

বিডিজেন ডেস্ক

বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে প্রবাসীর স্ত্রী ও এক যুবককে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের রাতভর ঘরে আটকে নির্যাতনের পর সকালে আবারও বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কটিয়াদী থানা-পুলিশ।
খবর আজকের পত্রিকার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে এক নারী (২৮) ও এক যুবককে (২৯) পেটাচ্ছেন এলাকায় ‘হবি ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত হাবিবুর রহমান (৬৫)। এ সময় চারপাশে ভিড় করে উৎসুক জনতা। হাবিবুর রহমান প্রথমে একটি কঞ্চি দিয়ে দুজনকে পেটানোর পর পাশ থেকে আরও একজন আরও তিনটি কঞ্চি এগিয়ে দেন। সেগুলো একসঙ্গে করে পেটাতে থাকেন হাবিবুর। এ সময় নির্যাতনের শিকার নারী-পুরুষকে চিৎকার করতে শোনা যায়। অবশ্য এর মধ্যে কারও কারও মারতে নিষেধ করার কথাও শোনা গেছে। তারপরেও থামেনি হাবিবুর। আরও একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি কঞ্চি একসঙ্গে করে তাঁদের পেটাচ্ছে কুলসুম নামের এক নারী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই নারী ও যুবককে স্বামীর বাড়ি থেকে আটক করেন দঁড়িচরিয়া কোনা গ্রামের লোকজন। পরে গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে তাদের দুই হাত একসঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালান হাবিবুর, কুলসুমসহ (৪৫) কয়েকজন।
নির্যাতনের শিকার ওয়াহিদের বাবা মজলু মিয়া বলেন, ‘মানুষরে মানুষ এভাবে মারে কেমনে। আমি বিচার চাই।’
জানা যায়, ১০ বছর আগে কটিয়াদী পৌর এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় নির্যাতনের শিকার ওই নারীর। বিয়ের চার বছর পরে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তার স্বামী। পরে একই উপজেলার চারিয়া গ্রামের যুবক ওয়াহিদের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ভুক্তভোগী নারীর খালাতো ভাই বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর টর্চার করা হইছে। আমরা চাই যে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সবাইকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত সাজা দেওয়া হোক।’
ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীর বসতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্তরা। এ সময় তার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয় তারা। পরে তার পাশের রুম থেকে তার পূর্বপরিচিত এক যুবককে ডেকে এনে দুজনকে একসঙ্গে মারধর করা হয়। পরে আবার বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে তাদের একসঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে সেই ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী বর্তমানে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হলেও আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৈয়দ মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। চোখের আঘাত এবং শরীরের অন্য জায়গায় আঘাতের কথা চিন্তা করেই আমরা তাকে পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি।’
পুলিশ জানায়, বিষয়টি নজরে আসার পরেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে কুলসুম ও বোরহান উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আমরা অভিযোগ নিই। অভিযোগ নিয়ে দ্রুত মামলা রেকর্ড করি। ওই দিনই অভিযান চালিয়ে মূল হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সূত্র: আজকের পত্রিকা

বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে প্রবাসীর স্ত্রী ও এক যুবককে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের রাতভর ঘরে আটকে নির্যাতনের পর সকালে আবারও বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কটিয়াদী থানা-পুলিশ।
খবর আজকের পত্রিকার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে এক নারী (২৮) ও এক যুবককে (২৯) পেটাচ্ছেন এলাকায় ‘হবি ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত হাবিবুর রহমান (৬৫)। এ সময় চারপাশে ভিড় করে উৎসুক জনতা। হাবিবুর রহমান প্রথমে একটি কঞ্চি দিয়ে দুজনকে পেটানোর পর পাশ থেকে আরও একজন আরও তিনটি কঞ্চি এগিয়ে দেন। সেগুলো একসঙ্গে করে পেটাতে থাকেন হাবিবুর। এ সময় নির্যাতনের শিকার নারী-পুরুষকে চিৎকার করতে শোনা যায়। অবশ্য এর মধ্যে কারও কারও মারতে নিষেধ করার কথাও শোনা গেছে। তারপরেও থামেনি হাবিবুর। আরও একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি কঞ্চি একসঙ্গে করে তাঁদের পেটাচ্ছে কুলসুম নামের এক নারী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই নারী ও যুবককে স্বামীর বাড়ি থেকে আটক করেন দঁড়িচরিয়া কোনা গ্রামের লোকজন। পরে গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে তাদের দুই হাত একসঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালান হাবিবুর, কুলসুমসহ (৪৫) কয়েকজন।
নির্যাতনের শিকার ওয়াহিদের বাবা মজলু মিয়া বলেন, ‘মানুষরে মানুষ এভাবে মারে কেমনে। আমি বিচার চাই।’
জানা যায়, ১০ বছর আগে কটিয়াদী পৌর এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় নির্যাতনের শিকার ওই নারীর। বিয়ের চার বছর পরে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তার স্বামী। পরে একই উপজেলার চারিয়া গ্রামের যুবক ওয়াহিদের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ভুক্তভোগী নারীর খালাতো ভাই বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর টর্চার করা হইছে। আমরা চাই যে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সবাইকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত সাজা দেওয়া হোক।’
ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীর বসতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্তরা। এ সময় তার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয় তারা। পরে তার পাশের রুম থেকে তার পূর্বপরিচিত এক যুবককে ডেকে এনে দুজনকে একসঙ্গে মারধর করা হয়। পরে আবার বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে তাদের একসঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে সেই ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী বর্তমানে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হলেও আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৈয়দ মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। চোখের আঘাত এবং শরীরের অন্য জায়গায় আঘাতের কথা চিন্তা করেই আমরা তাকে পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি।’
পুলিশ জানায়, বিষয়টি নজরে আসার পরেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে কুলসুম ও বোরহান উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আমরা অভিযোগ নিই। অভিযোগ নিয়ে দ্রুত মামলা রেকর্ড করি। ওই দিনই অভিযান চালিয়ে মূল হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সূত্র: আজকের পত্রিকা
ভুক্তভোগীদের অনেক ক্ষেত্রে গ্যারান্টিযুক্ত ভিসা, যোগ্যতা ছাড়াই চাকরি বা অতিরিক্ত ফির বিনিময়ে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বাস্তবে তারা পায় আর্থিক ক্ষতি, ভিসা প্রত্যাখ্যান, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পাচার ও শোষণের শিকার হয়।
অ্যাপ চালুর পর গতকাল রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত এসব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে বসবাস করা ১৭ হাজার ৯০৭ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৩৫৫ জন। নারী ১ হাজার ৫৫২ জন।
আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ ১৬টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১২টা থেকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।