প্রতিবেদক, বিডিজেন
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর পদত্যাগ বা অপসারণ দাবি করেছেন সাবেক ও বর্তমান আমলারা। তারা বলেন, প্রশাসন নিয়ে ছেলেখেলা করা উচিত না। এর ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলা হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশের আগেই আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব তৈরিকে ষড়যন্ত্র অংশ হিসেবে বিবেচনা করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আর কমিশন যদি কোনো ‘অযাচিত’ সুপারিশ করে, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
প্রশাসনে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরীক্ষা প্রবর্তন, কোটা কমিয়ে পঞ্চাশ ভাগ করার বিষয়গুলো এসেছে জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনের আলোচনায়। এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে আমলাদের মধ্যে।
বুধবার ২৫ ডিসেম্বর বিয়াম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সভায় আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, গত তিন নির্বাচনের জন্য একতরফা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়ী করার সুযোগ নেই। কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোটা কমানো চলবে না। বরং শতভাগ প্রশাসন থেকে পদোন্নতির দাবি তাদের।
বর্তমানে প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব হতে পারেন। এই পদে পদোন্নতির বিষয়ে কোটা নিয়ে উচ্চ আদালতের একটি রায়ও আছে। উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ ও অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নেওয়া হয়। বর্তমানে কর্মরত উপসচিবের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৬০০।
এখন সরকার গঠিত জনপ্রশাসন প্রশাসন সংস্কার কমিশন এই উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ ও অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে। একই সঙ্গে কমিশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারে না রেখে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো আলাদা করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে।
কিন্তু বিষয়টি সামনে আসার পর থেকে প্রতিবাদের পাশাপাশি আন্তক্যাডার দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। এমন সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতির কোটা কমে যাবে বলে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই ক্যাডারে কর্মকর্তা রয়েছেন ছয় হাজারের বেশি। তাঁদের এখন দাবি, সহকারী কমিশনার (শুরুর পদ) থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত পদগুলোর সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অর্থাৎ প্রশাসনের শতভাগ পদ হতে হবে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য। এ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নিজেদের দাবিতে গত রোববার সচিবালয়ে বড় জমায়েত করেন।
এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যেহেতু আপনি এই কাজ করেছেন, এইখানে থাকার অধিকার আপনি হারিয়ে ফেলেছেন। আশা করি অবিলম্বে এই সংস্কার কমিশন থেকে পদত্যাগ করবেন।’
আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাসঙ্গিক কর্মকর্তারা তাদের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তারা উপসচিব হবে না। মেধার ভিত্তিতে এগিয়ে থেকে তারা উপসচিব হবে না। যারা এই পদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতা কম তাদেরকে আমাদের উপসচিব বানাতে হবে, এটাই কি রাষ্ট্রের কল্যাণ?’
সংস্কার কমিশনের পুরো রিপোর্ট প্রকাশের আগেই নানা সিদ্ধান্ত সামনে আনাকে ষড়যন্ত্র বলেছেন কর্মকর্তারা। তাদের দাবি এর ফলে আন্ত:ক্যাডার দ্বন্দ্ব তৈরি করো হয়েছে। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘২৫ শতাংশ কোটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, আজকে পূর্ব থেকে চাপিয়ে দেওয়া বৈষম্যকে বহুলাংশে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে।’
প্রশাসন ক্যাডারের কনিষ্ঠ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক কর্মকর্তারা। তারা বলেন, কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনতে হবে কমিশনকে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর পদত্যাগ বা অপসারণ দাবি করেছেন সাবেক ও বর্তমান আমলারা। তারা বলেন, প্রশাসন নিয়ে ছেলেখেলা করা উচিত না। এর ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলা হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশের আগেই আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব তৈরিকে ষড়যন্ত্র অংশ হিসেবে বিবেচনা করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আর কমিশন যদি কোনো ‘অযাচিত’ সুপারিশ করে, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
প্রশাসনে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরীক্ষা প্রবর্তন, কোটা কমিয়ে পঞ্চাশ ভাগ করার বিষয়গুলো এসেছে জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনের আলোচনায়। এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে আমলাদের মধ্যে।
বুধবার ২৫ ডিসেম্বর বিয়াম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সভায় আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, গত তিন নির্বাচনের জন্য একতরফা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়ী করার সুযোগ নেই। কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোটা কমানো চলবে না। বরং শতভাগ প্রশাসন থেকে পদোন্নতির দাবি তাদের।
বর্তমানে প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব হতে পারেন। এই পদে পদোন্নতির বিষয়ে কোটা নিয়ে উচ্চ আদালতের একটি রায়ও আছে। উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ ও অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নেওয়া হয়। বর্তমানে কর্মরত উপসচিবের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৬০০।
এখন সরকার গঠিত জনপ্রশাসন প্রশাসন সংস্কার কমিশন এই উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ ও অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে। একই সঙ্গে কমিশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারে না রেখে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো আলাদা করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে।
কিন্তু বিষয়টি সামনে আসার পর থেকে প্রতিবাদের পাশাপাশি আন্তক্যাডার দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। এমন সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতির কোটা কমে যাবে বলে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই ক্যাডারে কর্মকর্তা রয়েছেন ছয় হাজারের বেশি। তাঁদের এখন দাবি, সহকারী কমিশনার (শুরুর পদ) থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত পদগুলোর সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অর্থাৎ প্রশাসনের শতভাগ পদ হতে হবে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য। এ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নিজেদের দাবিতে গত রোববার সচিবালয়ে বড় জমায়েত করেন।
এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যেহেতু আপনি এই কাজ করেছেন, এইখানে থাকার অধিকার আপনি হারিয়ে ফেলেছেন। আশা করি অবিলম্বে এই সংস্কার কমিশন থেকে পদত্যাগ করবেন।’
আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাসঙ্গিক কর্মকর্তারা তাদের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তারা উপসচিব হবে না। মেধার ভিত্তিতে এগিয়ে থেকে তারা উপসচিব হবে না। যারা এই পদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতা কম তাদেরকে আমাদের উপসচিব বানাতে হবে, এটাই কি রাষ্ট্রের কল্যাণ?’
সংস্কার কমিশনের পুরো রিপোর্ট প্রকাশের আগেই নানা সিদ্ধান্ত সামনে আনাকে ষড়যন্ত্র বলেছেন কর্মকর্তারা। তাদের দাবি এর ফলে আন্ত:ক্যাডার দ্বন্দ্ব তৈরি করো হয়েছে। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘২৫ শতাংশ কোটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, আজকে পূর্ব থেকে চাপিয়ে দেওয়া বৈষম্যকে বহুলাংশে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে।’
প্রশাসন ক্যাডারের কনিষ্ঠ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক কর্মকর্তারা। তারা বলেন, কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনতে হবে কমিশনকে।
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।