
বিডিজেন ডেস্ক

ঢাকার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম ওরফে সাগর মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
খবর ঢাকা ট্রিবিউনের।
নিহত তৌকির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়ের কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকার তহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজশাহী ল্যাবরেটরি স্কুলের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের পরিবার রাজশাহী নগরের উপশহর তিন নম্বর সেক্টরের আশ্রয় ভবন নামের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তার বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, বোন সৃষ্টি ও ভগ্নিপতি সেই বাড়িতে থাকতেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা জানতেন না যে, তৌকির ইসলাম মারা গেছেন। সে সময় জানতেন তৌকির ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহতের মামা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়িতে কেউ নেই। তৌকিরের দুর্ঘটনার খবরে সবাই ঢাকা চলে গেছেন। তার জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কিছু বলার নেই। এ রকম ভালো ছেলে আমি আর দেখিনি। সেই ছেলেকে এভাবে হারিয়ে ফেলব বুঝিনি। তারা সবাই মানুষ হিসেবে অনেক ভালো। তৌকিরের স্ত্রী ঢাকার একটি সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন।’
নিহতের বাবা তহুরুল ইসলামের গাড়িচালক আলী হাসান জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের সবাই ঢাকা গেছেন। বিকেল ৫টা ১৮ মিনিটে বিশেষ একটি ফ্লাইটে রাজশাহী হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর থেকে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
তৌকিরের পরিবার যে বাসায় ভাড়া থাকেন তার মালিক আতিকুল ইসলাম জানান, তৌকির প্রথমবারের মতো একা প্রশিক্ষণ বিমান চালাবেন- এই খবরে পুরো পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দুপুরের পর তারা বিমান বিধ্বস্তের খবর পান। সে সময় জানতে পারেন সাগর ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাগরকে দেখতে পরিবারের সদস্যরা বিমানযোগে ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে র্যাবের একটি মাইক্রোবাসে করে ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে রাজশাহী শাহমখদুম বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তারা ঢাকা রওনা হন।
তৌকিরের আরেক আত্মীয় মনিরা খাতুন জানান, ২০১৮ সালে যশোরে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তাঁর ব্যাচমেট মারা গিয়েছিল। তখনই তাঁর বাবা-মা তাঁকে বিমানে চাকরি করতে নিষেধ করেছিল। কারণ ওই প্রশিক্ষণ বিমানে তারও ওঠার কথা ছিল। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেদিন প্রশিক্ষণ বিমানে না ওঠায় তিনি বেঁচে যান। কিন্তু সাগরের এই পাইলটের চাকরিটা পছন্দ ছিল। এরপর তাঁর বাবা-মা বলেছিলেন, তুমি যেটা ভালো মনে করো তোমার ওপরই ছেড়ে দিলাম। কিন্তু সাগর এবার আর বাঁচল না। এক বছর আগে বিয়ে করেছিল। কিন্তু বিয়ের আনুষ্ঠিকতা ৬ মাস আগে হয়েছে। তার স্ত্রী ক্যাডেট কলেজের ছাত্রী ছিলেন। পরে পাস করে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। তাদের বাড়ি গাজীপুর জেলায়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর যে প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তার একমাত্র পাইলট ছিলেন তৌকির। দুর্ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন

