বিডিজেন ডেস্ক
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেছেন, ৫ আগস্টের আগে বা পরে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন গ্রহণযোগ্য নয়।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সকল অপরাধীর বিচারের আওতায় নিয়ে আসা উচিত এবং বিচার হওয়া উচিত।’
ফলকার টুর্ক বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা বঞ্চনার শিকার হয়ে তাদের বক্তব্য প্রকাশ করতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমে এক নজিরবিহীন ঘটনা সৃষ্টি করেছে।’
‘যথেষ্ট ভিন্নমত দমন করা হয়েছে। দেশে যথেষ্ট বৈষম্য, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার ছিল তাদের মূল দাবি,’ যোগ করেন তিনি।
ফলকার টুর্ক বলেন, ‘আমরা এখন একটি নতুন বাংলাদেশ দেখছি। এবার ন্যায়বিচার হতে হবে। এবারের সংস্কার অবশ্যই টেকসই হতে হবে। অতীতের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি না হয়।’
তিনি বলেন, মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের অধিকারকে সম্মান করতে হবে। বর্তমান সরকারের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল ও এই আইনের অধীনে পুরনো মামলা প্রত্যাহারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তথ্যানুসন্ধান করছে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফলকার টুর্ক।
সাক্ষাতকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাজ চলছে এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত হবে আশা করছেন।
এ সময় ফলকার টুর্ক বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যা গণঅভ্যুত্থানের সময় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করছে, তার কাজ নিয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশন নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া, বিগত সরকারের সময় গুমের ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার। গুমের ঘটনা তদন্তে তাঁর অফিস তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে 'স্বাধীন' এবং 'সম্পূর্ণ কার্যকরী' করে শক্তিশালী করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ফলকার টুক জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের দপ্তর ঢাকায় তাদের উপস্থিতি জোরদার করতে চায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসেন।
সফরকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ ছাড়া, ফলকার টুর্ক মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের জন্য এমন একটি পরিবেশ দরকার, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে সম্মান করা হয়।”
তিনি বলেন, এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই উন্নয়ন নীতির একটি সুযোগ, যা প্রত্যেককে উপকৃত করে।
ফলকার টুর্ক বলেন, বৈষম্য, প্রতিশোধ ও প্রতিশোধের চক্র, প্রান্তিকীকরণ, দুর্নীতি এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনকে অতীতের দিকে ঠেলে দিতে হবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, উন্নত বর্তমান এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ধারণা ন্যায়সঙ্গত দাবিতে পূর্ণ সম্ভাবনা এটি। সেই সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে বাংলাদেশকে অবশ্যই এই বিষয়ের পুনরাবৃত্তির সমাপ্তি টানতে হবে।
ফলকার টুর্ক বলেন, “গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি আপনাদের অঙ্গীকার থেকে আমি অনুপ্রেরণা পাই। এটিকে আপনাদের সংগ্রাম ও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের তালিকায় রাখুন। সবার জন্য আরও সমতা, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আরও ন্যায়সঙ্গত বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের এই প্রচেষ্টায় আমি পাশে আছি।”
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে চলমান সম্পর্কের অংশ হিসেবে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার একটি আগাম পর্যবেক্ষক দল ২২ থেকে ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করে। তারা সেসময় সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেছেন, ৫ আগস্টের আগে বা পরে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন গ্রহণযোগ্য নয়।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সকল অপরাধীর বিচারের আওতায় নিয়ে আসা উচিত এবং বিচার হওয়া উচিত।’
ফলকার টুর্ক বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা বঞ্চনার শিকার হয়ে তাদের বক্তব্য প্রকাশ করতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমে এক নজিরবিহীন ঘটনা সৃষ্টি করেছে।’
‘যথেষ্ট ভিন্নমত দমন করা হয়েছে। দেশে যথেষ্ট বৈষম্য, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার ছিল তাদের মূল দাবি,’ যোগ করেন তিনি।
ফলকার টুর্ক বলেন, ‘আমরা এখন একটি নতুন বাংলাদেশ দেখছি। এবার ন্যায়বিচার হতে হবে। এবারের সংস্কার অবশ্যই টেকসই হতে হবে। অতীতের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি না হয়।’
তিনি বলেন, মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের অধিকারকে সম্মান করতে হবে। বর্তমান সরকারের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল ও এই আইনের অধীনে পুরনো মামলা প্রত্যাহারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তথ্যানুসন্ধান করছে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফলকার টুর্ক।
সাক্ষাতকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাজ চলছে এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত হবে আশা করছেন।
এ সময় ফলকার টুর্ক বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যা গণঅভ্যুত্থানের সময় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করছে, তার কাজ নিয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশন নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া, বিগত সরকারের সময় গুমের ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার। গুমের ঘটনা তদন্তে তাঁর অফিস তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে 'স্বাধীন' এবং 'সম্পূর্ণ কার্যকরী' করে শক্তিশালী করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ফলকার টুক জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের দপ্তর ঢাকায় তাদের উপস্থিতি জোরদার করতে চায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসেন।
সফরকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ ছাড়া, ফলকার টুর্ক মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের জন্য এমন একটি পরিবেশ দরকার, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে সম্মান করা হয়।”
তিনি বলেন, এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই উন্নয়ন নীতির একটি সুযোগ, যা প্রত্যেককে উপকৃত করে।
ফলকার টুর্ক বলেন, বৈষম্য, প্রতিশোধ ও প্রতিশোধের চক্র, প্রান্তিকীকরণ, দুর্নীতি এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনকে অতীতের দিকে ঠেলে দিতে হবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, উন্নত বর্তমান এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ধারণা ন্যায়সঙ্গত দাবিতে পূর্ণ সম্ভাবনা এটি। সেই সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে বাংলাদেশকে অবশ্যই এই বিষয়ের পুনরাবৃত্তির সমাপ্তি টানতে হবে।
ফলকার টুর্ক বলেন, “গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি আপনাদের অঙ্গীকার থেকে আমি অনুপ্রেরণা পাই। এটিকে আপনাদের সংগ্রাম ও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের তালিকায় রাখুন। সবার জন্য আরও সমতা, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আরও ন্যায়সঙ্গত বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের এই প্রচেষ্টায় আমি পাশে আছি।”
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে চলমান সম্পর্কের অংশ হিসেবে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার একটি আগাম পর্যবেক্ষক দল ২২ থেকে ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করে। তারা সেসময় সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বন্ধ ঘোষণা করা ২টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।
যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
কথাসাহিত্যিক ও গবেষক সিরাজুল ইসলাম মুনির সমকালীন বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে সুপরিচিত নাম। তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির সমৃদ্ধ বহুমাত্রিকতা সৃষ্টি করেছে শক্তিশালী স্বতন্ত্র অবস্থান। সাবলীল শব্দ ব্যঞ্জনার প্রকাশে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন, দেশাত্মবোধ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন মাত্রাকে।