বিডিজেন ডেস্ক
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নিজ এলাকায় যাতায়াত সহজ করতে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তাঁর ভাষায়, এই ব্যয়বহুল প্রকল্প আসলে ব্যক্তিস্বার্থের প্রতিফলন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার এনইসি সম্মেলনকক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের ‘ডিজেএফবি টক একক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। ডিজেএফবি এই একক আলোচনার আয়োজন করে।
প্রেস সচিব শরিফুল আলম বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। তিনি নিজ এলাকাকে কেন্দ্র করেই এই প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, অথচ ওই অঞ্চলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। এমনকি ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ৭ তারকা মানের হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে, যা প্রেস সচিব ‘অপচয়’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন, এই টানেলের প্রয়োজন আরও ১০ বছর পরে বেশি হতো, যখন অঞ্চলের অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রসারিত হতো।
সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার একটি দুর্বল অর্থনীতি পেয়েছে, যা ধসে পড়ার শঙ্কায় ছিল। তবে, মাত্র ৬ মাসে অর্থনীতির যে উন্নতি হয়েছে, তা একপ্রকার ‘অলৌকিক’ ঘটনা।
তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সরকার জ্বালানি খাতকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিল, যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিপুল অর্থ লোপাট হয়েছে।সরকারের প্রকল্প পরিকল্পনার সমালোচনা করে শফিকুল আলম বলেন, যেখানে অর্থসংকট প্রকট, সেখানে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি এমন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে দিনে মাত্র একটি ট্রেন চলে। এসব প্রকল্পের খরচ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যা মূলত নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষার জন্যই করা হয়েছে।
দেশ থেকে অর্থ পাচারের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। যদি এই অর্থ দেশেই বিনিয়োগ করা হতো, তাহলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। অথচ এই অর্থ কানাডার বেগমপাড়া ও লন্ডনের বিলাসবহুল এলাকায় চলে গেছে।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে এবং জুন মাসের মধ্যে তা ৭ শতাংশে নেমে আসার আশা করা হচ্ছে। সরকারের অন্যতম জন্য স্বস্তি ফিরিয়ে আনা।
ব্যাংক খাত প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বারবার আশ্বাস দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আগের সরকার এখনো ক্ষমতায় থাকলে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখত না।
বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং প্রগতিশীল নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধে বাংলাদেশ বড় ধরনের সুবিধা লাভ করবে; কারণ, দেশটি বিশ্ববাজারে কম খরচে পণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা রাখে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নেও নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সভাপতি হামিদ-উজ-জামান। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব। উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি সাহানোয়ার সাইদ শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল সাদিক, অর্থ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক আলতাফ হোসেন এবং সদস্য জাগরণ চাকমা ও মোহাম্মদ জাকারিয়া কাঞ্চন।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নিজ এলাকায় যাতায়াত সহজ করতে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তাঁর ভাষায়, এই ব্যয়বহুল প্রকল্প আসলে ব্যক্তিস্বার্থের প্রতিফলন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার এনইসি সম্মেলনকক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের ‘ডিজেএফবি টক একক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। ডিজেএফবি এই একক আলোচনার আয়োজন করে।
প্রেস সচিব শরিফুল আলম বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। তিনি নিজ এলাকাকে কেন্দ্র করেই এই প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, অথচ ওই অঞ্চলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। এমনকি ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ৭ তারকা মানের হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে, যা প্রেস সচিব ‘অপচয়’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন, এই টানেলের প্রয়োজন আরও ১০ বছর পরে বেশি হতো, যখন অঞ্চলের অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রসারিত হতো।
সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার একটি দুর্বল অর্থনীতি পেয়েছে, যা ধসে পড়ার শঙ্কায় ছিল। তবে, মাত্র ৬ মাসে অর্থনীতির যে উন্নতি হয়েছে, তা একপ্রকার ‘অলৌকিক’ ঘটনা।
তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সরকার জ্বালানি খাতকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিল, যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিপুল অর্থ লোপাট হয়েছে।সরকারের প্রকল্প পরিকল্পনার সমালোচনা করে শফিকুল আলম বলেন, যেখানে অর্থসংকট প্রকট, সেখানে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি এমন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে দিনে মাত্র একটি ট্রেন চলে। এসব প্রকল্পের খরচ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যা মূলত নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষার জন্যই করা হয়েছে।
দেশ থেকে অর্থ পাচারের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। যদি এই অর্থ দেশেই বিনিয়োগ করা হতো, তাহলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। অথচ এই অর্থ কানাডার বেগমপাড়া ও লন্ডনের বিলাসবহুল এলাকায় চলে গেছে।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে এবং জুন মাসের মধ্যে তা ৭ শতাংশে নেমে আসার আশা করা হচ্ছে। সরকারের অন্যতম জন্য স্বস্তি ফিরিয়ে আনা।
ব্যাংক খাত প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বারবার আশ্বাস দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আগের সরকার এখনো ক্ষমতায় থাকলে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখত না।
বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং প্রগতিশীল নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধে বাংলাদেশ বড় ধরনের সুবিধা লাভ করবে; কারণ, দেশটি বিশ্ববাজারে কম খরচে পণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা রাখে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নেও নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সভাপতি হামিদ-উজ-জামান। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব। উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি সাহানোয়ার সাইদ শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল সাদিক, অর্থ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক আলতাফ হোসেন এবং সদস্য জাগরণ চাকমা ও মোহাম্মদ জাকারিয়া কাঞ্চন।
বাংলাদেশের সংস্কার ও পরিবর্তন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
ঈদ বোনাস এবং ২৫ ভাগ উৎপাদন বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় ইসমক্স সোয়েটার নামে একটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শনে কক্সবাজার পৌঁছেছেন।