বিডিজেন ডেস্ক
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারত ভিসা দেওয়া সীমিত করেছে। জনপ্রিয় এই গন্তব্যের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে ভিসা পেতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশি পর্যটকদের বিদেশ ভ্রমণে ধাক্কা লেগেছে। এতে উড়োজাহাজের পাশাপাশি ট্যুর অপারেটরদের ব্যবসাও কমেছে।
থবর দৈনিক প্রথম আলোর।
ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার পরিবর্তনের পর জরুরি চিকিৎসা ছাড়া পর্যটন ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসাও পাচ্ছেন না পর্যটকেরা। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের ভিসা পেতেও দীর্ঘ সময় লাগছে। আবার পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ী ও ভ্রমণপিপাসুরা ভ্রমণ কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে দেশীয় পর্যটকদের বিদেশযাত্রা ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কমে গেছে। এতে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যও সংকুচিত হয়েছে।
জানতে চাইলে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভিসা–সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই মূলত বাংলাদেশিদের বিদেশ ভ্রমণ কমে গেছে। সাধারণত বিদেশ ভ্রমণ সীমিত হলে দেশের ভেতরের গন্তব্যে পর্যটকের আনাগোনা বাড়ে। একাধিক গন্তব্যে বিধিনিষেধ থাকায় সেটিও তুলনামূলক কম হচ্ছে।
টোয়াবের তথ্য অনুযায়ী, চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য সহজে ভিসা পাওয়ার পাশাপাশি আকাশ ও সড়কপথে যোগাযোগ থাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য হচ্ছে ভারত। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া পর্যটকদের ৪০-৪৫ শতাংশই ভারত যান। এরপরই আছে থাইল্যান্ড। চিকিৎসা, শপিং ও ঘোরাঘুরির জন্য ১৫-২০ শতাংশ বাংলাদেশি পর্যটকের গন্তব্য এই দেশটি। এর বাইরে বাংলাদেশি পর্যটকদের ১০-১৫ শতাংশ মালয়েশিয়া ও ৫-১০ শতাংশ সিঙ্গাপুরে ভ্রমণে যান। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভ্রমণে যান ১০-১৫ শতাংশ বাংলাদেশি পর্যটক। এ ছাড়া, দেশি পর্যটকদের ৫-৮ শতাংশ ইউরোপে, ৫-৮ শতাংশ নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও চীন ভ্রমণে যান।
একাধিক ট্যুর অপারেটর জানান, বর্তমানে মালয়েশিয়ার ভিসা সহজ থাকলেও ভিয়েতনাম ৮০ শতাংশ ও সিঙ্গাপুরের ৭০ শতাংশ ভিসা আবেদন বাতিল হচ্ছে। নেপালের উড়োজাহাজভাড়া বেশি হওয়ায় অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন না। যারা যাচ্ছেন, তাদের একটি বড় অংশ ইউরোপের ভিসার কাজে। এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ভিসার আবেদন নিতে শুরু করেছে থাইল্যান্ড। শুধু জটিলতা ছাড়া শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে কিছু পর্যটক যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান মার্কেট এন্টেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাফাত উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, দেশের অভ্যন্তরে ট্যুর অপারেটরদের ব্যবসার জায়গা তুলনামূলক কম। বিভিন্ন দেশের ভ্রমণের প্যাকেজ, ভিসা প্রক্রিয়া, উড়োজাহাজ ও ক্রুজের টিকিট বিক্রি করেই টিকে আছে অনেকে। তবে ৫ আগস্টের পর ব্যবসা ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে ভারত কতটা জনপ্রিয়, তা একটি পরিসংখ্যানেই বোঝা যায়। সেটি হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে গত বছর ভারতে সর্বোচ্চ পর্যটক যান। ২০১৯ সালে ২৫ লাখ ৭৭ হাজার বাংলাদেশি ভারতে যান। এরপর করোনার কারণে সংখ্যাটি কমলেও ২০২২ সাল থেকে আবার বাড়তে থাকে।
ভারতের ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ১২ লাখ ৭৭ হাজার পর্যটকের ২২ শতাংশ আকাশপথে ও বাকিরা সড়কপথে ভারত ভ্রমণ করেন। এই পর্যটকের ৬৪ দশমিক ৮ শতাংশ ঘুরতে, সাড়ে ২৫ শতাংশ চিকিৎসা ও ব্যবসা এবং পেশাগত কাজে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ ভারতে যান। ২০২৩ সালে ২১ লাখ ১৯ হাজার বাংলাদেশি ভারতে যান। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৪৭ লাখ ৮০ হাজার পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে ভারতের তুলনায় কম হলেও বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে বছরে এক লাখের বেশি পর্যটক যান। ভারত ও ইউএইর মতো গন্তব্যে ভিসা সীমিত হওয়ায় থাইল্যান্ডে যেতে চাইছেন অনেকে। তবে অনেকে আবেদন করায় ভিসা পেতে এখন ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। আগে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ভিসা মিলত।
