logo
খবর

অভিনেত্রী শাওন-ডিবি হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিডিজেন ডেস্ক
বিডিজেন ডেস্ক২৩ এপ্রিল ২০২৫
Copied!
অভিনেত্রী শাওন-ডিবি হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মেহের আফরোজ শাওন ও হারুন অর রশিদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্লাহ এ পরোয়ানা জারি করেন।

খবর আজকের পত্রিকার।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) আদালত সূত্রে জানা যায়, শাওনের সৎমা নিশি ইসলামের দায়ের করা মামলায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন—মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ও মামলার বাদী নিশি ইসলামের স্বামী মোহাম্মদ আলী, তাঁর ভাগনে মোখলেছুর রহমান মিল্টন, শাওনের বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন ও সেঁজুতি, শিঞ্জনের স্বামী সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল। পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপপরিদর্শক শাহ আলমও এই মামলার অভিযুক্ত।

গতকাল মঙ্গলবার এই মামলার ধার্য তারিখ ছিল। পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপপরিদর্শক শাহ আলম হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। অন্যরা আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

জানা যায়, গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎমা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। একই সঙ্গে উভয় পক্ষের উপস্থিতির জন্য ২২ এপ্রিল ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী একটি ম্যারেজ মিডিয়ায় ‘পাত্রী চাই’ বিজ্ঞাপন দেন। সে বিজ্ঞাপন থেকে নিশির সঙ্গে পরিচয় হয় ও ২১ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয়।

এ ঘটনা জানার পর বাদীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান শাওন। ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাদী নিশি ইসলামের বাড়িতে এসে শাওন ও তাঁর ভাইবোন ও অন্যরা বিয়ের ঘটনা গোপন রাখতে বলেন এবং কাউকে কিছু না জানিয়ে তালাক দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। বাদী তা করায় একই বছরের ৪ মার্চ তাঁকে কৌশলে গুলশানের বাড়িতে খবর দিয়ে নিয়ে যান তাঁর স্বামী। সেখানে গেলে শাওন ও অন্য অভিযুক্তরা তালাকনামায় সই করতে চাপ সৃষ্টি করেন। বাদী রাজি না হওয়ায় শাওন ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে বাদীর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। নাকে–মুখেও প্রচণ্ড আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলেন। বাদী মামলায় অভিযোগ করেন, খুনের উদ্দেশ্যে তাঁকে এই আঘাতগুলো করা হয়।

বাদী মামলার আরজিতে আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে বাদীকে খবর দিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে তালাকনামায় সই করতে চাপ সৃষ্টি করা হয়। রাজি না হলে তাঁকে পুলিশের কর্মকর্তারা মারধর করেন। আবার মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে তাঁকে কারাগারের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়। ৬ মাস তাঁকে জেল খাটতে হয়েছিল।

সূত্র: আজকের পত্রিকা

আরও পড়ুন

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে ইসির সঙ্গে জামায়াতের প্রতিনিধিদলের আলোচনা

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে ইসির সঙ্গে জামায়াতের প্রতিনিধিদলের আলোচনা

‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’

১৫ ঘণ্টা আগে

মানবপাচারের মামলায় প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত বানিয়ে আদালতে পুলিশের চার্জশিট

মানবপাচারের মামলায় প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত বানিয়ে আদালতে পুলিশের চার্জশিট

মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

২ দিন আগে

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৩০৯ বাংলাদেশি

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৩০৯ বাংলাদেশি

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত  ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

৩ দিন আগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমিরাতে আটক অবশিষ্ট বন্দীর মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমিরাতে আটক অবশিষ্ট বন্দীর মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ

২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

৫ দিন আগে