বিডিজেন ডেস্ক
কে হচ্ছেন বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার কান্ডারি? কত সদস্যের কমিটি হবে? আহ্বায়ক কমিটি হলে, কে হবেন আহ্বায়ক? কে হবেন যুগ্ম আহ্বায়ক কিংবা সদস্যসচিব? নাকি আহ্বায়ক ছাড়া বাকিরা সদস্য হবেন? এমন নানা প্রশ্ন নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনায় সরব বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নোয়াখালী জেলা শাখার নেতা-কর্মীরা। সম্ভাব্য আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব পদে আলোচনায় ভাসছে অনেকের নাম। গত দুই দিন থেকে কর্মী কিংবা অনুসারীদের কেউ কেউ আবার দলীয় প্যাডে নিজের পছন্দের নেতার নামসহ তালিকা দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
খবর প্রথম আলোর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৭ সালের মে মাসে। তখন দলের সভাপতির দায়িত্ব পান এ জেড এম গোলাম হায়দার। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় আইনজীবী আবদুর রহমানকে। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গঠনের দুই বছরের মাথায়। এরপর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর। আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে কমিটি পুনর্গঠন নিয়েও তেমন আলোচনা ছিল না। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা। দলের দায়িত্ব পেতে আগ্রহী জ্যেষ্ঠ নেতারাও কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা কাছের লোকজনের মাধ্যমেও দলে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, নেতৃত্বে আসার চেষ্টায় জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী নেতারা যখন সক্রিয় হয়ে ওঠেন, তখন স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণও লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, যাদের বাড়ি নোয়াখালীতে, তারা চান তাদের পছন্দের ব্যক্তিরা জেলায় দলের দায়িত্বে আসেন। এ নিয়ে কোনো কোনো কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্কেও শীতলতা লক্ষ করা যাচ্ছে, যা সামগ্রিকভাবে দলের জন্য সুখকর নয় বলে মন্তব্য ওই নেতাদের।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় উপজেলা পর্যায়ের অন্তত পাঁচজন নেতার সঙ্গে। তারা বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও সেটিকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবেগের কিংবা কারও পছন্দের ব্যক্তিকে দলের দায়িত্ব না দিয়ে সামগ্রিকভাবে ত্যাগী ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ ব্যক্তিকে দলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত হবে। তা না হলে তার প্রভাব পড়বে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটি গঠনে। তাই তারা চান দায়িত্বশীল নেতাদের যাতে আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়।
জেলায় বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নিয়ে যাঁদের নাম বেশি আলোচনায় রয়েছে, তাঁরা হলেন বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আবদুর রহমান, সুবর্ণচর উপজেলা শাখার বর্তমান সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ বি এম জাকারিয়া, বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র হারুনুর রশিদ ও বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার সদস্য মাহবুব আলমগীর। আলোচনায় আছে বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার বর্তমান সভাপতি এ জেড এম গোলাম হায়দার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম কিরণের নামও।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার সহদপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, জেলা বিএনপির একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে শিগগির। ওই কমিটির নেতৃত্বে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ওমর ফারুক বলেন, ‘দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব কমিটির নাম প্রচার করা হচ্ছে, এর সবই ভিত্তিহীন। এক শ্রেণির কর্মী তাদের পছন্দের নেতাকে খুশি করতে এসব প্রচার করছেন। আবার কোনো কোনো নেতাও কর্মীদের দিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করাচ্ছেন।’
বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার নতুন কমিটি নিয়ে ছড়িয়ে পড়া নানা আলোচনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান ওরফে শামীম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলো ভিত্তিহীন।
সূত্র: প্রথম আলো
কে হচ্ছেন বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার কান্ডারি? কত সদস্যের কমিটি হবে? আহ্বায়ক কমিটি হলে, কে হবেন আহ্বায়ক? কে হবেন যুগ্ম আহ্বায়ক কিংবা সদস্যসচিব? নাকি আহ্বায়ক ছাড়া বাকিরা সদস্য হবেন? এমন নানা প্রশ্ন নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনায় সরব বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নোয়াখালী জেলা শাখার নেতা-কর্মীরা। সম্ভাব্য আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব পদে আলোচনায় ভাসছে অনেকের নাম। গত দুই দিন থেকে কর্মী কিংবা অনুসারীদের কেউ কেউ আবার দলীয় প্যাডে নিজের পছন্দের নেতার নামসহ তালিকা দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
