বিডিজেন ডেস্ক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে চলছে মাসব্যাপী ফুল উৎসব। ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ছুটির দিন না হলেও দুপুরের পর থেকে দলে দলে দর্শনার্থীরা ডিসি পার্কে প্রবেশ করতে থাকেন। বিকেল হতেই পার্কের ভেতরে পা ফেলার জায়গা ছিল না।
খবর প্রথম আলোর।
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেকে ঘুরে ঘুরে ফুল দেখছেন আর ছবি তুলছেন। যারা ফুল দেখতে দেখতে ক্লান্ত, তারা উপভোগ করছেন শিল্পীদের নাচ–গান। পার্কের ভেতরে অস্থায়ী খাবারের দোকান, শিশুদের বিনোদনের জায়গাগুলোতেও ভিড় ছিল।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ছিল ফুল উৎসবের ১২তম দিন। আগের দিন বুধবার এক দিনেই ১৭ হাজার দর্শনার্থী টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করেছেন। বুধবার পর্যন্ত ১১ দিনে অনলাইনে টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করেছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৮ জন দর্শনার্থী। এ ছাড়া সার্ভারের ত্রুটির কারণে সরাসরি টিকিট কেটে প্রবেশ করেছেন আরও অন্তত ১ হাজার মানুষ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গড়ে প্রতিদিন ১৮ হাজার দর্শনার্থী ডিসি পার্কে প্রবেশ করছেন। গত শুক্রবারে দর্শনার্থীদের এত চাপ ছিল যে শেষ পর্যন্ত টিকিট কাটা বন্ধ করে দিয়ে প্রবেশ উন্মুক্ত করে দিতে হয়েছে।
ফুলবাগানের ঠিক দক্ষিণ পাশে লোহার চেয়ারে বসে ছিলেন দুজন বয়স্ক দর্শনার্থী। তাদের মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমল বড়ুয়া জানান, তিনি বিয়ে করেননি। একা একটি বাসায় থাকেন। মন ভালো রাখতে মাঝেমধ্যে ডিসি পার্কে বেড়াতে আসেন তিনি। ফুল আর মানুষের আনাগোনা—সবই উপভোগ করেন তিনি।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা থেকে আসা রত্না রানী ভৌমিক বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান ছাড়া ব্যক্তিবিশেষ একসঙ্গে এত প্রজাতির ফুল দিয়ে বাগান করতে পারবেন না। একসঙ্গে এত প্রজাতির ফুল কোথাও দেখা যায় না। ডিসি পার্কের ফুল উৎসবের সুবাদে এত প্রজাতির ফুল দেখার সুযোগ হলো।
ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন সাইফুদ্দিন নামের ফটিকছড়ির ভুজপুরের এক বাসিন্দা। পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা কর্মচারীকে পছন্দের ফুলটির নাম জিজ্ঞাসা করছিলেন তিনি। কিন্তু ওই কর্মচারী নাম বলতে পারেননি। সাইফুদ্দিন বলেন, যারা ফুল পাহারা দিচ্ছেন, গাইড হিসেবে নিজ মাচার ফুলের নামগুলো তাদের জানা উচিত। যারা ফুল চেনেন না, তারা জিজ্ঞাসা করলেই যেন ফুলের নাম বলতে পারেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম এবং বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন।
ফুল উৎসবে আসা দর্শকদের বাউল ও কাওয়ালি গানে মাতিয়ে রেখেছিলেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা, ছিল নাচের শিল্পীদের পরিবেশনাও। দর্শকের অনুরোধে সায়েম সানিকে ৩ বার মঞ্চে তুলতে হয়। দর্শক সামাল দিতে সঞ্চালকসহ আয়োজকদের হিমশিম খেতে হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় সঞ্চালক মাইকে ঘোষণা করলেন, কাওয়ালি নিয়ে আসছেন শিল্পী সায়েম সানি। উৎফুল্ল দর্শক হাততালি দিতে শুরু করলেন। মঞ্চের সামনে দর্শকের চেয়ার তখনো কয়েকটা খালি। গান শুরু হতেই সব চেয়ার ভর্তি হয়ে গেল। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দর্শকের আসন পরিপূর্ণ ছিল।
সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, শিল্পীদের গানের তালে চেয়ার ছেড়ে দর্শনার্থীদের নাচতে শুরু করার দৃশ্য তাঁর কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সীতাকুণ্ড শিল্পকলা একাডেমির কয়েকজন সদস্যের পরিবেশনা ছিল অনবদ্য।
সূত্র: প্রথম আলো
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে চলছে মাসব্যাপী ফুল উৎসব। ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ছুটির দিন না হলেও দুপুরের পর থেকে দলে দলে দর্শনার্থীরা ডিসি পার্কে প্রবেশ করতে থাকেন। বিকেল হতেই পার্কের ভেতরে পা ফেলার জায়গা ছিল না।
খবর প্রথম আলোর।
