বিডিজেন ডেস্ক
পঞ্চগড়ে এক অংকে নেমেছে তাপমাত্রা। বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশার পাশপপাশি বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ে দিনভর কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল। সে সময় এখানে তাপমাত্রা ছিল ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলাতেও গরম কাপড় পরে বের হতে হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার মধ্যে সূর্য উঠলেও হিমালয়ের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমছে। এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর দিয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শুক্রবার সকাল ৬টায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় কমে গিয়ে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের সর্বনিম্ন এবং এ মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
হিমালয়ের হিমেল বাতাস সরাসরি প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। দিনের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। সকাল থেকে র্সূয উঠলেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করায় ঠান্ডা বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে এখানে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যাবে।
শীতের কারণে অসহায় ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষের কাজকর্ম কমেছে। আয় কমে যাওয়ায় পরিবারগুলোতে দুর্ভোগ বেড়েছে। অসচ্ছল দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, চাশ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ জেলার লাখ লাখ শ্রমিক ওতাদের পরিবারের লোকজন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কাজকর্ম করতে না পেরে এবং গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শহরের অটোচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে গাড়ি চালানো যায় না। রাস্তাঘাটে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না। ফলে আয় রোজগার কমেছে। শীত আসলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দিনমজুর লুৎফর মিয়া বলেন, শীতের সময় কাজ কম পাই। কাজ না পেলে সংসার চালানো কষ্ট হয়। আয় না হলে তো খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়।
চা শ্রমিক আলেয়া খাতুন জানান, সকালবেলা ঘনকুয়াশায় চা–গাছ ভিজে যায়। সকাল সকাল পাতা তুলতে খুব কষ্ট হয়। ঠান্ডা লাগে। হাত পা অবশ হয়ে যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, ঘন কুয়াশা বর্তমানে কৃষির জন্য প্রয়োজন। বিশেষ করে আলু, গম, ভুট্টা চাষে প্রয়োজনীয়। রাতে ঘন কুয়াশা এবং দিনে রোদ উঠলে শীত কৃষির জন্য সর্হাযক। আমরা এ ব্যাপারে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শীত শুরু হলে এখানে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। হাসপাতালের বহিঃবিভাগ ও আন্তঃবিভাগে রোগীর চাপ বেড়ে যায়। শীতের প্রকোপ বাড়লে হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির হারও বেড়ে যায়। আমরা রোগীদের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সাবেত আলী জানান, দুই হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। পাঁচ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় তিনি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
পঞ্চগড়ে এক অংকে নেমেছে তাপমাত্রা। বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশার পাশপপাশি বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ে দিনভর কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল। সে সময় এখানে তাপমাত্রা ছিল ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলাতেও গরম কাপড় পরে বের হতে হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার মধ্যে সূর্য উঠলেও হিমালয়ের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমছে। এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর দিয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শুক্রবার সকাল ৬টায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় কমে গিয়ে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের সর্বনিম্ন এবং এ মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
হিমালয়ের হিমেল বাতাস সরাসরি প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। দিনের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। সকাল থেকে র্সূয উঠলেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করায় ঠান্ডা বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে এখানে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যাবে।
শীতের কারণে অসহায় ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষের কাজকর্ম কমেছে। আয় কমে যাওয়ায় পরিবারগুলোতে দুর্ভোগ বেড়েছে। অসচ্ছল দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, চাশ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ জেলার লাখ লাখ শ্রমিক ওতাদের পরিবারের লোকজন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কাজকর্ম করতে না পেরে এবং গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শহরের অটোচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে গাড়ি চালানো যায় না। রাস্তাঘাটে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না। ফলে আয় রোজগার কমেছে। শীত আসলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দিনমজুর লুৎফর মিয়া বলেন, শীতের সময় কাজ কম পাই। কাজ না পেলে সংসার চালানো কষ্ট হয়। আয় না হলে তো খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়।
চা শ্রমিক আলেয়া খাতুন জানান, সকালবেলা ঘনকুয়াশায় চা–গাছ ভিজে যায়। সকাল সকাল পাতা তুলতে খুব কষ্ট হয়। ঠান্ডা লাগে। হাত পা অবশ হয়ে যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, ঘন কুয়াশা বর্তমানে কৃষির জন্য প্রয়োজন। বিশেষ করে আলু, গম, ভুট্টা চাষে প্রয়োজনীয়। রাতে ঘন কুয়াশা এবং দিনে রোদ উঠলে শীত কৃষির জন্য সর্হাযক। আমরা এ ব্যাপারে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শীত শুরু হলে এখানে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। হাসপাতালের বহিঃবিভাগ ও আন্তঃবিভাগে রোগীর চাপ বেড়ে যায়। শীতের প্রকোপ বাড়লে হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির হারও বেড়ে যায়। আমরা রোগীদের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সাবেত আলী জানান, দুই হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। পাঁচ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় তিনি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
জুলাই সনদ একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। এই রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল কখনোই সংবিধানের ওপরে প্রাধান্য পেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় আপত্তির একটি জায়গা।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষ হবে বর্তমান আসনভিত্তিক। আর উচ্চকক্ষ হবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর)। সংবিধান সংস্কার কমিশনও একই রকম প্রস্তাব করেছে।
গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে গণমাধ্যমকে সতর্ক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা জানিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।