প্রতিবেদক, বিডিজেন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার নিয়ে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বৈঠকে প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্রের মূলনীতি, মৌলিক অধিকারসমূহ, আইন বিভাগের সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের কথা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিনভর এই বৈঠক হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিএনপির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ও নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সচিব নিরুজ্জামান খান। দুপুরে মধ্যাহ্নবিরতি দিয়ে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এদিনের মতো আলোচনা শেষ হয়।
কতগুলো বিষয়ে একমত, তা এখনই বলতে পারব না: সালাহ উদ্দিন আহমদ
বৈঠক শেষে বিকেলে আলোচনা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় কিছু কিছু বিষয়ে তাঁরা একমত হয়েছেন, তবে সেগুলো এখন সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবেন না।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা আলোচনা শুরু করেছিলাম সংবিধান সংস্কার বিষয়ে এবং এর পরবর্তী সময়ে কিছুক্ষণ আগে আমরা বিচার বিভাগ নিয়ে আলোচনা করেছি। এগুলো বিস্তারিত দফাওয়ারি আমরা আলোচনা করে যাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে এখন আমি স্পেসিফিক আপনাদের বলতে পারব না, আমরা কতটা একমত।’
সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, ফান্ডামেন্টাল রাইটস এগুলোর ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি এবং কিছু কিছু বিষয়ে আমরা আমাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেছি, ওনারাও আমাদের মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।’
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিষয়ে বিএনপি পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় বলে জানান সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘ওইখানে ধর্মনিরপেক্ষতা নেই। আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস আছে। ওইখানে গণতন্ত্র ,জাতীয়তাবাদসহ সবকিছু আছে রাষ্ট্র ও সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে। দুইটা দুই জিনিস। আমরা বহুত্ববাদের পক্ষে নই, ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির পক্ষেও নই। আমরা বহুত্ববাদের বিরোধিতা করেছি। তবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের যে কথাগুলো স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা আছে, সেই সমস্ত বিষয়ে ওনারা প্রস্তাবনায় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, এখানে প্রস্তাব করেছেন। আমরা বলেছি, এ বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে একমত তবে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা আপনাদেরকে পরে জানাব।’
বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপির দলীয় ফোরামেও আলোচনা হবে জানিয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে আমাদের মতামত জানিয়েছি, ওনারাও ওনাদের মতামত জানিয়েছেন, কতটুকু গ্রহণ করবেন, সেটা পরবর্তী সময়ে দেখা যাবে। ৭০ অনুচ্ছেদের অর্থবিল ছাড়া বাকি সব যদি হয়, তাহলে সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে না, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক বাধা আসতে পারে। সে জন্য আমরা বলেছি, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধন বিল, আস্থা ভোট এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিধানসংশ্লিষ্ট বিষয় বাদে সংসদ সদস্যরা বাকি সব বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।’
সব বিষয়ে গণভোট প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, শুধু রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বিষয়ে গণভোট হতে পারে। এরপরও ভবিষ্যতে সংসদ যদি কোনো বিষয়ে গণভোট আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা মনে করে, তাহলে তারা সেটা চিন্তা করতে পারে। ঢালাওভাবে গণভোট হওয়া অনুচিত হবে। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাবগুলোর ওপর যে মতামত দেওয়া হয়েছিল, সেখানে তাঁরা বলেছেন, এই ধারণার সঙ্গে বিএনপি একমত নয়। কারণ, বাংলাদেশে কখনো এনসিসির প্রয়োগ ছিল না। এখন প্রবর্তন করা হলে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও সংসদের ইতিহাসে এটা নতুন হবে।
এ প্রসঙ্গে সালাহ উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে এমন কোনো ব্যবস্থা হলে সেটা অন্য ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগ ও আইন সভাকে দুর্বল করে দিচ্ছে কি না, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে, যখন সংসদ থাকবে না অথবা ভেঙে যায়, সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে সেই কমিশন খুব বেশি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে অন্য কিছু করে কি না, এগুলো আমরা চিন্তাভাবনা করেছি। তারপরও আমরা বলেছি, বিষয়টা পরবর্তী নির্বাচিত সংসদে বিস্তর আলোচনার মধ্য দিয়ে গ্রহণ করা হবে কি হবে না, সেটা তখন দেখা যাবে। এখন আমরা নীতিগতভাবে একমত নই।’
আগে দ্বিমত ছিল, এখন একমত হয়েছেন, এমন কিছু আছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অনেক বিষয় আছে। এগুলো কম্পাইল (একসঙ্গে করে) করে আমরা জানাব।’
যেসব বিষয়ে একমত হয়েছেন, তার বাস্তবায়নটা কীভাবে হবে—এ প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজটা কী? সবার সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেসব বিষয়ে, সেগুলো একত্র করে ওনারা রিপোর্ট তৈরি করবে। হয়তো যারা যারা একমত হয়েছে, সেই পক্ষগুলোকে স্বাক্ষর হয়তো করতে বলবে। এটাকে ওনারা জুলাই চার্টার বলবে কি না, এটা ওনাদের বিষয়।’
আগামী রোববার বেলা ১১টা থেকে একই স্থানে কমিশনের সঙ্গে বিএনপির আবার আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার নিয়ে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বৈঠকে প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্রের মূলনীতি, মৌলিক অধিকারসমূহ, আইন বিভাগের সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের কথা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিনভর এই বৈঠক হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিএনপির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ও নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সচিব নিরুজ্জামান খান। দুপুরে মধ্যাহ্নবিরতি দিয়ে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এদিনের মতো আলোচনা শেষ হয়।
