বিডিজেন ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যেই কোথাও কোনো ঘাপলা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
‘সংস্কারে ৪ বছর সময় লাগবে’ বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিএনপিকে ‘ভাবিয়ে’ তুলছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কেন তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) এত লম্বা সময়ের কথা বলছেন। (সংস্কার) এটা তো এত লম্বা সময়ের কথা নয়। মনে হচ্ছে, সরকারের মধ্যে কোথাও কোনো জায়গায় ঘাপলা আছে। সরকারের মধ্যে কোথাও কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে কি না, এটা এখন আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।’
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত চব্বিশের গণআন্দোলনে পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতা ও দুস্থদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা সবাই, বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক দল যে সরকারকে সমর্থন করেছে, সেই সরকার দেশ চালাচ্ছে। ঠিক আছে, আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে এগোতে হবে। কিন্তু গতকাল আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে যে কথাটি বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা, এইখানে কিন্তু একটা বড় ধরনের প্রশ্ন আমার মনের মধ্যে কাজ করছে। ৪ বছর লাগবে সংস্কার করতে!’
কেন? এ প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, ‘সংস্কার তো যুগে যুগে...বিপ্লব–আন্দোলনের নেতৃত্ব তো দিয়েছে রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলই তো তৈরি করেছে সংবিধান, সংসদ। এটা তো আমরা ইউরোপের ইতিহাসে দেখছি...ঠিক আছে, এখানকার সুশীল সমাজ বা অন্তর্বর্তী সরকার তারা একটা পরামর্শ দিতে পারে সংস্কারের। কিন্তু এই সংস্কার বাস্তবায়ন করতে ৪ বছর লাগবে!’
রিজভী বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের লড়াই। বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই। যে বাচ্চাদের আজ ২০-২২ বছর বয়স তারা ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোট দেওয়া জানে না। তারা আর কত সময় অপেক্ষা করবে?
‘অন্তর্বর্তী সরকার হবে গণতন্ত্রের মডেল। তারা সেটি না করে এই যে প্রলম্বিত করা, আমার মনে হয় কোথাও যেন একটা জটিলতা হচ্ছে। গণতন্ত্রচর্চা এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে।...গতকালের এই কথা (প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য) আমাদের সত্যিকার অর্থে ভাবিয়ে তুলছে। এর উদ্দেশ্যটা কী, সেটা মানুষ জানতে চাইবে,’ রিজভী যোগ করেন।
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির নেতা মীর হেলাল ও আশরাফউদ্দিন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পঙ্গুত্ববরণকারী ১০ জনকে আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে হুইলচেয়ার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যেই কোথাও কোনো ঘাপলা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
‘সংস্কারে ৪ বছর সময় লাগবে’ বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিএনপিকে ‘ভাবিয়ে’ তুলছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কেন তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) এত লম্বা সময়ের কথা বলছেন। (সংস্কার) এটা তো এত লম্বা সময়ের কথা নয়। মনে হচ্ছে, সরকারের মধ্যে কোথাও কোনো জায়গায় ঘাপলা আছে। সরকারের মধ্যে কোথাও কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে কি না, এটা এখন আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।’
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত চব্বিশের গণআন্দোলনে পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতা ও দুস্থদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা সবাই, বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক দল যে সরকারকে সমর্থন করেছে, সেই সরকার দেশ চালাচ্ছে। ঠিক আছে, আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে এগোতে হবে। কিন্তু গতকাল আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে যে কথাটি বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা, এইখানে কিন্তু একটা বড় ধরনের প্রশ্ন আমার মনের মধ্যে কাজ করছে। ৪ বছর লাগবে সংস্কার করতে!’
কেন? এ প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, ‘সংস্কার তো যুগে যুগে...বিপ্লব–আন্দোলনের নেতৃত্ব তো দিয়েছে রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলই তো তৈরি করেছে সংবিধান, সংসদ। এটা তো আমরা ইউরোপের ইতিহাসে দেখছি...ঠিক আছে, এখানকার সুশীল সমাজ বা অন্তর্বর্তী সরকার তারা একটা পরামর্শ দিতে পারে সংস্কারের। কিন্তু এই সংস্কার বাস্তবায়ন করতে ৪ বছর লাগবে!’
রিজভী বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের লড়াই। বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই। যে বাচ্চাদের আজ ২০-২২ বছর বয়স তারা ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোট দেওয়া জানে না। তারা আর কত সময় অপেক্ষা করবে?
‘অন্তর্বর্তী সরকার হবে গণতন্ত্রের মডেল। তারা সেটি না করে এই যে প্রলম্বিত করা, আমার মনে হয় কোথাও যেন একটা জটিলতা হচ্ছে। গণতন্ত্রচর্চা এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে।...গতকালের এই কথা (প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য) আমাদের সত্যিকার অর্থে ভাবিয়ে তুলছে। এর উদ্দেশ্যটা কী, সেটা মানুষ জানতে চাইবে,’ রিজভী যোগ করেন।
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির নেতা মীর হেলাল ও আশরাফউদ্দিন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পঙ্গুত্ববরণকারী ১০ জনকে আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে হুইলচেয়ার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
জুলাই সনদ একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। এই রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল কখনোই সংবিধানের ওপরে প্রাধান্য পেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় আপত্তির একটি জায়গা।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষ হবে বর্তমান আসনভিত্তিক। আর উচ্চকক্ষ হবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর)। সংবিধান সংস্কার কমিশনও একই রকম প্রস্তাব করেছে।
গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে গণমাধ্যমকে সতর্ক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা জানিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।