ঢাকার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম ওরফে সাগর মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
খবর ঢাকা ট্রিবিউনের।
নিহত তৌকির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়ের কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকার তহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজশাহী ল্যাবরেটরি স্কুলের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের পরিবার রাজশাহী নগরের উপশহর তিন নম্বর সেক্টরের আশ্রয় ভবন নামের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তার বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, বোন সৃষ্টি ও ভগ্নিপতি সেই বাড়িতে থাকতেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা জানতেন না যে, তৌকির ইসলাম মারা গেছেন। সে সময় জানতেন তৌকির ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহতের মামা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়িতে কেউ নেই। তৌকিরের দুর্ঘটনার খবরে সবাই ঢাকা চলে গেছেন। তার জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কিছু বলার নেই। এ রকম ভালো ছেলে আমি আর দেখিনি। সেই ছেলেকে এভাবে হারিয়ে ফেলব বুঝিনি। তারা সবাই মানুষ হিসেবে অনেক ভালো। তৌকিরের স্ত্রী ঢাকার একটি সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন।’
নিহতের বাবা তহুরুল ইসলামের গাড়িচালক আলী হাসান জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের সবাই ঢাকা গেছেন। বিকেল ৫টা ১৮ মিনিটে বিশেষ একটি ফ্লাইটে রাজশাহী হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর থেকে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
তৌকিরের পরিবার যে বাসায় ভাড়া থাকেন তার মালিক আতিকুল ইসলাম জানান, তৌকির প্রথমবারের মতো একা প্রশিক্ষণ বিমান চালাবেন- এই খবরে পুরো পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দুপুরের পর তারা বিমান বিধ্বস্তের খবর পান। সে সময় জানতে পারেন সাগর ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাগরকে দেখতে পরিবারের সদস্যরা বিমানযোগে ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে র্যাবের একটি মাইক্রোবাসে করে ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে রাজশাহী শাহমখদুম বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তারা ঢাকা রওনা হন।
তৌকিরের আরেক আত্মীয় মনিরা খাতুন জানান, ২০১৮ সালে যশোরে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তাঁর ব্যাচমেট মারা গিয়েছিল। তখনই তাঁর বাবা-মা তাঁকে বিমানে চাকরি করতে নিষেধ করেছিল। কারণ ওই প্রশিক্ষণ বিমানে তারও ওঠার কথা ছিল। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেদিন প্রশিক্ষণ বিমানে না ওঠায় তিনি বেঁচে যান। কিন্তু সাগরের এই পাইলটের চাকরিটা পছন্দ ছিল। এরপর তাঁর বাবা-মা বলেছিলেন, তুমি যেটা ভালো মনে করো তোমার ওপরই ছেড়ে দিলাম। কিন্তু সাগর এবার আর বাঁচল না। এক বছর আগে বিয়ে করেছিল। কিন্তু বিয়ের আনুষ্ঠিকতা ৬ মাস আগে হয়েছে। তার স্ত্রী ক্যাডেট কলেজের ছাত্রী ছিলেন। পরে পাস করে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। তাদের বাড়ি গাজীপুর জেলায়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর যে প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তার একমাত্র পাইলট ছিলেন তৌকির। দুর্ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন
বক্তারা জানান, নিরাপদ অভিবাসন পথ তৈরি এবং শক্তিশালী অভিবাসন ব্যবস্থাপনা গঠনে তরুণদের অভিজ্ঞতা অপরিহার্য। বৈশ্বিক ফোরামগুলোও এখন অভিবাসন শাসনব্যবস্থায় যুব অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সারা বিশ্বে প্রায় ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন তরুণের দৃষ্টিভঙ্গি অভিবাসন নীতি ও আখ্যানকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলতে পারে।
সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া হজ চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছর হজে মদিনা দিয়ে ২০ শতাংশ বাংলাদেশি হজযাত্রী গমন এবং ৩০ শতাংশ হজযাত্রীকে ফিরতে হবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক অবজারভেটরির তথ্যমতে, রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫ এবং উৎপত্তিস্থল সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায়। পরের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল বিয়ানীবাজারের পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায়।
জান্নাতুন বলেন, ‘‘এক কাপড়ে ছিলাম সেটা পরেই আসতে হয়েছে। কোম্পানি থেকে শেষ মাসের বেতন পাব, সেটাও পাইনি। আমাদের জামা–কাপড়সহ প্রয়োজনীয় আরও কিছু জিনিসপত্র ছিল, কিন্তু কিছুই নিয়ে আসতে পারিনি।

বক্তারা জানান, নিরাপদ অভিবাসন পথ তৈরি এবং শক্তিশালী অভিবাসন ব্যবস্থাপনা গঠনে তরুণদের অভিজ্ঞতা অপরিহার্য। বৈশ্বিক ফোরামগুলোও এখন অভিবাসন শাসনব্যবস্থায় যুব অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সারা বিশ্বে প্রায় ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন তরুণের দৃষ্টিভঙ্গি অভিবাসন নীতি ও আখ্যানকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগে