
বিডিজেন ডেস্ক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করছেন মানুষ।
ভাঙনে এরই মধ্যে নদীপাড়ের অনেকেই হারিছেন বসতভিটা। কেউ কেউ বাপ-দাদার ভিটে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। তবে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নজর দিচ্ছে না- এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর রানীগঞ্জ সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব জালালপুর, ভাঙাবাড়ি, বাঘময়না পর্যন্ত থেমে থেমে নদী ভাঙছে। কয়েক মাসে নদীতে চলে গেছে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার জায়গা। এতে কমপক্ষে ৪০টির বেশি ঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হয়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় বসবাস করছেন। আবার অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীর পাড়েই বসবাস করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইলগাঁও ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের আল আমিন, পাইলগাঁও শাপলা ব্রিক ফিল্ডের মালিক ফারুক মিয়াসহ অনেকে অবৈধভাবে নদীর পাড় কেটে মাটি নিচ্ছেন।
এলাকার অনেকে অভিযোগ করেন, প্রতিদিন আল আমিন নামে এক ব্যক্তি নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছেন। তিনি প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে মাটি বিক্রি করছেন। বালিশ্রী ও বাগময়না এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অনেকে বাড়িঘর ভেঙে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙন থামার আশায় কেউ কেউ শুধু বাড়ির চাল (ছাউনি) খুলে অন্য জায়গায় রাখলেও খুঁটি ও বেড়া খুলছেন না।
এমতাবস্থায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে পাইলগাঁও ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের তিন শতাধিক পরিবার। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মসজিদ ও স্কুলও। তবে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিদ্যুতের খুঁটি। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতেও বন্ধ করা যাচ্ছে না নদীর ভাঙন।
রানীনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রমদ দাস বলেন, ঘর ছিল। হঠাৎ ফাটল, রাতে নদীর ভাঙনে সেই ঘর ডুবে গেছে। এখন আমার বাড়ি নদীতে।
রানীনগর গ্রামের বুলাই রবিদাস বলেন, প্রতি বছর নদীর পাড় কেটে নিচ্ছে কিছু ভূমিখেকো। তাই নদী ভাঙনে অনেক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এখনো নদীর পাড় কেটে মাটি নেওয়া হচ্ছে। মাটিগুলো বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
কল্পনা রানী দাস নামে এক নারী বলেন, ‘কে করে দেবে আমাদের ঘরবাড়ি? ছোট একটি ঘরে আমরা দুজন থাকি। হয়তো রাতে থাকতে পারব না। ঘর ভেঙে নিয়ে যাবে নদীতে। কীভাবে থাকব, কীভাবে চলব, কে আমাদের খাওয়াবে বলতে পারছি না। ’
বালিশি গ্রামের আশরাফুল হক বলেন, ‘আমরা ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মানববন্ধন করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। অবৈধভাবে নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
পাইলগাঁও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নজমুদ্দিন বলেন, কুশিয়ারা নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি হচ্ছে, এতে এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানিয়েছি, কোনো কাজ হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শিল বলেন, ‘নদীর ভাঙন রোধে কিছু জায়গায় আমরা জিওব্যাগ ফেলছি। নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিতে পারবে না। যারা নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়া এ বছরও এলাকায় নদীভাঙন রোধে কাজ চলছে। এরই মধ্যে আমরা একটি প্রকল্প তৈরি করে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। এটি পাস হলে ব্লক ও জিওব্যাগ ফেলে স্থায়ী একটি বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করব।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি হচ্ছে শুনেছি। আমরা দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। নদীর পাড় কাটা যাবে না। আমি তহশিলদারকে বলে দিয়েছি বিষয়টি দ্রুত দেখার জন্য।’

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করছেন মানুষ।
ভাঙনে এরই মধ্যে নদীপাড়ের অনেকেই হারিছেন বসতভিটা। কেউ কেউ বাপ-দাদার ভিটে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। তবে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নজর দিচ্ছে না- এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর রানীগঞ্জ সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব জালালপুর, ভাঙাবাড়ি, বাঘময়না পর্যন্ত থেমে থেমে নদী ভাঙছে। কয়েক মাসে নদীতে চলে গেছে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার জায়গা। এতে কমপক্ষে ৪০টির বেশি ঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হয়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় বসবাস করছেন। আবার অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীর পাড়েই বসবাস করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইলগাঁও ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের আল আমিন, পাইলগাঁও শাপলা ব্রিক ফিল্ডের মালিক ফারুক মিয়াসহ অনেকে অবৈধভাবে নদীর পাড় কেটে মাটি নিচ্ছেন।