ট্যুরিজম অথরিটি অব থাইল্যান্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ১ লাখ ২ হাজার জন বাংলাদেশি থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেন। গত বছরের একই সময়ে দেশটিতে গিয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার মানুষ। গত বছরের ১২ মাসে দেশটিতে যান ১ লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি। এর আগের বছর বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে ভ্রমণকারীর সংখ্যা ছিল ৮১ হাজার ১০৬ জন।
ভারত সরকার বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করার পর দেশটির বিভিন্ন গন্তব্য ফ্লাইটের সংখ্যা কমেছে। এ ছাড়া থাইল্যান্ড, দুবাইসহ অন্য গন্তব্যের ফ্লাইটে যাত্রী তুলনামূলক কম হচ্ছে।
জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারতে আগে সপ্তাহে ৩২টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও এখন আমরা ১২টি পরিচালনা করছি। এসব ফ্লাইটে আসনের বিপরীতে গড়ে ৬০ শতাংশ যাত্রী থাকছেন। ব্যাংককে আমরা প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছি। তাতে গড়ে ৭৫-৮০ শতাংশ আসনে যাত্রী থাকছেন। তবে ভিসা নিয়মিত থাকলে যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়ত। তবে শীত মৌসুমে ব্যাংককে যাত্রী বাড়বে এমন আভাস মিলছে।’
বিদেশে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে কাজ করে এমন ১২৩ ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন দ্য বাংলাদেশ আউটবন্ড ট্যুর অপারেটরস ফোরাম। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ট্যুর অপারেটরদের ৮০ শতাংশ ব্যবসা বিদেশে যাওয়া পর্যটকদের কাছ থেকে আসে।
জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি চৌধুরী হাসানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, করোনার পর নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে পর্যটন খাত। ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রক্রিয়া কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, সেটি কেউ বলতে পারছে না। সব মিলিয়ে অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটন খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
সূত্র: শুভংকর কর্মকার, দৈনিক প্রথম আলো
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারত ভিসা দেওয়া সীমিত করেছে। জনপ্রিয় এই গন্তব্যের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে ভিসা পেতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশি পর্যটকদের বিদেশ ভ্রমণে ধাক্কা লেগেছে। এতে উড়োজাহাজের পাশাপাশি ট্যুর অপারেটরদের ব্যবসাও কমেছে।
থবর দৈনিক প্রথম আলোর।
ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার পরিবর্তনের পর জরুরি চিকিৎসা ছাড়া পর্যটন ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসাও পাচ্ছেন না পর্যটকেরা। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের ভিসা পেতেও দীর্ঘ সময় লাগছে। আবার পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ী ও ভ্রমণপিপাসুরা ভ্রমণ কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে দেশীয় পর্যটকদের বিদেশযাত্রা ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কমে গেছে। এতে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যও সংকুচিত হয়েছে।
জানতে চাইলে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভিসা–সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই মূলত বাংলাদেশিদের বিদেশ ভ্রমণ কমে গেছে। সাধারণত বিদেশ ভ্রমণ সীমিত হলে দেশের ভেতরের গন্তব্যে পর্যটকের আনাগোনা বাড়ে। একাধিক গন্তব্যে বিধিনিষেধ থাকায় সেটিও তুলনামূলক কম হচ্ছে।
টোয়াবের তথ্য অনুযায়ী, চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য সহজে ভিসা পাওয়ার পাশাপাশি আকাশ ও সড়কপথে যোগাযোগ থাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য হচ্ছে ভারত। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া পর্যটকদের ৪০-৪৫ শতাংশই ভারত যান। এরপরই আছে থাইল্যান্ড। চিকিৎসা, শপিং ও ঘোরাঘুরির জন্য ১৫-২০ শতাংশ বাংলাদেশি পর্যটকের গন্তব্য এই দেশটি। এর বাইরে বাংলাদেশি পর্যটকদের ১০-১৫ শতাংশ মালয়েশিয়া ও ৫-১০ শতাংশ সিঙ্গাপুরে ভ্রমণে যান। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভ্রমণে যান ১০-১৫ শতাংশ বাংলাদেশি পর্যটক। এ ছাড়া, দেশি পর্যটকদের ৫-৮ শতাংশ ইউরোপে, ৫-৮ শতাংশ নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও চীন ভ্রমণে যান।
