বিডিজেন ডেস্ক
ওমান থেকে ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় ফেরত আসা এক প্রবাসী হঠাৎ নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে তার মরদেহ মিললেও হত্যাকারীর পরিচয় নিশ্চিতে ৮ বছর সময় নেয় পুলিশ।
খবর দ্য ডেইলি স্টারের।
সম্প্রতি এই খুনের ঘটনায় নিহত নাজিম উদ্দিনের স্ত্রীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে সোমবার (৫ মে) আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন স্ত্রী নাছিমা আক্তার।
মঙ্গলবার (৬ মে) সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সূত্র ও নাছিমার জবানবন্দি অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুনে ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে কাউকে কিছু না জানিয়েই দেশে ফেরত আসেন নাজিম। ছেলের নিখোঁজের খবর না জানানো ও অন্য কারণে স্ত্রীর সঙ্গে কলহ বাঁধে নাজিমের। একদিন দুই মেয়ে স্কুলে থাকা অবস্থায় এই দম্পতির ঝগড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক নাছির উদ্দিন রাসেল জানান, সেদিন দুপুর ১২টার দিকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে থাপ্পড় মারেন নাজিম। ক্ষিপ্ত হয়ে নাছিমা তাকে ধাক্কা দিলে দরজার চৌকাঠের সঙ্গে থাকা লোহায় লেগে মাথায় আঘাত পান নাজিম। ব্যাপক রক্তপাতের পর ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
'স্বামী মারা গেছেন বুঝতে পেরে তার লাশ টেনে মুরগির খাবার রাখার ঘরের এক কোণে কম্বল ও তোষক দিয়ে মুড়িয়ে রাখেন নাছিমা। এরপর ঘরের ফ্লোরে থাকা রক্ত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করেন। মেয়েরা আসার আগেই স্বামীর পাসপোর্ট ও অন্য দলিল পুড়িয়ে ফেলেন। মেয়েরা বাসায় এসে বাবার কথা জিগ্যেস করলে নাছিমা জানান, তাদের বাবা আবার বিদেশ চলে গেছে,' বলেন সিআইডি কর্মকর্তা নাছির।
তিনি আরও জানান, সুগন্ধি ব্যবহার করে স্বামীর মরদেহ প্রায় ৭ দিন মুরগির খাবার রাখার ঘরে অন্য মালামালের সঙ্গে লুকিয়ে রাখেন নাছিমা। পরে দেবর জসিম উদ্দিনের সহায়তায় বস্তায় ভরে লাশটি পুকুরে ফেলেন তিনি।
এর কিছুদন পর ১৮ জুলাই রাউজান থানাধীন দক্ষিণ সত্ত্বা ফজল করিম মেম্বারের পুকুরের উত্তর পশ্চিম কোণায় একটি পানিপূর্ণ গর্তে বস্তার ভেতরে পচা-গলা অবস্থায় একটি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পরদিন রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। একই সময় নাজিম উদ্দিনের ভাই তার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
লাশ উদ্ধার ও নিখোঁজ ডায়রি, দুটি প্রায় একই সময়ে হওয়ায় হতাহতের পরিচয় শনাক্তের জন্য নাজিম উদ্দিনের ভাই জসিম, স্ত্রী নাছিমা ও মেয়ে ইসরাত জাহানের ডিএনএ নমুনা নেয় সিআইডি।
প্রায় তিন বছর পর ২০২০ সালে ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে পায় পুলিশ। জানতে পারে, অজ্ঞাতনামা লাশটি নাজিমের।
তখন নাছিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বামীর ব্যাপারে একেক সময় একেক উত্তর দেন বলে জানান নাছির। এক পর্যায়ে তিনি দাবি করেন, তার স্বামী বিদেশে ফেরত গেছেন।
কিন্তু পুলিশ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে জুনে নাজিম দেশে আসলেও তার ফেরত যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই।
ঘটনার ৮ বছর পর, সম্প্রতি নাছিমার স্বীকারোক্তি আদায় করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
চট্টগ্রাম সিআইডির পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা বলেন, '৮ বছরের তদন্ত শেষে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে একের পর নাটক সাজিয়েছিলেন তার স্ত্রী। কিন্তু ডিএনএ টেস্ট ও পুলিশের তদন্তে শেষে ক্লুলেস এই হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।'
এই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে নাজিমের ভাই জসিম উদ্দিন ও আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার
ওমান থেকে ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় ফেরত আসা এক প্রবাসী হঠাৎ নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে তার মরদেহ মিললেও হত্যাকারীর পরিচয় নিশ্চিতে ৮ বছর সময় নেয় পুলিশ।
খবর দ্য ডেইলি স্টারের।
সম্প্রতি এই খুনের ঘটনায় নিহত নাজিম উদ্দিনের স্ত্রীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে সোমবার (৫ মে) আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন স্ত্রী নাছিমা আক্তার।
