বিডিজেন ডেস্ক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে বিএনপি যেকোনো কাজ করতে রাজি আছে। আমরা ৩১ দফার মধ্যে বলেছি, এই দফাগুলোর বাইরে যদি কেউ ভালো প্রস্তাব দিতে পারেন, অবশ্যই তা আমরা জনগণের স্বার্থে গ্রহণ করব। আমরা বারবার বলছি, দেশের মানুষের ভালো কিছুর জন্য যদি ভালো কিছু কেউ নিয়ে আসেন, তা আমরা সাদরে গ্রহণ করব।’
খবর প্রথম আলোর।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফাসংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ৩১ দফা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন তাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, যখন আমরা বলতে পারব, এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কমবেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তখনই আমরা বলতে পারব, বাংলাদেশের একটু সামান্য অংশ অর্জিত হয়েছে। এখনো কিন্তু বহু পথ বাকি। বহু কিছু অর্জন করার বাকি আছে। যখন এ দেশের সন্তানদের, এ দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারব, নারীদের ক্ষমতার উন্নয়ন করতে পারব। তখনই আমরা বলতে পারব “টেক ব্যাক বাংলাদেশ” কিছুটা হলেও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘অনেক অদৃশ্য শত্রু, অনেক শক্তি, প্রতিপক্ষ আজ আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে। আমরা যদি আমাদের ঐক্যবদ্ধ না করি, ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে পারব না। এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে না পারলে বিগত ১৫ বছরের অত্যাচার, নির্যাতন, কষ্ট—সবকিছু বৃথা হয়ে যাবে। কোনো অশুভ কিছু থাকলে তাকে সরিয়ে দিতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আপনারা কি বিশ্বাস করেন, এই ৩১ দফা যদি আমরা কমবেশি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হই, তাহলে আমরা দেশের এবং দেশের মানুষের ভাগ্যের কিছুটা হলেও পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবো। কীভাবে আপনারা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাবেন, তা আপনাদের পরিকল্পনা করতে হবে। এখানে প্রশ্ন এসেছে যে ভিন্ন ধর্মবর্ণের মানুষ, সবাই আমরা বাংলাদেশি। কাউকে বাদ দিয়ে নয়। সে দলের হোক, অন্য ধর্মের হোক। প্রত্যেকের পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। তাই প্রত্যেকের কাছে আপনাদের যেতে হবে। কারণ, প্রত্যেকটি মানুষের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন। যত বেশিসংখ্যক মানুষের সমর্থন আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো, তত ভালোভাবে, শক্তিশালীভাবে আমরা এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো।’
মঙ্গলবার সকাল থেকে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে পৃথকভাবে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে সংশ্লিষ্ট জেলা বিএনপি। গাইবান্ধায় জেলা স্টেডিয়ামে, লালমনিরহাটে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এবং কুড়িগ্রামে শহরের আলমাস কমিউনিটি সেন্টারে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। পরে তিন জেলার নেতা-কর্মীদের স্থানীয় সমস্যা সম্পর্কে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তারেক রহমান।
এক নেতার প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে দলীয় পদ দেওয়া হবে। ধর্মীয় বিবেচনা করে নয়। কৃষির উন্নয়নসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিএনপির বড় সংস্কার খাল খনন। এতে কৃষির সংস্কার হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আগামী দিনে খাল খনন করা হবে। যাতে পানির স্রোত নিয়ে আসে। কৃষক সময়মতো পানি পায়।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, তিস্তা নিয়ে বহু রাজনীতি হয়েছে। বিএনপির উদ্যোগে উত্তরাঞ্চলে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
এক নারীনেত্রীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০-তে বৃদ্ধি করা হবে। দেশে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
সূত্র: প্রথম আলো
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে বিএনপি যেকোনো কাজ করতে রাজি আছে। আমরা ৩১ দফার মধ্যে বলেছি, এই দফাগুলোর বাইরে যদি কেউ ভালো প্রস্তাব দিতে পারেন, অবশ্যই তা আমরা জনগণের স্বার্থে গ্রহণ করব। আমরা বারবার বলছি, দেশের মানুষের ভালো কিছুর জন্য যদি ভালো কিছু কেউ নিয়ে আসেন, তা আমরা সাদরে গ্রহণ করব।’
