেই হবে—বিশেষ করে সময়ের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে। আমাদের লক্ষ্য হলো জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদটি চূড়ান্ত করা।’ তিনি বলেন, ‘সেই সনদে কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে, আর কোনটি হবে না, সে সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হবে। যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হবে না, সেগুলোকেও উল্লেখ করা হবে “আলোচিত হলেও ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি”—এই বিবেচনায়।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকের আলোচনার এজেন্ডায় রয়েছে—সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন, স্থায়ী সংসদীয় কমিটি, সরকারের মেয়াদ এবং এসব ব্যবস্থাকে কীভাবে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায়, সে বিষয়গুলো।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
বৈঠকে অংশ নিচ্ছে ৩০টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), গণ অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২–দলীয় জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাকের পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, আমজনতার দল, ভাসানী অনুসারী পরিষদ/ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পরে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়ে এই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে দেশে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার যে ‘প্রতিশ্রুতি’ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিয়েছেন, তাতে ‘জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’