মঙ্গলবার (৬ মে) সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সূত্র ও নাছিমার জবানবন্দি অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুনে ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে কাউকে কিছু না জানিয়েই দেশে ফেরত আসেন নাজিম। ছেলের নিখোঁজের খবর না জানানো ও অন্য কারণে স্ত্রীর সঙ্গে কলহ বাঁধে নাজিমের। একদিন দুই মেয়ে স্কুলে থাকা অবস্থায় এই দম্পতির ঝগড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক নাছির উদ্দিন রাসেল জানান, সেদিন দুপুর ১২টার দিকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে থাপ্পড় মারেন নাজিম। ক্ষিপ্ত হয়ে নাছিমা তাকে ধাক্কা দিলে দরজার চৌকাঠের সঙ্গে থাকা লোহায় লেগে মাথায় আঘাত পান নাজিম। ব্যাপক রক্তপাতের পর ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
'স্বামী মারা গেছেন বুঝতে পেরে তার লাশ টেনে মুরগির খাবার রাখার ঘরের এক কোণে কম্বল ও তোষক দিয়ে মুড়িয়ে রাখেন নাছিমা। এরপর ঘরের ফ্লোরে থাকা রক্ত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করেন। মেয়েরা আসার আগেই স্বামীর পাসপোর্ট ও অন্য দলিল পুড়িয়ে ফেলেন। মেয়েরা বাসায় এসে বাবার কথা জিগ্যেস করলে নাছিমা জানান, তাদের বাবা আবার বিদেশ চলে গেছে,' বলেন সিআইডি কর্মকর্তা নাছির।
তিনি আরও জানান, সুগন্ধি ব্যবহার করে স্বামীর মরদেহ প্রায় ৭ দিন মুরগির খাবার রাখার ঘরে অন্য মালামালের সঙ্গে লুকিয়ে রাখেন নাছিমা। পরে দেবর জসিম উদ্দিনের সহায়তায় বস্তায় ভরে লাশটি পুকুরে ফেলেন তিনি।
এর কিছুদন পর ১৮ জুলাই রাউজান থানাধীন দক্ষিণ সত্ত্বা ফজল করিম মেম্বারের পুকুরের উত্তর পশ্চিম কোণায় একটি পানিপূর্ণ গর্তে বস্তার ভেতরে পচা-গলা অবস্থায় একটি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পরদিন রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। একই সময় নাজিম উদ্দিনের ভাই তার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
লাশ উদ্ধার ও নিখোঁজ ডায়রি, দুটি প্রায় একই সময়ে হওয়ায় হতাহতের পরিচয় শনাক্তের জন্য নাজিম উদ্দিনের ভাই জসিম, স্ত্রী নাছিমা ও মেয়ে ইসরাত জাহানের ডিএনএ নমুনা নেয় সিআইডি।
প্রায় তিন বছর পর ২০২০ সালে ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে পায় পুলিশ। জানতে পারে, অজ্ঞাতনামা লাশটি নাজিমের।
তখন নাছিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বামীর ব্যাপারে একেক সময় একেক উত্তর দেন বলে জানান নাছির। এক পর্যায়ে তিনি দাবি করেন, তার স্বামী বিদেশে ফেরত গেছেন।
কিন্তু পুলিশ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে জুনে নাজিম দেশে আসলেও তার ফেরত যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই।
ঘটনার ৮ বছর পর, সম্প্রতি নাছিমার স্বীকারোক্তি আদায় করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
চট্টগ্রাম সিআইডির পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা বলেন, '৮ বছরের তদন্ত শেষে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে একের পর নাটক সাজিয়েছিলেন তার স্ত্রী। কিন্তু ডিএনএ টেস্ট ও পুলিশের তদন্তে শেষে ক্লুলেস এই হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।'
এই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে নাজিমের ভাই জসিম উদ্দিন ও আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার
এ মুহূর্তে পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ২ ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় বিসিবি।
জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন। পেয়ে গেছেন কানাডা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্র। কাল জার্সিতে খেলার ব্যাপারে ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির ছাড়পত্রও পেয়ে গেছেন শমিত সোম। তিনি এখন থেকে বাংলাদেশের।
২০২৫ সালটি হয়তো বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে। গত বছর, এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেছে দেশটি। ছাত্র-জনতা এক স্বৈরশাসককে হটিয়ে দেয়, আর পুরো দেশ পড়ে যায় বিশৃঙ্খলার মুখোমুখি। এরপর, যখন নতুন সরকার অর্থনীতি সামাল দিতে ব্যস্ত, তখনই আসে আরেক দুঃসংবাদ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতদের গুলিতে রবিউল ইসলাম রণি নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিতে নিহত হন তিনি।