প্রতিবেদক, বিডিজেন
সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বলেছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। তিনি সেদিন জাতীয় সংসদ ভবনে ছিলেন। সেদিন দিবাগত রাত আড়াইটার সময় তাঁকেসহ ১২ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী।
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) সিএমএম আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে তিনি এ কথা বলেন।
বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে আদালতকক্ষে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জুনাইদ আহ্মেদ পলকের নাম ধরে ডাকেন। তখন পলক তাঁর ডান হাত উঁচু করেন। তাঁর হাতে পরানো ছিল হাতকড়া।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডায় রংমিস্ত্রি আবদুল জব্বার হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এই হত্যা মামলায় জুনাইদ আহ্মেদ পলকের নাম রয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা জরুরি।
পুলিশের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর জুনাইদ আহ্মেদ পলক হাত উঁচু করে কথা বলার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চান।
আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ‘বলা হচ্ছে, গত ৫ আগস্ট বাড্ডার খুনের ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত। একটা বিষয় আপনাকে (আদালত) জানিয়ে রাখি। গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা ১১টার সময় আমি সংসদে অবস্থান করি। একটা পর্যায়ে আমরা সংসদে আক্রান্ত হই। একপর্যায়ে আমি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ ১২ জন সংসদের বিশেষ কক্ষে অবস্থান করতে বাধ্য হই। রাত আড়াইটার সময় সেনাবাহিনী আমাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
পলক আদালতকে আরও বলেন, ‘যেখানে আমি সারা দিন সংসদে অবস্থান করেছিলাম, সেখানে ৫ আগস্ট কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো দায় নেই। ইতিমধ্যে আমার ৮৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হোক।’
জুনাইদ আহ্মেদ পলকের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন পিপি ফারুক ফারুকী। তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম, ৫ আগস্ট সংসদে স্পিকারসহ বেশ কয়েকজন লুকিয়ে ছিলেন। আজ জুনাইদ আহ্মেদ পলক সেই ঘটনা বললেন। এখনো স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।’
ফারুক ফারুকী আরও বলেন, ‘আমরা বারবারই বলছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে যারা সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের যে শাস্তি, একই শাস্তি, যারা এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জুনাইদ আহ্মেদ পলক এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যে কয়েকজন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিং করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন এই জুনাইদ আহ্মেদ পলক।’
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে জুনাইদ আহ্মেদ পলকে এই মামলায় তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বলেছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। তিনি সেদিন জাতীয় সংসদ ভবনে ছিলেন। সেদিন দিবাগত রাত আড়াইটার সময় তাঁকেসহ ১২ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী।
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) সিএমএম আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে তিনি এ কথা বলেন।
বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে আদালতকক্ষে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জুনাইদ আহ্মেদ পলকের নাম ধরে ডাকেন। তখন পলক তাঁর ডান হাত উঁচু করেন। তাঁর হাতে পরানো ছিল হাতকড়া।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডায় রংমিস্ত্রি আবদুল জব্বার হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এই হত্যা মামলায় জুনাইদ আহ্মেদ পলকের নাম রয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা জরুরি।
পুলিশের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর জুনাইদ আহ্মেদ পলক হাত উঁচু করে কথা বলার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চান।
আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ‘বলা হচ্ছে, গত ৫ আগস্ট বাড্ডার খুনের ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত। একটা বিষয় আপনাকে (আদালত) জানিয়ে রাখি। গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা ১১টার সময় আমি সংসদে অবস্থান করি। একটা পর্যায়ে আমরা সংসদে আক্রান্ত হই। একপর্যায়ে আমি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ ১২ জন সংসদের বিশেষ কক্ষে অবস্থান করতে বাধ্য হই। রাত আড়াইটার সময় সেনাবাহিনী আমাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
পলক আদালতকে আরও বলেন, ‘যেখানে আমি সারা দিন সংসদে অবস্থান করেছিলাম, সেখানে ৫ আগস্ট কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো দায় নেই। ইতিমধ্যে আমার ৮৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হোক।’
জুনাইদ আহ্মেদ পলকের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন পিপি ফারুক ফারুকী। তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম, ৫ আগস্ট সংসদে স্পিকারসহ বেশ কয়েকজন লুকিয়ে ছিলেন। আজ জুনাইদ আহ্মেদ পলক সেই ঘটনা বললেন। এখনো স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।’
ফারুক ফারুকী আরও বলেন, ‘আমরা বারবারই বলছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে যারা সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের যে শাস্তি, একই শাস্তি, যারা এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জুনাইদ আহ্মেদ পলক এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যে কয়েকজন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিং করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন এই জুনাইদ আহ্মেদ পলক।’
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে জুনাইদ আহ্মেদ পলকে এই মামলায় তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টা থেকে এ গণজমায়েত শুরু হবে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে আবার ঢাকা শহরে মার্চ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা। আজ শুক্রবার (৯ মে) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। ফলে শাহবাগ মোড়ের সবকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আজ শুক্রবার (৯ মে) বেলা ৩টার কিছু আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।