কতগুলো বিষয়ে একমত, তা এখনই বলতে পারব না: সালাহ উদ্দিন আহমদ
বৈঠক শেষে বিকেলে আলোচনা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় কিছু কিছু বিষয়ে তাঁরা একমত হয়েছেন, তবে সেগুলো এখন সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবেন না।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা আলোচনা শুরু করেছিলাম সংবিধান সংস্কার বিষয়ে এবং এর পরবর্তী সময়ে কিছুক্ষণ আগে আমরা বিচার বিভাগ নিয়ে আলোচনা করেছি। এগুলো বিস্তারিত দফাওয়ারি আমরা আলোচনা করে যাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে এখন আমি স্পেসিফিক আপনাদের বলতে পারব না, আমরা কতটা একমত।’
সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, ফান্ডামেন্টাল রাইটস এগুলোর ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি এবং কিছু কিছু বিষয়ে আমরা আমাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেছি, ওনারাও আমাদের মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।’
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিষয়ে বিএনপি পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় বলে জানান সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘ওইখানে ধর্মনিরপেক্ষতা নেই। আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস আছে। ওইখানে গণতন্ত্র ,জাতীয়তাবাদসহ সবকিছু আছে রাষ্ট্র ও সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে। দুইটা দুই জিনিস। আমরা বহুত্ববাদের পক্ষে নই, ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির পক্ষেও নই। আমরা বহুত্ববাদের বিরোধিতা করেছি। তবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের যে কথাগুলো স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা আছে, সেই সমস্ত বিষয়ে ওনারা প্রস্তাবনায় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, এখানে প্রস্তাব করেছেন। আমরা বলেছি, এ বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে একমত তবে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা আপনাদেরকে পরে জানাব।’
বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপির দলীয় ফোরামেও আলোচনা হবে জানিয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে আমাদের মতামত জানিয়েছি, ওনারাও ওনাদের মতামত জানিয়েছেন, কতটুকু গ্রহণ করবেন, সেটা পরবর্তী সময়ে দেখা যাবে। ৭০ অনুচ্ছেদের অর্থবিল ছাড়া বাকি সব যদি হয়, তাহলে সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে না, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক বাধা আসতে পারে। সে জন্য আমরা বলেছি, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধন বিল, আস্থা ভোট এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিধানসংশ্লিষ্ট বিষয় বাদে সংসদ সদস্যরা বাকি সব বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।’
সব বিষয়ে গণভোট প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, শুধু রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বিষয়ে গণভোট হতে পারে। এরপরও ভবিষ্যতে সংসদ যদি কোনো বিষয়ে গণভোট আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা মনে করে, তাহলে তারা সেটা চিন্তা করতে পারে। ঢালাওভাবে গণভোট হওয়া অনুচিত হবে। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাবগুলোর ওপর যে মতামত দেওয়া হয়েছিল, সেখানে তাঁরা বলেছেন, এই ধারণার সঙ্গে বিএনপি একমত নয়। কারণ, বাংলাদেশে কখনো এনসিসির প্রয়োগ ছিল না। এখন প্রবর্তন করা হলে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও সংসদের ইতিহাসে এটা নতুন হবে।
এ প্রসঙ্গে সালাহ উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে এমন কোনো ব্যবস্থা হলে সেটা অন্য ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগ ও আইন সভাকে দুর্বল করে দিচ্ছে কি না, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে, যখন সংসদ থাকবে না অথবা ভেঙে যায়, সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে সেই কমিশন খুব বেশি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে অন্য কিছু করে কি না, এগুলো আমরা চিন্তাভাবনা করেছি। তারপরও আমরা বলেছি, বিষয়টা পরবর্তী নির্বাচিত সংসদে বিস্তর আলোচনার মধ্য দিয়ে গ্রহণ করা হবে কি হবে না, সেটা তখন দেখা যাবে। এখন আমরা নীতিগতভাবে একমত নই।’
আগে দ্বিমত ছিল, এখন একমত হয়েছেন, এমন কিছু আছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অনেক বিষয় আছে। এগুলো কম্পাইল (একসঙ্গে করে) করে আমরা জানাব।’
যেসব বিষয়ে একমত হয়েছেন, তার বাস্তবায়নটা কীভাবে হবে—এ প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজটা কী? সবার সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেসব বিষয়ে, সেগুলো একত্র করে ওনারা রিপোর্ট তৈরি করবে। হয়তো যারা যারা একমত হয়েছে, সেই পক্ষগুলোকে স্বাক্ষর হয়তো করতে বলবে। এটাকে ওনারা জুলাই চার্টার বলবে কি না, এটা ওনাদের বিষয়।’
আগামী রোববার বেলা ১১টা থেকে একই স্থানে কমিশনের সঙ্গে বিএনপির আবার আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে সম্পৃক্ত করা ছাড়া রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তবে তিনি এ-ও মনে করেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অগ্রগতির ক্ষেত্রে আরাকান আর্মি সবচেয়ে বড় বাধা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য বর্তমানে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে। সেখানে এখনই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, লাখ লাখ প্রবাসীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে বিশেষ করে কনস্যুলেট জেনারেল অফিসগুলোতে জনবল বৃদ্ধিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।