প্রতিবেদক, বিডিজেন
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ব্যাগে ম্যাগাজিন পাওয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এটা হয়তো জাস্ট একটা ভুল।’
মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠেয় ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে রোববার ভোরে আসিফ মাহমুদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগ করেন। এর আগে বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় তাঁর ব্যাগে ম্যাগাজিন থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।
এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাংবাদিকেরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন, বিদেশে যাওয়ার সময় ব্যাগে ম্যাগাজিন থাকার ঘটনাটা কেমন?
জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘না, বিদেশ যাওয়ার কিছু না, হয়তো ভুলে অনেক সময় আপনি দেখেন, হয়তো চশমাটা নিয়ে যাবেন, ভুলে হয়তো চশমাটা না নিয়ে মোবাইলটা নিয়ে রওনা হয়ে গেলেন। এ রকম ভুল, এটা একটা মানে জাস্ট একটা ভুল। যেহেতু এটা নিয়া এত ভাইরাল, উনি যদি জানতে পারতেন আগে তাহলে তো উনি কোনো অবস্থাতেই এটা নিতেন না।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভুলে এমনটা করেছেন বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের যথার্থতা নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন তোলেন।
তখন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘না, ওনার সাথে তো আর আমার কথা হয় নাই। বাট জিনিসটা তো বোঝা যায় যে হয় কি আপনি যদি জানেন যে এখানে তো আর একটা হাতিয়ার নিয়ে ঢোকার কথা না, তো আপনার পকেটে ধরেন হয়তো আরেকটা গুলি...ইয়ে পাওয়া গেল, তখন বোঝা যায় যে আপনি হয়তো ভুলেই ঢুকছেন।’
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে থাকা ম্যাগাজিনকে অনেকে আলোচিত আগ্নেয়াস্ত্র একে-ফোরটি সেভেনের ম্যাগাজিন বলে বর্ণনা করছেন।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘না, এটা কিন্তু একে–ফোরটি সেভেন না, এটা তাঁরই (উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ) একটা লাইসেন্সকৃত হাতিয়ার। পিস্তলের একটা ম্যাগাজিন যে থাকে, ম্যাগাজিনটা ওটা ভুলে ওনার ইসে রয়ে গেছিল।’
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী, দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদনের জন্য ব্যক্তির বয়স ৩০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে হতে হয়। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বয়স ঘিরে চলমান আলোচনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈধ লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বয়স ৩০ বছর আছে নাকি? আমি যেহেতু এ আইনটা পুরাটি দেখি নাই, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।’
বিমানবন্দরে প্রথম দুই প্রবেশপথ পেরিয়ে তৃতীয় প্রবেশপথে গিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। প্রথম প্রবেশপথে কেন ধরা হয়নি, সে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ জন্য আমি অলরেডি বলেছি, যেই হোক, অনেক সময় আছে যেমন ধরেন, হয়তো আমার ভাই আপনেগো ইয়ের নেতা, এখন উনি যখন ঢোকেন, অন্যান্য সময়ের থেকে উনি একটু প্রিভিলেজ পান। এই প্রিভিলেজটা যেন কারও ক্ষেত্রে না হয়, সবার ক্ষেত্রে যেন আইনটা সমানভাবে প্রয়োগ হয়, এ জন্য বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ব্যাগে ম্যাগাজিন পাওয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এটা হয়তো জাস্ট একটা ভুল।’
মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠেয় ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে রোববার ভোরে আসিফ মাহমুদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগ করেন। এর আগে বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় তাঁর ব্যাগে ম্যাগাজিন থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।
এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাংবাদিকেরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন, বিদেশে যাওয়ার সময় ব্যাগে ম্যাগাজিন থাকার ঘটনাটা কেমন?
জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘না, বিদেশ যাওয়ার কিছু না, হয়তো ভুলে অনেক সময় আপনি দেখেন, হয়তো চশমাটা নিয়ে যাবেন, ভুলে হয়তো চশমাটা না নিয়ে মোবাইলটা নিয়ে রওনা হয়ে গেলেন। এ রকম ভুল, এটা একটা মানে জাস্ট একটা ভুল। যেহেতু এটা নিয়া এত ভাইরাল, উনি যদি জানতে পারতেন আগে তাহলে তো উনি কোনো অবস্থাতেই এটা নিতেন না।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভুলে এমনটা করেছেন বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের যথার্থতা নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন তোলেন।
তখন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘না, ওনার সাথে তো আর আমার কথা হয় নাই। বাট জিনিসটা তো বোঝা যায় যে হয় কি আপনি যদি জানেন যে এখানে তো আর একটা হাতিয়ার নিয়ে ঢোকার কথা না, তো আপনার পকেটে ধরেন হয়তো আরেকটা গুলি...ইয়ে পাওয়া গেল, তখন বোঝা যায় যে আপনি হয়তো ভুলেই ঢুকছেন।’
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে থাকা ম্যাগাজিনকে অনেকে আলোচিত আগ্নেয়াস্ত্র একে-ফোরটি সেভেনের ম্যাগাজিন বলে বর্ণনা করছেন।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘না, এটা কিন্তু একে–ফোরটি সেভেন না, এটা তাঁরই (উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ) একটা লাইসেন্সকৃত হাতিয়ার। পিস্তলের একটা ম্যাগাজিন যে থাকে, ম্যাগাজিনটা ওটা ভুলে ওনার ইসে রয়ে গেছিল।’
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী, দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদনের জন্য ব্যক্তির বয়স ৩০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে হতে হয়। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বয়স ঘিরে চলমান আলোচনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈধ লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বয়স ৩০ বছর আছে নাকি? আমি যেহেতু এ আইনটা পুরাটি দেখি নাই, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।’
বিমানবন্দরে প্রথম দুই প্রবেশপথ পেরিয়ে তৃতীয় প্রবেশপথে গিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। প্রথম প্রবেশপথে কেন ধরা হয়নি, সে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ জন্য আমি অলরেডি বলেছি, যেই হোক, অনেক সময় আছে যেমন ধরেন, হয়তো আমার ভাই আপনেগো ইয়ের নেতা, এখন উনি যখন ঢোকেন, অন্যান্য সময়ের থেকে উনি একটু প্রিভিলেজ পান। এই প্রিভিলেজটা যেন কারও ক্ষেত্রে না হয়, সবার ক্ষেত্রে যেন আইনটা সমানভাবে প্রয়োগ হয়, এ জন্য বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।