খবর প্রথম আলোর।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফাসংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ৩১ দফা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন তাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, যখন আমরা বলতে পারব, এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কমবেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তখনই আমরা বলতে পারব, বাংলাদেশের একটু সামান্য অংশ অর্জিত হয়েছে। এখনো কিন্তু বহু পথ বাকি। বহু কিছু অর্জন করার বাকি আছে। যখন এ দেশের সন্তানদের, এ দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারব, নারীদের ক্ষমতার উন্নয়ন করতে পারব। তখনই আমরা বলতে পারব “টেক ব্যাক বাংলাদেশ” কিছুটা হলেও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘অনেক অদৃশ্য শত্রু, অনেক শক্তি, প্রতিপক্ষ আজ আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে। আমরা যদি আমাদের ঐক্যবদ্ধ না করি, ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে পারব না। এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে না পারলে বিগত ১৫ বছরের অত্যাচার, নির্যাতন, কষ্ট—সবকিছু বৃথা হয়ে যাবে। কোনো অশুভ কিছু থাকলে তাকে সরিয়ে দিতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আপনারা কি বিশ্বাস করেন, এই ৩১ দফা যদি আমরা কমবেশি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হই, তাহলে আমরা দেশের এবং দেশের মানুষের ভাগ্যের কিছুটা হলেও পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবো। কীভাবে আপনারা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাবেন, তা আপনাদের পরিকল্পনা করতে হবে। এখানে প্রশ্ন এসেছে যে ভিন্ন ধর্মবর্ণের মানুষ, সবাই আমরা বাংলাদেশি। কাউকে বাদ দিয়ে নয়। সে দলের হোক, অন্য ধর্মের হোক। প্রত্যেকের পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। তাই প্রত্যেকের কাছে আপনাদের যেতে হবে। কারণ, প্রত্যেকটি মানুষের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন। যত বেশিসংখ্যক মানুষের সমর্থন আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো, তত ভালোভাবে, শক্তিশালীভাবে আমরা এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো।’
মঙ্গলবার সকাল থেকে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে পৃথকভাবে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে সংশ্লিষ্ট জেলা বিএনপি। গাইবান্ধায় জেলা স্টেডিয়ামে, লালমনিরহাটে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এবং কুড়িগ্রামে শহরের আলমাস কমিউনিটি সেন্টারে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। পরে তিন জেলার নেতা-কর্মীদের স্থানীয় সমস্যা সম্পর্কে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তারেক রহমান।
এক নেতার প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে দলীয় পদ দেওয়া হবে। ধর্মীয় বিবেচনা করে নয়। কৃষির উন্নয়নসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিএনপির বড় সংস্কার খাল খনন। এতে কৃষির সংস্কার হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আগামী দিনে খাল খনন করা হবে। যাতে পানির স্রোত নিয়ে আসে। কৃষক সময়মতো পানি পায়।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, তিস্তা নিয়ে বহু রাজনীতি হয়েছে। বিএনপির উদ্যোগে উত্তরাঞ্চলে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
এক নারীনেত্রীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০-তে বৃদ্ধি করা হবে। দেশে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
সূত্র: প্রথম আলো
ঢাকা সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শীর্ষ নেতারা।
জুলাই সনদ একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। এই রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল কখনোই সংবিধানের ওপরে প্রাধান্য পেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় আপত্তির একটি জায়গা।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষ হবে বর্তমান আসনভিত্তিক। আর উচ্চকক্ষ হবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর)। সংবিধান সংস্কার কমিশনও একই রকম প্রস্তাব করেছে।
গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।