বাসস
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেছেন, কমপ্লিট সেপারেশন অব জুডিশিয়ারি বলে কিছু নেই। মঙ্গলবার রাজধানীতে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারপতি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের’ দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কমিশন প্রধান। এ সময় সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হকও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন। আগামী সোমবার বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেছেন, বিচার বিভাগে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সুপারিশ করা হবে। তিনি বলেন, ‘হস্তক্ষেপমুক্ত বিচার বিভাগ চাইব। কমপ্লিট সেপারেশন অব জুডিশিয়ারি বলে কিছু নেই। মামলায় বিচার হলে রায় কার্যকর করবে কে? সরকার। দেশ চালাতে রাষ্ট্রের তিন অঙ্গকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। এ্যাবসলিউট সেপারেশন বলে কিছু নেই।’
কমিশন প্রধান বলেন, ‘বিচার বিভাগ না থাকলে দেশ চলতে পারবে না। বিচার বিভাগের কথা সবাইকে শুনতে হবে। নির্বাহী বিভাগ যাতে বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সে বিষয়ে সুপারিশ, প্রস্তাব দেওয়া হবে। রায় পছন্দ না হলে আপিলের সুযোগ আছে। রায়ে তো দুই পক্ষকে খুশি করা যাবে না।’
বিচারক নিয়োগ নিয়ে আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বিচারক নিয়োগের একটা নীতিমালা করে দেব। কেউ এসে বলবে, অমুক আমার চাচা, তাকে জজ বানাতে হবে- এটা যাতে না হয় সেজন্য নীতিমালাটা করব।’
শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেন, ‘অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার কমিশন রিপোর্ট প্রস্তুত করবে। রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার ব্যাপারে আমাদের রিজার্ভেশন রয়েছে। আমরা সুপারিশ দেব। সেটি নিয়ে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে উপদেষ্টা পরিষদ।’ তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে সরকার থেকে আমরা এখনো কোনো গাইডলাইন পাইনি। হয়তো এরই মধ্যে পেয়ে যাব।’
কমিশন প্রধান বলেন, ‘জনসাধারণের সুবিধা কীভাবে হয়, আমরা সেটি দেখব। বিচারকার্যে যেন বিলম্ব না হয় এবং বিচার প্রার্থীর খরচ যেন কম হয়, এ বিষয়টি নিশ্চিতে সুপারিশ করব। মামলা রুজু করতে এসে একজন বিচারপ্রার্থীকে বিবিধ খাতে খরচ করতে হয়। এই খরচ কমানোর বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো হলে সরকারই বাদীর খরচ চালাবে। যে মামলায় হেরে যাবে তাকেই ওই খরচের ভার বহন করতে হবে।’
কমিশন প্রধান জানান, সরকার কমিশনকে ৯০ দিনের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই সংস্কারের সুপারিশ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, দেশে বিদ্যমান মামলার জট কিভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ থাকবে। কী কারণে মামলার এ বিশাল জট তাও নিরূপণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রথম বৈঠক হয় গত ৬ অক্টোবর। এর আগে গত ৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে প্রধান করা হয়। কমিশনের সদস্যরা হলেন, হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বিচারপতি এমদাদুল হক ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং মাজদার হোসেন বনাম রাষ্ট্র মামলার বাদী মাজদার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপন) ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেছেন, কমপ্লিট সেপারেশন অব জুডিশিয়ারি বলে কিছু নেই। মঙ্গলবার রাজধানীতে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারপতি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের’ দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কমিশন প্রধান। এ সময় সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হকও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন। আগামী সোমবার বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেছেন, বিচার বিভাগে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সুপারিশ করা হবে। তিনি বলেন, ‘হস্তক্ষেপমুক্ত বিচার বিভাগ চাইব। কমপ্লিট সেপারেশন অব জুডিশিয়ারি বলে কিছু নেই। মামলায় বিচার হলে রায় কার্যকর করবে কে? সরকার। দেশ চালাতে রাষ্ট্রের তিন অঙ্গকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। এ্যাবসলিউট সেপারেশন বলে কিছু নেই।’
কমিশন প্রধান বলেন, ‘বিচার বিভাগ না থাকলে দেশ চলতে পারবে না। বিচার বিভাগের কথা সবাইকে শুনতে হবে। নির্বাহী বিভাগ যাতে বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সে বিষয়ে সুপারিশ, প্রস্তাব দেওয়া হবে। রায় পছন্দ না হলে আপিলের সুযোগ আছে। রায়ে তো দুই পক্ষকে খুশি করা যাবে না।’
বিচারক নিয়োগ নিয়ে আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বিচারক নিয়োগের একটা নীতিমালা করে দেব। কেউ এসে বলবে, অমুক আমার চাচা, তাকে জজ বানাতে হবে- এটা যাতে না হয় সেজন্য নীতিমালাটা করব।’
শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেন, ‘অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার কমিশন রিপোর্ট প্রস্তুত করবে। রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার ব্যাপারে আমাদের রিজার্ভেশন রয়েছে। আমরা সুপারিশ দেব। সেটি নিয়ে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে উপদেষ্টা পরিষদ।’ তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে সরকার থেকে আমরা এখনো কোনো গাইডলাইন পাইনি। হয়তো এরই মধ্যে পেয়ে যাব।’
কমিশন প্রধান বলেন, ‘জনসাধারণের সুবিধা কীভাবে হয়, আমরা সেটি দেখব। বিচারকার্যে যেন বিলম্ব না হয় এবং বিচার প্রার্থীর খরচ যেন কম হয়, এ বিষয়টি নিশ্চিতে সুপারিশ করব। মামলা রুজু করতে এসে একজন বিচারপ্রার্থীকে বিবিধ খাতে খরচ করতে হয়। এই খরচ কমানোর বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো হলে সরকারই বাদীর খরচ চালাবে। যে মামলায় হেরে যাবে তাকেই ওই খরচের ভার বহন করতে হবে।’
কমিশন প্রধান জানান, সরকার কমিশনকে ৯০ দিনের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই সংস্কারের সুপারিশ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, দেশে বিদ্যমান মামলার জট কিভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ থাকবে। কী কারণে মামলার এ বিশাল জট তাও নিরূপণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রথম বৈঠক হয় গত ৬ অক্টোবর। এর আগে গত ৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে প্রধান করা হয়। কমিশনের সদস্যরা হলেন, হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বিচারপতি এমদাদুল হক ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং মাজদার হোসেন বনাম রাষ্ট্র মামলার বাদী মাজদার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপন) ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
কথাসাহিত্যিক ও গবেষক সিরাজুল ইসলাম মুনির সমকালীন বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে সুপরিচিত নাম। তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির সমৃদ্ধ বহুমাত্রিকতা সৃষ্টি করেছে শক্তিশালী স্বতন্ত্র অবস্থান। সাবলীল শব্দ ব্যঞ্জনার প্রকাশে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন, দেশাত্মবোধ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন মাত্রাকে।