একাধিক ট্যুর অপারেটর জানান, বর্তমানে মালয়েশিয়ার ভিসা সহজ থাকলেও ভিয়েতনাম ৮০ শতাংশ ও সিঙ্গাপুরের ৭০ শতাংশ ভিসা আবেদন বাতিল হচ্ছে। নেপালের উড়োজাহাজভাড়া বেশি হওয়ায় অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন না। যারা যাচ্ছেন, তাদের একটি বড় অংশ ইউরোপের ভিসার কাজে। এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ভিসার আবেদন নিতে শুরু করেছে থাইল্যান্ড। শুধু জটিলতা ছাড়া শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে কিছু পর্যটক যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান মার্কেট এন্টেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাফাত উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, দেশের অভ্যন্তরে ট্যুর অপারেটরদের ব্যবসার জায়গা তুলনামূলক কম। বিভিন্ন দেশের ভ্রমণের প্যাকেজ, ভিসা প্রক্রিয়া, উড়োজাহাজ ও ক্রুজের টিকিট বিক্রি করেই টিকে আছে অনেকে। তবে ৫ আগস্টের পর ব্যবসা ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে ভারত কতটা জনপ্রিয়, তা একটি পরিসংখ্যানেই বোঝা যায়। সেটি হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে গত বছর ভারতে সর্বোচ্চ পর্যটক যান। ২০১৯ সালে ২৫ লাখ ৭৭ হাজার বাংলাদেশি ভারতে যান। এরপর করোনার কারণে সংখ্যাটি কমলেও ২০২২ সাল থেকে আবার বাড়তে থাকে।
ভারতের ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ১২ লাখ ৭৭ হাজার পর্যটকের ২২ শতাংশ আকাশপথে ও বাকিরা সড়কপথে ভারত ভ্রমণ করেন। এই পর্যটকের ৬৪ দশমিক ৮ শতাংশ ঘুরতে, সাড়ে ২৫ শতাংশ চিকিৎসা ও ব্যবসা এবং পেশাগত কাজে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ ভারতে যান। ২০২৩ সালে ২১ লাখ ১৯ হাজার বাংলাদেশি ভারতে যান। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৪৭ লাখ ৮০ হাজার পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে ভারতের তুলনায় কম হলেও বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে বছরে এক লাখের বেশি পর্যটক যান। ভারত ও ইউএইর মতো গন্তব্যে ভিসা সীমিত হওয়ায় থাইল্যান্ডে যেতে চাইছেন অনেকে। তবে অনেকে আবেদন করায় ভিসা পেতে এখন ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। আগে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ভিসা মিলত।
ট্যুরিজম অথরিটি অব থাইল্যান্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ১ লাখ ২ হাজার জন বাংলাদেশি থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেন। গত বছরের একই সময়ে দেশটিতে গিয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার মানুষ। গত বছরের ১২ মাসে দেশটিতে যান ১ লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি। এর আগের বছর বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে ভ্রমণকারীর সংখ্যা ছিল ৮১ হাজার ১০৬ জন।
ভারত সরকার বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করার পর দেশটির বিভিন্ন গন্তব্য ফ্লাইটের সংখ্যা কমেছে। এ ছাড়া থাইল্যান্ড, দুবাইসহ অন্য গন্তব্যের ফ্লাইটে যাত্রী তুলনামূলক কম হচ্ছে।
জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারতে আগে সপ্তাহে ৩২টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও এখন আমরা ১২টি পরিচালনা করছি। এসব ফ্লাইটে আসনের বিপরীতে গড়ে ৬০ শতাংশ যাত্রী থাকছেন। ব্যাংককে আমরা প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছি। তাতে গড়ে ৭৫-৮০ শতাংশ আসনে যাত্রী থাকছেন। তবে ভিসা নিয়মিত থাকলে যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়ত। তবে শীত মৌসুমে ব্যাংককে যাত্রী বাড়বে এমন আভাস মিলছে।’
বিদেশে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে কাজ করে এমন ১২৩ ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন দ্য বাংলাদেশ আউটবন্ড ট্যুর অপারেটরস ফোরাম। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ট্যুর অপারেটরদের ৮০ শতাংশ ব্যবসা বিদেশে যাওয়া পর্যটকদের কাছ থেকে আসে।
জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি চৌধুরী হাসানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, করোনার পর নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে পর্যটন খাত। ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রক্রিয়া কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, সেটি কেউ বলতে পারছে না। সব মিলিয়ে অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটন খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
সূত্র: শুভংকর কর্মকার, দৈনিক প্রথম আলো
যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
কথাসাহিত্যিক ও গবেষক সিরাজুল ইসলাম মুনির সমকালীন বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে সুপরিচিত নাম। তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির সমৃদ্ধ বহুমাত্রিকতা সৃষ্টি করেছে শক্তিশালী স্বতন্ত্র অবস্থান। সাবলীল শব্দ ব্যঞ্জনার প্রকাশে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন, দেশাত্মবোধ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন মাত্রাকে।