প্রতিবেদক, বিডিজেন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন নির্বাচন বিলম্ব হলে ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন। এ অবস্থায় আবারও চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিই দেশের একমাত্র জনপ্রিয় দল এবং সরকারে থাকা অনেকেই স্বীকার করেন যে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে।’
আজ রোববার (১ জুন) রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) এই সভার আয়োজন করে।
জাপান সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যে বিএনপি হতাশ হয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ড. ইউনূসকে আমরা সবাই সম্মান করি। কিন্তু তিনি বিদেশে গিয়ে বললেন, শুধু বিএনপি নাকি নির্বাচন চায়, আর কেউ চায় না। তাঁর এই বক্তব্যে আমরা মর্মাহত হয়েছি। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। ৫৪টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন চেয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘১৬ বছর যাবৎ জনগণ ভোটের অধিকার পায় না, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সসম্মানে যেতে পারেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারকেও একসময় বিদায় নিতে হবে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে পারবে। এর থেকে সম্মানের আর কিছু হতে পারে না। এ থেকে বিলম্ব হলে এমন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়বেন যে কখন নির্বাচন হয়, তা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।’
জুনে নির্বাচন হলে দেরি হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। এতে পলাতক স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র বাড়বে এবং কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে বলেন তিনি। আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি-মার্চ রোজা ও ঈদে চলে যাবে। এপ্রিল-মে মাসে পাবলিক পরীক্ষা এবং জুনে বর্ষাকাল। তাই ডিসেম্বরেই সম্ভব। সরকার যেদিন মনে করুক, তারিখ ঘোষণা করুক।’
তিনি বলেন, ‘ঐকমত্যের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আবারও দ্বিতীয়বারের মতো আলোচনা শুরু করবেন। বিএনপি যাবে, কিন্তু গেলেই বা কী করা যাবে। মিনিমাম যে সংস্কারে সব রাজনৈতিক দলগুলো একমত আছে, তা নিয়ে নির্বাচনমুখী হন।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসপিপির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সংগঠনের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতারা বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন নির্বাচন বিলম্ব হলে ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন। এ অবস্থায় আবারও চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিই দেশের একমাত্র জনপ্রিয় দল এবং সরকারে থাকা অনেকেই স্বীকার করেন যে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে।’
আজ রোববার (১ জুন) রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) এই সভার আয়োজন করে।
জাপান সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যে বিএনপি হতাশ হয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ড. ইউনূসকে আমরা সবাই সম্মান করি। কিন্তু তিনি বিদেশে গিয়ে বললেন, শুধু বিএনপি নাকি নির্বাচন চায়, আর কেউ চায় না। তাঁর এই বক্তব্যে আমরা মর্মাহত হয়েছি। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। ৫৪টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন চেয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘১৬ বছর যাবৎ জনগণ ভোটের অধিকার পায় না, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সসম্মানে যেতে পারেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারকেও একসময় বিদায় নিতে হবে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে পারবে। এর থেকে সম্মানের আর কিছু হতে পারে না। এ থেকে বিলম্ব হলে এমন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়বেন যে কখন নির্বাচন হয়, তা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।’
জুনে নির্বাচন হলে দেরি হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। এতে পলাতক স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র বাড়বে এবং কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে বলেন তিনি। আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি-মার্চ রোজা ও ঈদে চলে যাবে। এপ্রিল-মে মাসে পাবলিক পরীক্ষা এবং জুনে বর্ষাকাল। তাই ডিসেম্বরেই সম্ভব। সরকার যেদিন মনে করুক, তারিখ ঘোষণা করুক।’
তিনি বলেন, ‘ঐকমত্যের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আবারও দ্বিতীয়বারের মতো আলোচনা শুরু করবেন। বিএনপি যাবে, কিন্তু গেলেই বা কী করা যাবে। মিনিমাম যে সংস্কারে সব রাজনৈতিক দলগুলো একমত আছে, তা নিয়ে নির্বাচনমুখী হন।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসপিপির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সংগঠনের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতারা বক্তৃতা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৈঠকের উদ্দেশ্য দূরত্ব ঘুচিয়ে জুলাই সনদে আরও কিছু যোগ করা।
জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে কঠোর নয়, নমনীয় থাকতে চায়। তাদের চাওয়া ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হোক।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে তারা জানিয়েছেন যে, জুলাই সনদ কার্যকরের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না।
৩টি রাজনৈতিক দল ছাড়া বাকি সব দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, নিক্কেই এশিয়া ফোরামে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে একটি বক্তব্য এসেছে যে, একটিমাত্র দল ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চেয়েছে, যেটা সঠিক নয়।