বিডিজেন ডেস্ক
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কীভাবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, তা ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার একটি হোটেলে ‘ডেমোক্রেসি ডায়াস’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই পরামর্শ দেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই সরকার কী পদ্ধতিতে যাবে, সেটা এখন স্পষ্ট করা জরুরি। এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে। যেটুকু সময় আছে, এর ভেতর দিয়ে এই সরকার কী অর্জন করে বের হয়ে যেতে চায়, জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে সেটাও বলার সময় এসেছে।’
তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, সরকার গঠন, সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে, আইনসভা কীভাবে গঠিত হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে।
সংস্কারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকু সংস্কার (আগামী নির্বাচনের আগে) করা উচিত। বর্তমান সরকার যে কাজকর্মগুলো করছে, আগামী সরকার সেগুলোকে সম্পূর্ণভাবে বৈধতা দেবে কি না, এই বিষয়গুলো এখনো সামনে রয়ে গেছে।
চলমান সংস্কার হিসেবে অনেক সংস্কার পরের সরকার করবে, এটা অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তা না হলে ‘সংস্কার’ ‘সংস্কার’ করে অসংস্কারের কাজের ভেতরে যুক্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার পিসিমা একটা কথা শিখিয়েছেন, যতখানি খেতে পারবে, অতখানি কামড় দিয়ো। যতটুকু চাবাতে পারবে না, অত কিছু মুখে নিয়ো না।’
তিনি বলেন, ‘আগের ৩টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রত্যেকের একটা নিষ্ক্রমণ পথ (এক্সিট পলিসি) নির্ধারিত ছিল বলে তাদের কাজকর্মের বৈধতার ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা হয়নি। কিন্তু আগামী সরকার এই সরকারের কাজগুলোর সম্পূর্ণভাবে বৈধতা দেবে কি না, এই বিষয়ে প্রশ্ন এখনো সামনে রয়ে গেছে। কী কী করে যাচ্ছেন আর আগামী সরকারের জন্য কী কী রেখে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে স্বচ্ছ বক্তব্য দিতে হবে।’
ডেমোক্রেসি ডায়াসের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন সেমিনারে ২৬টি দেশে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকাল, সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তাঁর মতে, ১০ মাসের বেশি যেসব অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হয়, তাদের সফলতা তুলনামূলকভাবে কম।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কীভাবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, তা ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার একটি হোটেলে ‘ডেমোক্রেসি ডায়াস’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই পরামর্শ দেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই সরকার কী পদ্ধতিতে যাবে, সেটা এখন স্পষ্ট করা জরুরি। এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে। যেটুকু সময় আছে, এর ভেতর দিয়ে এই সরকার কী অর্জন করে বের হয়ে যেতে চায়, জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে সেটাও বলার সময় এসেছে।’
তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, সরকার গঠন, সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে, আইনসভা কীভাবে গঠিত হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে।
সংস্কারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকু সংস্কার (আগামী নির্বাচনের আগে) করা উচিত। বর্তমান সরকার যে কাজকর্মগুলো করছে, আগামী সরকার সেগুলোকে সম্পূর্ণভাবে বৈধতা দেবে কি না, এই বিষয়গুলো এখনো সামনে রয়ে গেছে।
চলমান সংস্কার হিসেবে অনেক সংস্কার পরের সরকার করবে, এটা অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তা না হলে ‘সংস্কার’ ‘সংস্কার’ করে অসংস্কারের কাজের ভেতরে যুক্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার পিসিমা একটা কথা শিখিয়েছেন, যতখানি খেতে পারবে, অতখানি কামড় দিয়ো। যতটুকু চাবাতে পারবে না, অত কিছু মুখে নিয়ো না।’
তিনি বলেন, ‘আগের ৩টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রত্যেকের একটা নিষ্ক্রমণ পথ (এক্সিট পলিসি) নির্ধারিত ছিল বলে তাদের কাজকর্মের বৈধতার ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা হয়নি। কিন্তু আগামী সরকার এই সরকারের কাজগুলোর সম্পূর্ণভাবে বৈধতা দেবে কি না, এই বিষয়ে প্রশ্ন এখনো সামনে রয়ে গেছে। কী কী করে যাচ্ছেন আর আগামী সরকারের জন্য কী কী রেখে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে স্বচ্ছ বক্তব্য দিতে হবে।’
ডেমোক্রেসি ডায়াসের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন সেমিনারে ২৬টি দেশে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকাল, সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তাঁর মতে, ১০ মাসের বেশি যেসব অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হয়, তাদের সফলতা তুলনামূলকভাবে কম।
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্য অভিযুক্তের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৩ আগস্ট ধার্য করা হয়েছে।
বাহাত্তরের সংবিধানের ৪ মূলনীতি বাতিলের অভিযোগ তুলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা বর্জন করেছে বাম দলগুলো। দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ মার্ক্সবাদী।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সনদ তৈরির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আলোচনা শেষে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
জুলাই মাসে মব সৃষ্টি করে (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ) বা গণপিটুনি দিয়ে ১৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অজ্ঞাতনামা ৫১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছে ৯ জন।
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্য অভিযুক্তের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৩ আগস্ট ধার্য করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে