বিডিজেন ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার পাঁচ বাংলাদেশিকে দেশটির দুটি কারাগারে রাখা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) ওই পাঁচ বাংলাদেশির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
খবর প্রথম আলোর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে ‘কনস্যুলার সেবা’ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশটির কারা কর্তৃপক্ষ কনস্যুলার সেবার অনুমতি দিয়েছে। হাইকমিশনের কর্মকর্তারা তাঁদের আইনি সহায়তা কিংবা অন্য মৌলিক সহায়তার প্রয়োজন কি না, তা জানবেন। তাঁদের কোনো বক্তব্য থাকলে সেটা জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছে, গত এপ্রিলে মালয়েশিয়া পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার পাঁচজন বাংলাদেশির দুজন বর্তমানে দেশটির সেলাঙ্গর কারাগারে আর তিনজনকে জোহর বারু কারাগারে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার পুলিশ পরিকল্পনা অনুযায়ী সেলাঙ্গর ও জোহর অঞ্চলে গত ২৪ এপ্রিল থেকে তিন ধাপে এ অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে কারাবন্দী পাঁচজনকে সন্ত্রাসবাদ-সংশ্লিষ্ট অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনকে মালয়েশিয়া থেকে বহিষ্কারের আদেশ জারি হয়েছে। বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে অধিকতর তদন্ত চলছে।
কুয়ালালামপুর থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগের আলাদা আলাদা অভিযানে ৩৬ জন নয়, ৩৫ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন।
অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে ওই ১৪ জনকে হস্তান্তর করা হয় ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে। বাকিদের মধ্যে পাঁচজনকে সন্ত্রাসবাদের অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়। আর ১৬ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত চলছে বলে কুয়ালালামপুরের কূটনৈতিক সূত্র জানায়। ওই সূত্র জানায়, যে ১৪ জনকে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাঁদের মধ্য থেকে ছয়জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কুয়ালালামপুর হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগ যখন এই অভিযান চালায়, সে সময় দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রতিষ্ঠান অনানুষ্ঠানিকভাবে কয়েকজন বাংলাদেশির বিষয়ে খোঁজ নিয়েছিল। বিশেষ করে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কারও অতীতে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ছিল কি না, তা মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, নামের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কারও অতীতে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার কোনো অভিযোগ বাংলাদেশে ছিল না।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওই কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার অনানুষ্ঠানিক অনুরোধে সে সময় তাদের তথ্য সরবরাহ করা হয়। কিন্তু দেশটির পুলিশ যে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কোনো অভিযান চালাচ্ছে, তা সে সময় হাইকমিশনকে জানানো হয়নি।
ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আটক ৩৫ জনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা চেয়ে শুরু থেকেই মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া পায়নি।
সূত্র: প্রথম আলো
আরও পড়ুন
মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার পাঁচ বাংলাদেশিকে দেশটির দুটি কারাগারে রাখা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) ওই পাঁচ বাংলাদেশির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
খবর প্রথম আলোর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে ‘কনস্যুলার সেবা’ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশটির কারা কর্তৃপক্ষ কনস্যুলার সেবার অনুমতি দিয়েছে। হাইকমিশনের কর্মকর্তারা তাঁদের আইনি সহায়তা কিংবা অন্য মৌলিক সহায়তার প্রয়োজন কি না, তা জানবেন। তাঁদের কোনো বক্তব্য থাকলে সেটা জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছে, গত এপ্রিলে মালয়েশিয়া পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার পাঁচজন বাংলাদেশির দুজন বর্তমানে দেশটির সেলাঙ্গর কারাগারে আর তিনজনকে জোহর বারু কারাগারে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার পুলিশ পরিকল্পনা অনুযায়ী সেলাঙ্গর ও জোহর অঞ্চলে গত ২৪ এপ্রিল থেকে তিন ধাপে এ অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে কারাবন্দী পাঁচজনকে সন্ত্রাসবাদ-সংশ্লিষ্ট অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনকে মালয়েশিয়া থেকে বহিষ্কারের আদেশ জারি হয়েছে। বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে অধিকতর তদন্ত চলছে।
কুয়ালালামপুর থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগের আলাদা আলাদা অভিযানে ৩৬ জন নয়, ৩৫ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন।
অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে ওই ১৪ জনকে হস্তান্তর করা হয় ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে। বাকিদের মধ্যে পাঁচজনকে সন্ত্রাসবাদের অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়। আর ১৬ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত চলছে বলে কুয়ালালামপুরের কূটনৈতিক সূত্র জানায়। ওই সূত্র জানায়, যে ১৪ জনকে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাঁদের মধ্য থেকে ছয়জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কুয়ালালামপুর হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগ যখন এই অভিযান চালায়, সে সময় দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রতিষ্ঠান অনানুষ্ঠানিকভাবে কয়েকজন বাংলাদেশির বিষয়ে খোঁজ নিয়েছিল। বিশেষ করে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কারও অতীতে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ছিল কি না, তা মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, নামের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কারও অতীতে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার কোনো অভিযোগ বাংলাদেশে ছিল না।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওই কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার অনানুষ্ঠানিক অনুরোধে সে সময় তাদের তথ্য সরবরাহ করা হয়। কিন্তু দেশটির পুলিশ যে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কোনো অভিযান চালাচ্ছে, তা সে সময় হাইকমিশনকে জানানো হয়নি।
ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আটক ৩৫ জনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা চেয়ে শুরু থেকেই মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া পায়নি।
সূত্র: প্রথম আলো
আরও পড়ুন
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।