খবর প্রথম আলোর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৭ সালের মে মাসে। তখন দলের সভাপতির দায়িত্ব পান এ জেড এম গোলাম হায়দার। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় আইনজীবী আবদুর রহমানকে। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গঠনের দুই বছরের মাথায়। এরপর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর। আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে কমিটি পুনর্গঠন নিয়েও তেমন আলোচনা ছিল না। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা। দলের দায়িত্ব পেতে আগ্রহী জ্যেষ্ঠ নেতারাও কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা কাছের লোকজনের মাধ্যমেও দলে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, নেতৃত্বে আসার চেষ্টায় জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী নেতারা যখন সক্রিয় হয়ে ওঠেন, তখন স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণও লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, যাদের বাড়ি নোয়াখালীতে, তারা চান তাদের পছন্দের ব্যক্তিরা জেলায় দলের দায়িত্বে আসেন। এ নিয়ে কোনো কোনো কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্কেও শীতলতা লক্ষ করা যাচ্ছে, যা সামগ্রিকভাবে দলের জন্য সুখকর নয় বলে মন্তব্য ওই নেতাদের।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় উপজেলা পর্যায়ের অন্তত পাঁচজন নেতার সঙ্গে। তারা বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও সেটিকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবেগের কিংবা কারও পছন্দের ব্যক্তিকে দলের দায়িত্ব না দিয়ে সামগ্রিকভাবে ত্যাগী ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ ব্যক্তিকে দলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত হবে। তা না হলে তার প্রভাব পড়বে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটি গঠনে। তাই তারা চান দায়িত্বশীল নেতাদের যাতে আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়।
জেলায় বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নিয়ে যাঁদের নাম বেশি আলোচনায় রয়েছে, তাঁরা হলেন বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আবদুর রহমান, সুবর্ণচর উপজেলা শাখার বর্তমান সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ বি এম জাকারিয়া, বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র হারুনুর রশিদ ও বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার সদস্য মাহবুব আলমগীর। আলোচনায় আছে বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার বর্তমান সভাপতি এ জেড এম গোলাম হায়দার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম কিরণের নামও।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার সহদপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, জেলা বিএনপির একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে শিগগির। ওই কমিটির নেতৃত্বে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ওমর ফারুক বলেন, ‘দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব কমিটির নাম প্রচার করা হচ্ছে, এর সবই ভিত্তিহীন। এক শ্রেণির কর্মী তাদের পছন্দের নেতাকে খুশি করতে এসব প্রচার করছেন। আবার কোনো কোনো নেতাও কর্মীদের দিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করাচ্ছেন।’
বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার নতুন কমিটি নিয়ে ছড়িয়ে পড়া নানা আলোচনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান ওরফে শামীম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নোয়াখালী জেলা শাখার একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলো ভিত্তিহীন।
সূত্র: প্রথম আলো
জুলাই–আগস্ট আনদোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও ২ মাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদনের সময় নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সৌদি আরবের রিয়াদে ভবন থেকে পড়ে নজরুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রিয়াদের হারায় স্থানীয় সময় ভোর রাত ৪টায় কাজ করতে গিয়ে ভবন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম নগরীতে চলন্ত অটোরিকশায় পেট্রল বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারী যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার (২০ এপ্রিল) ভোরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো চামড়ার গুদামসংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
সৌদি আরবের ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য দেশটির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল আজ রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে ঢাকায় আসছে। ঢাকার সৌদি আরব দূতাবাস বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এক কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।