বিডিজেন ডেস্ক
সিলেটের বিশ্বনাথে দুই প্রবাসী পরিবারের ঈদ–আনন্দ রূপ নিয়েছে বিষাদে। উভয় পরিবারই মধ্যপ্রাচ্যে থাকা নিজেদের স্বজন হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় ও অন্যজন ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন।
খবর প্রথম আলোর।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হাসনাজী গ্রামের সাবুল মিয়া (৩৯) গত বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে ওমানের মাসকটে সড়ক দুর্ঘটনায় এবং লামাকাজি ইউনিয়নের ভূরকী গ্রামের ফয়জুল হক (৫৫) গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। গত বুধবার দেশে তাঁদের মৃত্যুর খবর এসেছে। এর পরপরই উভয় পরিবারে চলছে শোক।
সাবুলের ছোট ভাই সাজন মিয়া জানান, তাঁর বড় ভাই প্রায় ৯ বছর প্রবাসে আছেন। এর মধ্যে দুইবার দেশে এসেছিলেন। গত ডিসেম্বরে প্রায় আড়াই মাস ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন। আর এক বছর পর তাঁর একবারে দেশে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই তিনি না–ফেরার দেশে চলে গেছেন।
সাজন আরও জানান, সাবুলের আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। শিশুটির আর বাবা ডাকা হলো না। ঈদের পরপরই এত বড় দুঃসংবাদ পাবেন—এমনটি অপ্রত্যাশিত ছিল। ওমানে থাকা তাদের এলাকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে গত বুধবার খবরটি জেনেছেন তারা।
সাবুলের স্বজনেরা জানান, বুধবার সকালে তিনিসহ চারজন গাড়ি নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পথে চালক হঠাৎ ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় মাসকটের আমলা-ইবরি এলাকায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সাবুলসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে তার মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মরদেহটি দেশে আনার বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ চলছে। তারা আশা করছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সাবুলের মরদেহ দেশে আনা যাবে।
অন্যদিকে ফয়জুল হক সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির শামখা এলাকায় নিজ কর্মস্থলে খুন হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তিনি সেখানে সহকর্মীদের হাতে খুন হন। বিষয়টি গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে দেশের স্বজনেরা জানতে পারেন।
ফয়জুলের খালাতো ভাই আলতাফ হোসেন বলেন, ওই দেশে এলাকার কেউ নেই। ফয়জুল হকের এক সহকর্মীর মাধ্যমে তারা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। আবুধাবিতে কর্মস্থলে দুই বাংলাদেশি সহকর্মী তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। তারা ওই দেশের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ফয়জুল হকের মরদেহ দেশে আনার ব্যাপারে এখনো তেমন কোনো কিছুই অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার। তার পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। স্বজন হারিয়ে তারা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। প্রায় তিন মাস আগে দেশে ছুটি কাটিয়ে আবুধাবিতে ফিরেছিলেন ফয়জুল।
সূত্র: প্রথম আলো
সিলেটের বিশ্বনাথে দুই প্রবাসী পরিবারের ঈদ–আনন্দ রূপ নিয়েছে বিষাদে। উভয় পরিবারই মধ্যপ্রাচ্যে থাকা নিজেদের স্বজন হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় ও অন্যজন ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন।
খবর প্রথম আলোর।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হাসনাজী গ্রামের সাবুল মিয়া (৩৯) গত বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে ওমানের মাসকটে সড়ক দুর্ঘটনায় এবং লামাকাজি ইউনিয়নের ভূরকী গ্রামের ফয়জুল হক (৫৫) গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। গত বুধবার দেশে তাঁদের মৃত্যুর খবর এসেছে। এর পরপরই উভয় পরিবারে চলছে শোক।
সাবুলের ছোট ভাই সাজন মিয়া জানান, তাঁর বড় ভাই প্রায় ৯ বছর প্রবাসে আছেন। এর মধ্যে দুইবার দেশে এসেছিলেন। গত ডিসেম্বরে প্রায় আড়াই মাস ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন। আর এক বছর পর তাঁর একবারে দেশে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই তিনি না–ফেরার দেশে চলে গেছেন।
সাজন আরও জানান, সাবুলের আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। শিশুটির আর বাবা ডাকা হলো না। ঈদের পরপরই এত বড় দুঃসংবাদ পাবেন—এমনটি অপ্রত্যাশিত ছিল। ওমানে থাকা তাদের এলাকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে গত বুধবার খবরটি জেনেছেন তারা।
সাবুলের স্বজনেরা জানান, বুধবার সকালে তিনিসহ চারজন গাড়ি নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পথে চালক হঠাৎ ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় মাসকটের আমলা-ইবরি এলাকায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সাবুলসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে তার মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মরদেহটি দেশে আনার বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ চলছে। তারা আশা করছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সাবুলের মরদেহ দেশে আনা যাবে।
অন্যদিকে ফয়জুল হক সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির শামখা এলাকায় নিজ কর্মস্থলে খুন হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তিনি সেখানে সহকর্মীদের হাতে খুন হন। বিষয়টি গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে দেশের স্বজনেরা জানতে পারেন।
ফয়জুলের খালাতো ভাই আলতাফ হোসেন বলেন, ওই দেশে এলাকার কেউ নেই। ফয়জুল হকের এক সহকর্মীর মাধ্যমে তারা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। আবুধাবিতে কর্মস্থলে দুই বাংলাদেশি সহকর্মী তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। তারা ওই দেশের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ফয়জুল হকের মরদেহ দেশে আনার ব্যাপারে এখনো তেমন কোনো কিছুই অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার। তার পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। স্বজন হারিয়ে তারা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। প্রায় তিন মাস আগে দেশে ছুটি কাটিয়ে আবুধাবিতে ফিরেছিলেন ফয়জুল।
সূত্র: প্রথম আলো
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।