
প্রতিবেদক, বিডিজেন

ইউরোপের ভিসা প্রোসেসিংয়ের নামে ৪৭ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ড্রিম ট্রাভেলস অ্যান্ড কনসালটেন্সির পরিচালক আশরাফুল হক রানার বিরুদ্ধে। গত ৯ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম (পল্টন) আদালতে রানার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই এজেন্সির চেয়ারম্যান নূর আরোসায়ালা (মজনু আহমেদ)।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) টাকা গ্রহণের স্ট্যাম্প, ব্যাংক লেনদেনের স্টেটমেন্ট ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের অংশীদারত্বের নথি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এ সম্পর্কিত মামলাটি করা হয় আদালতে। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে পাঠানো হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের মে মাসে অভিযুক্ত আশরাফুল হক রানাসহ আটজন মিলে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ড্রিম ট্রাভেলস অ্যান্ড কনসালটেন্সি নামের অংশীদারত্ব এজেন্সির যাত্রা শুরু হয়। এতে চেয়ারম্যান হিসেবে নূর আরোসায়ালা (মজনু) এবং পরিচালক হিসেবে আশরাফুল হক রানা দায়িত্ব নেন। পরিচালকের ইউরোপের ভিসা প্রোসেসিং সম্পর্কে অভিজ্ঞাতা থাকায় তিনি স্বেচ্ছায় দায়িত্ব নেন। এরপর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিজে ৪৯ জনের কাছ থেকে ৪৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নেন। তবে এসব টাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে আত্মসাৎ করেন।
এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময়ে অফিসে এসে অভিযোগ করেন। পরে রানার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান করলে তিনি প্রতিষ্ঠানের প্যাডে টাকা গ্রহণ করা এবং ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব টাকা পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনো টাকা পরিশোধ করেননি।
পরে চলতি বছরের গত ৯ সেপ্টেম্বর রানার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ভুক্তভোগীরা। গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্বাক্ষী, বাদী এবং অভিযুক্ত আপস মীমাংসার জন্য প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন। একপর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান রানা। এমনিক টাকা গ্রহণের বিষয়ও অস্বীকার করেন এবং অফিস বন্ধ করে দেওয়ার হুমিক দেন।
এ বিষয়ে গাজিপুরের বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী রায়হান বিডিজেনকে বলেন, “আমি ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য এজেন্সির সঙ্গে ১৪ লাখ টাকার কথা পাকা করেছিলাম। প্রথমে ২ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। এরপর পাসপোর্টসহ সব কাগজপত্র রেডি করছিলাম। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ বিভিন্ন কাজ নিয়মমতো এগোচ্ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই শুনি রানা সব টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এখন মজনু ভাইয়ের কাছে টাকা দাবি করেছি। মামলা হয়েছে, আমরা অনেকজন স্বাক্ষি আছি।”
অনিক নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, “আমি ২ লাখ টাকা ও পাসপোর্ট রানা ভাইয়ের কাছে জমা দিয়েছিলাম। পরে ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার আর কোনো আপডেট না পেয়ে অফিসে যাই। তারপর জানতে পারি রানা ভাই টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। আমরা অফিসের নামে টাকা দিয়েছলাম। তাই টাকা ফেরত নিতে অফিসে যাই। মজনু ভাই সময় নিয়েছেন; বাকিটা দেখা যাক।”
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নূর আরোসায়ালা (মজনু আহমেদ) বলেন, “টাকা নিয়ে আত্মসাৎ হওয়ার পর থেকে আমি কয়েকবার রানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। এমনকি তার বাড়িতে গিয়েও তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। এদিকে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত অফিসে এসে টাকা দাবি করছে। আমি অফিসের হয়ে যথাসম্ভব টাকা ফেরত দিচ্ছি। বাধ্য হয়ে বড় অঙ্কের এ টাকা আদায় করতে পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখন মামলাটি পিআইবি দেখছে। তবে এখনো সেভাবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।”
অভিযোগের বিষয়ে জনাতে আশরাফুল হক রানার একাধিক নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী মহি সামিম বলেন, “টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি কোর্টের মাধ্যমে পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন পর্যন্ত মামলাটি তদন্তের জন্য কোনো অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাই এ বিষয়টি নিয়ে হয়তো পিবিআই কিছু বলেত পারছে না।”

ইউরোপের ভিসা প্রোসেসিংয়ের নামে ৪৭ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ড্রিম ট্রাভেলস অ্যান্ড কনসালটেন্সির পরিচালক আশরাফুল হক রানার বিরুদ্ধে। গত ৯ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম (পল্টন) আদালতে রানার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই এজেন্সির চেয়ারম্যান নূর আরোসায়ালা (মজনু আহমেদ)।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) টাকা গ্রহণের স্ট্যাম্প, ব্যাংক লেনদেনের স্টেটমেন্ট ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের অংশীদারত্বের নথি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এ সম্পর্কিত মামলাটি করা হয় আদালতে। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে পাঠানো হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের মে মাসে অভিযুক্ত আশরাফুল হক রানাসহ আটজন মিলে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ড্রিম ট্রাভেলস অ্যান্ড কনসালটেন্সি নামের অংশীদারত্ব এজেন্সির যাত্রা শুরু হয়। এতে চেয়ারম্যান হিসেবে নূর আরোসায়ালা (মজনু) এবং পরিচালক হিসেবে আশরাফুল হক রানা দায়িত্ব নেন। পরিচালকের ইউরোপের ভিসা প্রোসেসিং সম্পর্কে অভিজ্ঞাতা থাকায় তিনি স্বেচ্ছায় দায়িত্ব নেন। এরপর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিজে ৪৯ জনের কাছ থেকে ৪৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নেন। তবে এসব টাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে আত্মসাৎ করেন।
এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময়ে অফিসে এসে অভিযোগ করেন। পরে রানার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান করলে তিনি প্রতিষ্ঠানের প্যাডে টাকা গ্রহণ করা এবং ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব টাকা পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনো টাকা পরিশোধ করেননি।
পরে চলতি বছরের গত ৯ সেপ্টেম্বর রানার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ভুক্তভোগীরা। গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্বাক্ষী, বাদী এবং অভিযুক্ত আপস মীমাংসার জন্য প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন। একপর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান রানা। এমনিক টাকা গ্রহণের বিষয়ও অস্বীকার করেন এবং অফিস বন্ধ করে দেওয়ার হুমিক দেন।
এ বিষয়ে গাজিপুরের বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী রায়হান বিডিজেনকে বলেন, “আমি ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য এজেন্সির সঙ্গে ১৪ লাখ টাকার কথা পাকা করেছিলাম। প্রথমে ২ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। এরপর পাসপোর্টসহ সব কাগজপত্র রেডি করছিলাম। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ বিভিন্ন কাজ নিয়মমতো এগোচ্ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই শুনি রানা সব টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এখন মজনু ভাইয়ের কাছে টাকা দাবি করেছি। মামলা হয়েছে, আমরা অনেকজন স্বাক্ষি আছি।”
অনিক নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, “আমি ২ লাখ টাকা ও পাসপোর্ট রানা ভাইয়ের কাছে জমা দিয়েছিলাম। পরে ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার আর কোনো আপডেট না পেয়ে অফিসে যাই। তারপর জানতে পারি রানা ভাই টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। আমরা অফিসের নামে টাকা দিয়েছলাম। তাই টাকা ফেরত নিতে অফিসে যাই। মজনু ভাই সময় নিয়েছেন; বাকিটা দেখা যাক।”
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নূর আরোসায়ালা (মজনু আহমেদ) বলেন, “টাকা নিয়ে আত্মসাৎ হওয়ার পর থেকে আমি কয়েকবার রানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। এমনকি তার বাড়িতে গিয়েও তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। এদিকে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত অফিসে এসে টাকা দাবি করছে। আমি অফিসের হয়ে যথাসম্ভব টাকা ফেরত দিচ্ছি। বাধ্য হয়ে বড় অঙ্কের এ টাকা আদায় করতে পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখন মামলাটি পিআইবি দেখছে। তবে এখনো সেভাবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।”
অভিযোগের বিষয়ে জনাতে আশরাফুল হক রানার একাধিক নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী মহি সামিম বলেন, “টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি কোর্টের মাধ্যমে পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন পর্যন্ত মামলাটি তদন্তের জন্য কোনো অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাই এ বিষয়টি নিয়ে হয়তো পিবিআই কিছু বলেত পারছে না।”
ইউরোপের ভিসা প্রোসেসিংয়ের নামে ৪৭ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ড্রিম ট্রাভেলস অ্যান্ড কনসালটেন্সির পরিচালক আশরাফুল হক রানার বিরুদ্ধে। গত ৯ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম (পল্টন) আদালতে রানার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই এজেন্সির চেয়ারম্যান নূর আরোসায়ালা (মজনু আহমেদ)।
সেমিনারের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘মিইমাই’ অপরাধ প্রতিরোধ অ্যাপ উপস্থাপন। এ অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিকেরা নিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করতে, তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য দিতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ পথ এড়িয়ে চলার পথ নির্বাচন করতে পারেন। এটি সাধারণ হাঁটার মধ্যেই পর্যবেক্ষণ ও সতর্কতার একটি সংস্কৃতি তৈরি করে।
কর্মশালায় জানানো হয়, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক হস্তশিল্পের যে বিশাল বাজার ছিল সেখানে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব এক শতাংশেরও কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২৯ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার মূল্যের হস্তশিল্প রপ্তানি করেছে।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, " আউট-অব-কান্ট্রি ভোটিংয়ের (ভোটার নিবন্ধন) সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পূর্ববর্তী শেষ তারিখ ছিল ১৮ ডিসেম্বর, কিন্তু সেটি ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।"