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেকে ঘুরে ঘুরে ফুল দেখছেন আর ছবি তুলছেন। যারা ফুল দেখতে দেখতে ক্লান্ত, তারা উপভোগ করছেন শিল্পীদের নাচ–গান। পার্কের ভেতরে অস্থায়ী খাবারের দোকান, শিশুদের বিনোদনের জায়গাগুলোতেও ভিড় ছিল।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ছিল ফুল উৎসবের ১২তম দিন। আগের দিন বুধবার এক দিনেই ১৭ হাজার দর্শনার্থী টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করেছেন। বুধবার পর্যন্ত ১১ দিনে অনলাইনে টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করেছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৮ জন দর্শনার্থী। এ ছাড়া সার্ভারের ত্রুটির কারণে সরাসরি টিকিট কেটে প্রবেশ করেছেন আরও অন্তত ১ হাজার মানুষ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গড়ে প্রতিদিন ১৮ হাজার দর্শনার্থী ডিসি পার্কে প্রবেশ করছেন। গত শুক্রবারে দর্শনার্থীদের এত চাপ ছিল যে শেষ পর্যন্ত টিকিট কাটা বন্ধ করে দিয়ে প্রবেশ উন্মুক্ত করে দিতে হয়েছে।
ফুলবাগানের ঠিক দক্ষিণ পাশে লোহার চেয়ারে বসে ছিলেন দুজন বয়স্ক দর্শনার্থী। তাদের মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমল বড়ুয়া জানান, তিনি বিয়ে করেননি। একা একটি বাসায় থাকেন। মন ভালো রাখতে মাঝেমধ্যে ডিসি পার্কে বেড়াতে আসেন তিনি। ফুল আর মানুষের আনাগোনা—সবই উপভোগ করেন তিনি।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা থেকে আসা রত্না রানী ভৌমিক বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান ছাড়া ব্যক্তিবিশেষ একসঙ্গে এত প্রজাতির ফুল দিয়ে বাগান করতে পারবেন না। একসঙ্গে এত প্রজাতির ফুল কোথাও দেখা যায় না। ডিসি পার্কের ফুল উৎসবের সুবাদে এত প্রজাতির ফুল দেখার সুযোগ হলো।
ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন সাইফুদ্দিন নামের ফটিকছড়ির ভুজপুরের এক বাসিন্দা। পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা কর্মচারীকে পছন্দের ফুলটির নাম জিজ্ঞাসা করছিলেন তিনি। কিন্তু ওই কর্মচারী নাম বলতে পারেননি। সাইফুদ্দিন বলেন, যারা ফুল পাহারা দিচ্ছেন, গাইড হিসেবে নিজ মাচার ফুলের নামগুলো তাদের জানা উচিত। যারা ফুল চেনেন না, তারা জিজ্ঞাসা করলেই যেন ফুলের নাম বলতে পারেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম এবং বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন।
ফুল উৎসবে আসা দর্শকদের বাউল ও কাওয়ালি গানে মাতিয়ে রেখেছিলেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা, ছিল নাচের শিল্পীদের পরিবেশনাও। দর্শকের অনুরোধে সায়েম সানিকে ৩ বার মঞ্চে তুলতে হয়। দর্শক সামাল দিতে সঞ্চালকসহ আয়োজকদের হিমশিম খেতে হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় সঞ্চালক মাইকে ঘোষণা করলেন, কাওয়ালি নিয়ে আসছেন শিল্পী সায়েম সানি। উৎফুল্ল দর্শক হাততালি দিতে শুরু করলেন। মঞ্চের সামনে দর্শকের চেয়ার তখনো কয়েকটা খালি। গান শুরু হতেই সব চেয়ার ভর্তি হয়ে গেল। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দর্শকের আসন পরিপূর্ণ ছিল।
সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, শিল্পীদের গানের তালে চেয়ার ছেড়ে দর্শনার্থীদের নাচতে শুরু করার দৃশ্য তাঁর কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সীতাকুণ্ড শিল্পকলা একাডেমির কয়েকজন সদস্যের পরিবেশনা ছিল অনবদ্য।
সূত্র: প্রথম আলো
জুলাই সনদ একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। এই রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল কখনোই সংবিধানের ওপরে প্রাধান্য পেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় আপত্তির একটি জায়গা।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষ হবে বর্তমান আসনভিত্তিক। আর উচ্চকক্ষ হবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর)। সংবিধান সংস্কার কমিশনও একই রকম প্রস্তাব করেছে।
গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে গণমাধ্যমকে সতর্ক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা জানিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।