বিডিজেন ডেস্ক
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হয়, সেজন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গণতন্ত্রের যেন উত্তরণ না ঘটে সেজন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত জুলাই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণে স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এরা ফাঁদ পাতছে যেন আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি, প্রতিবাদ করি, কনফ্রন্টেশন করি। এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছে যেন গণতন্ত্রের উত্তরণ ব্যাহত হয়। এটাতে আমরা পা দেব না। আমরা অত্যন্ত ধৈর্য, সহনশীলতা ও শান্তির সঙ্গে আমরা আমাদের নেতার যে নির্দেশিত পথ, আমাদের নেত্রীর নির্দেশিত পথ—সেই পথ ধরে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাব।’
‘বাংলাদেশের মানুষ লড়াই করে বেঁচে থাকে। এখন যারা জুলাইয়ের কৃতিত্ব নিয়ে কথা বলছেন, এককভাবে দাবি করছেন, আসলে এই আন্দোলনের কৃতিত্ব জনগণের। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আজকে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যেন বিফলে না যায়। সুযোগ সৃষ্টি হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে’, তিনি যোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে বিএনপির মতো এত ত্যাগ কেউ স্বীকার করেছে কি না তা জানা নেই। ২০ হাজার নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এত কিছুর পরও বিএনপি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। একবারের জন্যও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই থামায়নি।’
গণতন্ত্রের যেন উত্তরণ না ঘটে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু হয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপি নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তারেক রহমানের ভয়ে তারা এসব করছে। সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি। ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। মূলত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের যেন না হয়, সেই জন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’ তবে ঘোষিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘আমরা সংগ্রামের পর একটি নির্বাচন চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা নাকি নির্বাচন চাইতে পারব না। ভোট চাইলে নাকি আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই। বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে চাইতো, তাহলে ফখরুদ্দিনের ওই আলু খাওয়া সেনাপতি বেগম খালেদা জিয়ার কাছে লোক পাঠিয়েছিলেন; লোক পাঠিয়ে বলেছিলেন আপনাকে ক্ষমতায় বসাব। শুধু আমাদের সব কিছু মাফ করে দেবেন। বিনিময়ে আমরা আপনার দুই সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় আপনার কাছে ফিরিয়ে দেব। আপনি শুধু ‘হ্যাঁ’ বলেন। বেগম খালেদা জিয়া কি সেদিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না?’
সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব হাবীব উন নবী সোহেল, তারেক রহমানের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হয়, সেজন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গণতন্ত্রের যেন উত্তরণ না ঘটে সেজন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত জুলাই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণে স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এরা ফাঁদ পাতছে যেন আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি, প্রতিবাদ করি, কনফ্রন্টেশন করি। এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছে যেন গণতন্ত্রের উত্তরণ ব্যাহত হয়। এটাতে আমরা পা দেব না। আমরা অত্যন্ত ধৈর্য, সহনশীলতা ও শান্তির সঙ্গে আমরা আমাদের নেতার যে নির্দেশিত পথ, আমাদের নেত্রীর নির্দেশিত পথ—সেই পথ ধরে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাব।’
‘বাংলাদেশের মানুষ লড়াই করে বেঁচে থাকে। এখন যারা জুলাইয়ের কৃতিত্ব নিয়ে কথা বলছেন, এককভাবে দাবি করছেন, আসলে এই আন্দোলনের কৃতিত্ব জনগণের। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আজকে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যেন বিফলে না যায়। সুযোগ সৃষ্টি হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে’, তিনি যোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে বিএনপির মতো এত ত্যাগ কেউ স্বীকার করেছে কি না তা জানা নেই। ২০ হাজার নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এত কিছুর পরও বিএনপি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। একবারের জন্যও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই থামায়নি।’
গণতন্ত্রের যেন উত্তরণ না ঘটে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু হয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপি নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তারেক রহমানের ভয়ে তারা এসব করছে। সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি। ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। মূলত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের যেন না হয়, সেই জন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’ তবে ঘোষিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘আমরা সংগ্রামের পর একটি নির্বাচন চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা নাকি নির্বাচন চাইতে পারব না। ভোট চাইলে নাকি আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই। বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে চাইতো, তাহলে ফখরুদ্দিনের ওই আলু খাওয়া সেনাপতি বেগম খালেদা জিয়ার কাছে লোক পাঠিয়েছিলেন; লোক পাঠিয়ে বলেছিলেন আপনাকে ক্ষমতায় বসাব। শুধু আমাদের সব কিছু মাফ করে দেবেন। বিনিময়ে আমরা আপনার দুই সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় আপনার কাছে ফিরিয়ে দেব। আপনি শুধু ‘হ্যাঁ’ বলেন। বেগম খালেদা জিয়া কি সেদিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না?’
সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব হাবীব উন নবী সোহেল, তারেক রহমানের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।