বিডিজেন ডেস্ক
বাংলাদেশে গত সাড়ে ৫ বছরে প্রায় ৩৩ হাজার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন নিহত হয়েছেন, যার ১৩ শতাংশই শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত (সাড়ে পাঁচ বছর) সময়ের ৯টি জাতীয় সংবাদপত্র, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে ৩২ হাজার ৭৩৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ১৯৬ জন মানুষ।
বাহন ও নিহতের সংখ্যা
মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী
১১ হাজার ৫৯৩ জন ( ৩২.৭৬ %)
থ্রি–হুইলারের যাত্রী
৬ হাজার ৮০ জন (১৭.১৮%)
পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী
২ হাজার ৫১১ জন (৭.০৯%),
স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন)
২ হাজার ৩৫৭ জন (৬.৬৬%),
বাসযাত্রী
১ হাজার ৯১৫ জন (৫.৪১%),
প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী
১ হাজার ৫৪৪ জন (৪.৩৬%)
বাইসাইকেল-রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী
১ হাজার ২৬ জন (২.৮৯%)
২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মৃত্যু যানবাহনের চাপায়
এ সময়ে ৪ হাজার ৬২৮ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার পথে যানবাহনের চাপায় বা ধাক্কায়, আর ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী হিসেবে এবং প্রায় ৫৯ শিক্ষার্থী মোটরবাইক আরোহী হিসেবে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
এ ছাড় মোট নিহতের মধ্যে ৫ হাজার ১০৩ (১৪.৪২%) জন নারী ও শিশু ৪ হাজার ৭৮৫ (১৩.৫২%) জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে ৮ হাজার ৬৩১টি দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৫৮, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনার ৫৭ শতাংশ ঘটেছে যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে এবং ৪৩ শতাংশ দুর্ঘটনার কারণ পথচারীদের অসতর্কতা।
কোন সড়ক ও বিভাগে কত মৃত্যু
মহাসড়কে ২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ, আঞ্চলিক সড়কে ৩৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, গ্রামীণ সড়কে ২০ শতাংশ, শহরের সড়কে ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং অন্যান্য স্থানে শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ পথচারী নিহত হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ঢাকা বিভাগের মানুষ। গত সাড়ে পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা গেছেন, তাঁদের প্রায় ২৫ শতাংশই ঢাকা বিভাগের। তারপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
দুর্ঘটনার কারণ
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা ও না মানার প্রবণতা, পরিবহন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব না হওয়া, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি। দুর্ঘটনা কমাতে প্রতিবেদনে এসব সমস্যা সমাধানের সুপারিশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
গত সাড়ে ৫ বছরে ৫৮৭টি নৌ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২১ জন নিহত, ৫৮২ জন আহত ও ৩৬৯ জন নিখোঁজ হয়েছেন। আর ১ হাজার ২২৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪০৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৬৯ জন আহত হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সূত্র: প্রথম আলো
বাংলাদেশে গত সাড়ে ৫ বছরে প্রায় ৩৩ হাজার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন নিহত হয়েছেন, যার ১৩ শতাংশই শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত (সাড়ে পাঁচ বছর) সময়ের ৯টি জাতীয় সংবাদপত্র, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে ৩২ হাজার ৭৩৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ১৯৬ জন মানুষ।
বাহন ও নিহতের সংখ্যা
মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী
১১ হাজার ৫৯৩ জন ( ৩২.৭৬ %)
থ্রি–হুইলারের যাত্রী
৬ হাজার ৮০ জন (১৭.১৮%)
পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী
২ হাজার ৫১১ জন (৭.০৯%),
স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন)
২ হাজার ৩৫৭ জন (৬.৬৬%),
বাসযাত্রী
১ হাজার ৯১৫ জন (৫.৪১%),
প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী
১ হাজার ৫৪৪ জন (৪.৩৬%)
বাইসাইকেল-রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী
১ হাজার ২৬ জন (২.৮৯%)
২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মৃত্যু যানবাহনের চাপায়
এ সময়ে ৪ হাজার ৬২৮ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার পথে যানবাহনের চাপায় বা ধাক্কায়, আর ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী হিসেবে এবং প্রায় ৫৯ শিক্ষার্থী মোটরবাইক আরোহী হিসেবে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
এ ছাড় মোট নিহতের মধ্যে ৫ হাজার ১০৩ (১৪.৪২%) জন নারী ও শিশু ৪ হাজার ৭৮৫ (১৩.৫২%) জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে ৮ হাজার ৬৩১টি দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৫৮, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনার ৫৭ শতাংশ ঘটেছে যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে এবং ৪৩ শতাংশ দুর্ঘটনার কারণ পথচারীদের অসতর্কতা।
কোন সড়ক ও বিভাগে কত মৃত্যু
মহাসড়কে ২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ, আঞ্চলিক সড়কে ৩৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, গ্রামীণ সড়কে ২০ শতাংশ, শহরের সড়কে ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং অন্যান্য স্থানে শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ পথচারী নিহত হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ঢাকা বিভাগের মানুষ। গত সাড়ে পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা গেছেন, তাঁদের প্রায় ২৫ শতাংশই ঢাকা বিভাগের। তারপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
দুর্ঘটনার কারণ
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা ও না মানার প্রবণতা, পরিবহন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব না হওয়া, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি। দুর্ঘটনা কমাতে প্রতিবেদনে এসব সমস্যা সমাধানের সুপারিশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
গত সাড়ে ৫ বছরে ৫৮৭টি নৌ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২১ জন নিহত, ৫৮২ জন আহত ও ৩৬৯ জন নিখোঁজ হয়েছেন। আর ১ হাজার ২২৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪০৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৬৯ জন আহত হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সূত্র: প্রথম আলো
বন্ধ ঘোষণা করা ২টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।
যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
কথাসাহিত্যিক ও গবেষক সিরাজুল ইসলাম মুনির সমকালীন বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে সুপরিচিত নাম। তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির সমৃদ্ধ বহুমাত্রিকতা সৃষ্টি করেছে শক্তিশালী স্বতন্ত্র অবস্থান। সাবলীল শব্দ ব্যঞ্জনার প্রকাশে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন, দেশাত্মবোধ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন মাত্রাকে।