বিডিজেন ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সন্দেহে আটক ৩৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ৩ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটি। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মূলত ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণেই ওই ৩ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খবর আজকের পত্রিকার।
আজ রোববার (৬ জুলাই) সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জঙ্গিবাদে জড়িত সন্দেহে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি আটক ৩ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মূল বিষয় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আমরা মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশে আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে এখন কোনো জঙ্গি নেই। মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেশের জঙ্গিবাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ওখানকার আইজিপি কী বলেছেন আমি জানি না। সরকারিভাবে যে মেসেজ পেয়েছি তা হলো, তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ। এ ছাড়া, আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা কোনো মেসেজ পাইনি।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশে এখন কোনো জঙ্গিবাদ নেই। আপনারা গত ১০ মাসে দেশে কোনো জঙ্গিবাদের খবর দিতে পেরেছেন? আপনাদের সহযোগিতায় এ দেশের জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে।’
এদিকে গত শুক্রবার আদালতে দেওয়া পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে ওই ৩ বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে তাদের জঙ্গি হামলা চালানোর আশঙ্কা ছিল। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডিআইজি আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া গতকাল বলেন, সন্দেহভাজন ৩ জনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের কাছ থেকে সন্ত্রাসবাদের কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা হচ্ছে।
এর আগে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল গত ২৭ জুন সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৬এ অনুচ্ছেদে মামলা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং ১৬ জন মালয়েশিয়ায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তারা বাংলাদেশ ও সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন বলে জানান মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান।
ওই ১৫ জনের মধ্যে ৩ জনকে দেশে পাঠানোর পর গত শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে ৫ জনের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তাদের মালয়েশিয়ার কারাগারেই রাখা হয়েছে। বাকিদের ফেরত পাঠাবে তারা। মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধানের বক্তব্যের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এখন জঙ্গি তৎপরতা নেই। এখানে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততাও নেই।
বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন টার্মিনালে কোল্ড স্টোরেজ চালুর বিষয়েও কথা বলেন। এই ব্যবস্থা কৃষিপণ্য রপ্তানি সহজ করবে বলে জানান উপদেষ্টা। এ সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ ও বিএডিসি হিমাগারও পরিদর্শন করেন তিনি।
সূত্র: আজকের পত্রিকা
আরও পড়ুন
মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সন্দেহে আটক ৩৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ৩ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটি। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মূলত ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণেই ওই ৩ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খবর আজকের পত্রিকার।
আজ রোববার (৬ জুলাই) সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জঙ্গিবাদে জড়িত সন্দেহে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি আটক ৩ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মূল বিষয় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আমরা মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশে আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে এখন কোনো জঙ্গি নেই। মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেশের জঙ্গিবাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ওখানকার আইজিপি কী বলেছেন আমি জানি না। সরকারিভাবে যে মেসেজ পেয়েছি তা হলো, তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ। এ ছাড়া, আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা কোনো মেসেজ পাইনি।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশে এখন কোনো জঙ্গিবাদ নেই। আপনারা গত ১০ মাসে দেশে কোনো জঙ্গিবাদের খবর দিতে পেরেছেন? আপনাদের সহযোগিতায় এ দেশের জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে।’
এদিকে গত শুক্রবার আদালতে দেওয়া পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে ওই ৩ বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে তাদের জঙ্গি হামলা চালানোর আশঙ্কা ছিল। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডিআইজি আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া গতকাল বলেন, সন্দেহভাজন ৩ জনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের কাছ থেকে সন্ত্রাসবাদের কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা হচ্ছে।
এর আগে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল গত ২৭ জুন সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৬এ অনুচ্ছেদে মামলা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং ১৬ জন মালয়েশিয়ায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তারা বাংলাদেশ ও সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন বলে জানান মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান।
ওই ১৫ জনের মধ্যে ৩ জনকে দেশে পাঠানোর পর গত শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে ৫ জনের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তাদের মালয়েশিয়ার কারাগারেই রাখা হয়েছে। বাকিদের ফেরত পাঠাবে তারা। মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধানের বক্তব্যের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এখন জঙ্গি তৎপরতা নেই। এখানে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততাও নেই।
বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন টার্মিনালে কোল্ড স্টোরেজ চালুর বিষয়েও কথা বলেন। এই ব্যবস্থা কৃষিপণ্য রপ্তানি সহজ করবে বলে জানান উপদেষ্টা। এ সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ ও বিএডিসি হিমাগারও পরিদর্শন করেন তিনি।
সূত্র: আজকের পত্রিকা
আরও পড়ুন
ঢাকা সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শীর্ষ নেতারা।
জুলাই সনদ একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। এই রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল কখনোই সংবিধানের ওপরে প্রাধান্য পেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় আপত্তির একটি জায়গা।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষ হবে বর্তমান আসনভিত্তিক। আর উচ্চকক্ষ হবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর)। সংবিধান সংস্কার কমিশনও একই রকম প্রস্তাব করেছে।
গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।