প্রতিবেদক, বিডিজেন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টা থেকে এ গণজমায়েত শুরু হবে।
শুক্রবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে শাহবাগে সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'আজকে আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি ২৫ ঘণ্টা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টা থেকে আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমরা জানি না এই কর্মসূচির শেষ কোথায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।'
তিনি বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে ৩ দফা দাবি দিয়েছি। ৩ দফার মধ্যে প্রথম দফা হচ্ছে—আওয়ামী লীগের যত সহযোগী সংগঠন রয়েছে, সব সংগঠনসহ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের দ্বিতীয় দফা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে এবং তৃতীয় দাবি জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। এই তিন দফা দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই মাঠ ছাড়ব না।’
হাসনাত বলেন, 'এই ৩ দফা দাবিতে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আগামীকাল (শনিবার) বিকেল ৩টার দিকে শাহবাগে গণজামায়েত ঘোষণা করা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'সারা ঢাকা থেকে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তি, যারা হয়েছেন আওয়ামী নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার, যারা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, শাপলা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, মোদিবিরোধী আন্দোলনে যারা হামলার শিকার হয়েছেন, সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই শাহবাগে আমাদের গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। তার সঙ্গে সারা বাংলাদেশে আমাদের প্রত্যেকটা জুলাই পয়েন্টে; যে পয়েন্টে আন্দোলন হয়েছে, ঠিক সেসব পয়েন্টে আমরা গণজমায়েত ঘোষণা করছি।’
হাসনাত বলেন, 'এই লড়াই বাংলাদেশপন্থী এবং ফ্যাসিবাদপন্থীদের লড়াই। যারা দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে বর্গা দিয়ে আমাদেরকে শাসন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। যে সিদ্ধান্ত জনগণ ৫ আগস্ট নিয়েছে, সেই সিদ্ধান্তের আইনগত ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করার লড়াই। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই শাহবাগ ছাড়ব না।'
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, 'আমরা আর কোনো গড়িমসি সহ্য করতে চাই না। অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। দিনের পর দিন যদি আমাদেরকে শাহবাগে থাকতে হয়, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় আমাদের ভাইরা তৈরি আছে, ঢাকায় আমাদের ভাইরা তৈরি আছে, দিনের পর দিন আমাদের থাকা লাগতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাব না।'
আরও পড়ুন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টা থেকে এ গণজমায়েত শুরু হবে।
শুক্রবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে শাহবাগে সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'আজকে আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি ২৫ ঘণ্টা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টা থেকে আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমরা জানি না এই কর্মসূচির শেষ কোথায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।'
তিনি বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে ৩ দফা দাবি দিয়েছি। ৩ দফার মধ্যে প্রথম দফা হচ্ছে—আওয়ামী লীগের যত সহযোগী সংগঠন রয়েছে, সব সংগঠনসহ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের দ্বিতীয় দফা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে এবং তৃতীয় দাবি জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। এই তিন দফা দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই মাঠ ছাড়ব না।’
হাসনাত বলেন, 'এই ৩ দফা দাবিতে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আগামীকাল (শনিবার) বিকেল ৩টার দিকে শাহবাগে গণজামায়েত ঘোষণা করা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'সারা ঢাকা থেকে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তি, যারা হয়েছেন আওয়ামী নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার, যারা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, শাপলা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, মোদিবিরোধী আন্দোলনে যারা হামলার শিকার হয়েছেন, সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই শাহবাগে আমাদের গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। তার সঙ্গে সারা বাংলাদেশে আমাদের প্রত্যেকটা জুলাই পয়েন্টে; যে পয়েন্টে আন্দোলন হয়েছে, ঠিক সেসব পয়েন্টে আমরা গণজমায়েত ঘোষণা করছি।’
হাসনাত বলেন, 'এই লড়াই বাংলাদেশপন্থী এবং ফ্যাসিবাদপন্থীদের লড়াই। যারা দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে বর্গা দিয়ে আমাদেরকে শাসন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। যে সিদ্ধান্ত জনগণ ৫ আগস্ট নিয়েছে, সেই সিদ্ধান্তের আইনগত ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করার লড়াই। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই শাহবাগ ছাড়ব না।'
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, 'আমরা আর কোনো গড়িমসি সহ্য করতে চাই না। অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। দিনের পর দিন যদি আমাদেরকে শাহবাগে থাকতে হয়, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় আমাদের ভাইরা তৈরি আছে, ঢাকায় আমাদের ভাইরা তৈরি আছে, দিনের পর দিন আমাদের থাকা লাগতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাব না।'
আরও পড়ুন
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।