বাসস, ঢাকা
ভারতের চেন্নাইয়ে ‘অনুমতি ছাড়া’ বাংলাদেশ বিরোধী বিক্ষোভ করায় ৫০০ ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে চেন্নাই পুলিশ। এদের মধ্যে ১০০ জন নারীও রয়েছেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর এই খবর জানিয়েছে।
পত্রিকা জানায়, বুধবার ৪ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের রাজা রত্নম স্টেডিয়ামের সামনে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলা বন্ধের দাবিতে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভে অংশ নেয় বিজেপি, আর এসএস, এবিভিপি, হিন্দু মুনানি এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হিন্দু মুনামির সংগঠক রাজু। উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাজ্যপাল তামিলিসাই সাউন্দারারাজন, আরএসএস নেতা কেশব বিনয়গম এবং বিজেপি নেতা করু নাগরাজন ও ভিপি দুরাইস্বামী।
এই সময় বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। বিক্ষোভ শেষে তারা আন্না সালাইয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া আরো জানিয়েছে, আটককৃতদের পুলিশের গাড়ি এবং এমটিসি বাসে করে আরআর স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নেয়। তাদের শহরের আন্না অডিটোরিয়াম ও পেরিয়ামেটের একটি করপোরেশন কমিউনিটি সেন্টারে আটকে রাখা হয়।
পরে, পুলিশের অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এজমোর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা, পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার ৩
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশে ভারতের পতাকা অবমাননার খবর ছড়ায়। এর জেরে গতকাল বুধবার বারাসাত রেলস্টেশনে বাংলাদেশের পতাকা এঁকে তার ওপর দাঁড়িয়ে কয়েকজন প্রতিবাদ করছিলেন। খবর পাওয়া মাত্রই বারাসাত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তাররা হলেন বজরং দলের সদস্য আর্য দাস, সুবীর দাস ও রিপন চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা যে বজরং দলেরই সদস্য, তা স্বীকার করেছেন সংগঠনের নেতা বাপন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদেই এই কর্মসূচি নিয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের সদস্যদের না ছাড়লে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব।’
এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে বজরং দলের হুঁশিয়ারি পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নিপীড়নের অভিযোগে ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কয়েকটি ভারতীয় রাজ্যে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা-ভাঙচুর এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটে।
ভারতের চেন্নাইয়ে ‘অনুমতি ছাড়া’ বাংলাদেশ বিরোধী বিক্ষোভ করায় ৫০০ ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে চেন্নাই পুলিশ। এদের মধ্যে ১০০ জন নারীও রয়েছেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর এই খবর জানিয়েছে।
পত্রিকা জানায়, বুধবার ৪ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের রাজা রত্নম স্টেডিয়ামের সামনে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলা বন্ধের দাবিতে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভে অংশ নেয় বিজেপি, আর এসএস, এবিভিপি, হিন্দু মুনানি এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হিন্দু মুনামির সংগঠক রাজু। উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাজ্যপাল তামিলিসাই সাউন্দারারাজন, আরএসএস নেতা কেশব বিনয়গম এবং বিজেপি নেতা করু নাগরাজন ও ভিপি দুরাইস্বামী।
এই সময় বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। বিক্ষোভ শেষে তারা আন্না সালাইয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া আরো জানিয়েছে, আটককৃতদের পুলিশের গাড়ি এবং এমটিসি বাসে করে আরআর স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নেয়। তাদের শহরের আন্না অডিটোরিয়াম ও পেরিয়ামেটের একটি করপোরেশন কমিউনিটি সেন্টারে আটকে রাখা হয়।
পরে, পুলিশের অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এজমোর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা, পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার ৩
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশে ভারতের পতাকা অবমাননার খবর ছড়ায়। এর জেরে গতকাল বুধবার বারাসাত রেলস্টেশনে বাংলাদেশের পতাকা এঁকে তার ওপর দাঁড়িয়ে কয়েকজন প্রতিবাদ করছিলেন। খবর পাওয়া মাত্রই বারাসাত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তাররা হলেন বজরং দলের সদস্য আর্য দাস, সুবীর দাস ও রিপন চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা যে বজরং দলেরই সদস্য, তা স্বীকার করেছেন সংগঠনের নেতা বাপন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদেই এই কর্মসূচি নিয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের সদস্যদের না ছাড়লে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব।’
এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে বজরং দলের হুঁশিয়ারি পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নিপীড়নের অভিযোগে ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কয়েকটি ভারতীয় রাজ্যে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা-ভাঙচুর এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটে।
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।