logo
খবর

বিশেষ ক্ষমতা আইনে সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ মেঘনা আলম কারাগারে

প্রতিবেদক, বিডিজেন১১ এপ্রিল ২০২৫
Copied!
বিশেষ ক্ষমতা আইনে সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ মেঘনা আলম কারাগারে
ডেল মেঘনা আলম। ছবি: ফেসবুক পেজ থেকে

সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ দিয়ে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ডিবি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় মডেল মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে আদালত এই আদেশ দেন।

বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশের পর মডেল মেঘনা আলমকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিশেষ ক্ষমতা আইনে সরকার কোনো ব্যক্তিকে আদালতের আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা বন্দী রাখতে পারে। এই আইন সাধারণত জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োগ করা হয়।

আদালতের আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ (১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ দেওয়া হচ্ছে। স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালে মিস আর্থ বাংলাদেশ হন মডেল মেঘনা আলম। ছবি–ফেসবুক
২০২০ সালে মিস আর্থ বাংলাদেশ হন মডেল মেঘনা আলম। ছবি–ফেসবুক

ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র তালেবুর রহমান জানান, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তথাপি আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে।’

এর আগে গত বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়। মেঘনা আলম তখন ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। তিনি দাবি করেন, তিনি নিরপরাধ। মেঘনা আলমের অভিযোগ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি লাইভ চলার মধ্যে তাঁর বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরিচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।

২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মেঘনা আলম। পরিবেশ রক্ষায় পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করে নতুন পণ্য তৈরি এবং বিক্রির মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগে তিনি এই খেতাব অর্জন করেন তিনি।

বিশেষ ক্ষমতা আইন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এই আইন করা হয়। পাকিস্তানের নিরাপত্তা আইন ১৯৫২, জন নিরাপত্তা অর্ডিন্যান্স ১৯৫৮ এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ তফসিলি অপরাধ (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশকে প্রতিস্থাপনের জন্য আইনটি পাস করা হয়েছিলো।

এর উদ্দেশ্য ছিল বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু কার্যকলাপ প্রতিহত করা। একই সঙ্গে কিছু গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা। এই আইনে চোরাচালান, কৃত্রিম সংকট তৈরি এবং ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত যে কাউকে সরকারের আটক করতে পারার বিধান রয়েছে।

এই আইনে রাষ্ট্র-বিরোধী কার্যকলাপের সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং প্রতিরক্ষা বিরোধী কার্যকলাপ, বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি সাধন, জন নিরাপত্তা বিরোধী কাজ করা, জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা-সহ নানা বিষয়।

এ ছাড়াও জনগণের মধ্যে বা জনগোষ্ঠীর কোনও অংশের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করা , দেশের আইন ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বাধা দেয়া এবং দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করা রাষ্ট্র-বিরোধী কার্যকলাপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের বিভিন্ন সময় এই আইনে কিছু কিছু ধারা সংশোধন ও সংযোজন করা হয়। যে সব ধারা এই আইনে সংযোজন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কাগজের মুদ্রা ও সরকারি স্ট্যাম্প জাল করা, চোরাচালানি, খাদ্য, পানীয় ওষুধ ও প্রসাধনী দ্রব্যে ভেজাল, অপরাধ করার ষড়যন্ত্র করা এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।

এই আইনটিকে ‘কালো আইন’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিভিন্ন সময় এই আইনটি অপসারণের দাবি উঠলেও কোনো সরকারই তা করেনি।

আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত আমরা কখনোই মেনে নেব না: হাসনাত

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত আমরা কখনোই মেনে নেব না: হাসনাত

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, 'আপনারা হয়তো কেউ বিএনপি করেন, কেউ জামায়াত করেন, তাতে আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত আমরা কখনোই মেনে নেব না।'

৫ ঘণ্টা আগে

সিইসি ও ইসি নিয়োগ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে: আলী রীয়াজ

সিইসি ও ইসি নিয়োগ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে: আলী রীয়াজ

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৮তম দিনের আলোচনায় প্রধান ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

৫ ঘণ্টা আগে

এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

৫ ঘণ্টা আগে

পদত্যাগের অভিপ্রায় নেই, নিয়োগকর্তা বললে চলে যাব: শিক্ষা উপদেষ্টা

পদত্যাগের অভিপ্রায় নেই, নিয়োগকর্তা বললে চলে যাব: শিক্ষা উপদেষ্টা

রাজধানী ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর কাজে ব্যত্যয় হয়নি জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার (চৌধুরী রফিকুল আবরার) বলেছেন, 'আমার নিয়োগকর্তা আছেন, তারাও যদি মনে করেন এখানে ব্যত্যয় ঘটেছিল, তাহলে আমাকে যেতে বললে আমি অবশ্যই চলে যাব।'

১২ ঘণ্টা আগে