এলাকার অনেকে অভিযোগ করেন, প্রতিদিন আল আমিন নামে এক ব্যক্তি নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছেন। তিনি প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে মাটি বিক্রি করছেন। বালিশ্রী ও বাগময়না এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অনেকে বাড়িঘর ভেঙে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙন থামার আশায় কেউ কেউ শুধু বাড়ির চাল (ছাউনি) খুলে অন্য জায়গায় রাখলেও খুঁটি ও বেড়া খুলছেন না।
এমতাবস্থায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে পাইলগাঁও ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের তিন শতাধিক পরিবার। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মসজিদ ও স্কুলও। তবে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিদ্যুতের খুঁটি। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতেও বন্ধ করা যাচ্ছে না নদীর ভাঙন।
রানীনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রমদ দাস বলেন, ঘর ছিল। হঠাৎ ফাটল, রাতে নদীর ভাঙনে সেই ঘর ডুবে গেছে। এখন আমার বাড়ি নদীতে।
রানীনগর গ্রামের বুলাই রবিদাস বলেন, প্রতি বছর নদীর পাড় কেটে নিচ্ছে কিছু ভূমিখেকো। তাই নদী ভাঙনে অনেক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এখনো নদীর পাড় কেটে মাটি নেওয়া হচ্ছে। মাটিগুলো বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
কল্পনা রানী দাস নামে এক নারী বলেন, ‘কে করে দেবে আমাদের ঘরবাড়ি? ছোট একটি ঘরে আমরা দুজন থাকি। হয়তো রাতে থাকতে পারব না। ঘর ভেঙে নিয়ে যাবে নদীতে। কীভাবে থাকব, কীভাবে চলব, কে আমাদের খাওয়াবে বলতে পারছি না। ’
বালিশি গ্রামের আশরাফুল হক বলেন, ‘আমরা ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মানববন্ধন করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। অবৈধভাবে নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
পাইলগাঁও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নজমুদ্দিন বলেন, কুশিয়ারা নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি হচ্ছে, এতে এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানিয়েছি, কোনো কাজ হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শিল বলেন, ‘নদীর ভাঙন রোধে কিছু জায়গায় আমরা জিওব্যাগ ফেলছি। নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিতে পারবে না। যারা নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়া এ বছরও এলাকায় নদীভাঙন রোধে কাজ চলছে। এরই মধ্যে আমরা একটি প্রকল্প তৈরি করে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। এটি পাস হলে ব্লক ও জিওব্যাগ ফেলে স্থায়ী একটি বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করব।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি হচ্ছে শুনেছি। আমরা দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। নদীর পাড় কাটা যাবে না। আমি তহশিলদারকে বলে দিয়েছি বিষয়টি দ্রুত দেখার জন্য।’
বক্তারা জানান, নিরাপদ অভিবাসন পথ তৈরি এবং শক্তিশালী অভিবাসন ব্যবস্থাপনা গঠনে তরুণদের অভিজ্ঞতা অপরিহার্য। বৈশ্বিক ফোরামগুলোও এখন অভিবাসন শাসনব্যবস্থায় যুব অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সারা বিশ্বে প্রায় ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন তরুণের দৃষ্টিভঙ্গি অভিবাসন নীতি ও আখ্যানকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলতে পারে।
সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া হজ চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছর হজে মদিনা দিয়ে ২০ শতাংশ বাংলাদেশি হজযাত্রী গমন এবং ৩০ শতাংশ হজযাত্রীকে ফিরতে হবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক অবজারভেটরির তথ্যমতে, রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫ এবং উৎপত্তিস্থল সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায়। পরের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল বিয়ানীবাজারের পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায়।
জান্নাতুন বলেন, ‘‘এক কাপড়ে ছিলাম সেটা পরেই আসতে হয়েছে। কোম্পানি থেকে শেষ মাসের বেতন পাব, সেটাও পাইনি। আমাদের জামা–কাপড়সহ প্রয়োজনীয় আরও কিছু জিনিসপত্র ছিল, কিন্তু কিছুই নিয়ে আসতে পারিনি।

বক্তারা জানান, নিরাপদ অভিবাসন পথ তৈরি এবং শক্তিশালী অভিবাসন ব্যবস্থাপনা গঠনে তরুণদের অভিজ্ঞতা অপরিহার্য। বৈশ্বিক ফোরামগুলোও এখন অভিবাসন শাসনব্যবস্থায় যুব অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সারা বিশ্বে প্রায় ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন তরুণের দৃষ্টিভঙ্গি অভিবাসন নীতি ও আখ্যানকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে