বিডিজেন ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ রোববার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ওই সভায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলি ছোড়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যে সময় যে পরিস্থিতি, ওই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গত বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। সংঘর্ষের পর ওই জেলায় কারফিউ জারি করে সরকার। এখন কারফিউ প্রত্যাহার করে ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে। সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে। অন্যায় করলে সে গ্রেপ্তার হবে। আমি একটি কথাই বলেছি, কোনো অবস্থায় যেন দুষ্কৃতকারী ছাড় না পায়। আর যে অপরাধ করেনি, সে যেন ধরা না পড়ে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি তো আমি অস্বীকার করছি না। এটা তো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে তো অনেক কিছু অনেক সময়...আগে যখন আমরাও (রাজনীতি) করেছি, তখন ইউনিভার্সিটিতে তো কত ধরনের ঘটনা হয়েছে। ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটি হচ্ছে আমাদের কথা, আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কি না।’
গোপালগঞ্জে মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি জানিয়ে একজন সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ মামলা করবে কি করবে না, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বলবে। গোপালগঞ্জে গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না। যারা অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
গোপালগঞ্জের ঘটনায় ৯ শিশুকেও আটকে রাখা হয়েছে বলে তথ্য দেন একজন সাংবাদিক। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ রকম কোনো খবর আমার কাছে নেই।’ এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানতে চান—কোন গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন হয়েছে। তখন তাঁকে জানানো হয় দৈনিক সমকাল এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের আজকের হরতাল নিয়ে এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তরফ থেকে একটি হরতাল ডাকা হয়েছে, হরতাল হয়েছে কি না সেটা বলেন। দুটি গাড়ি (পোড়ানো) হয়েছে সত্যি কথা। নাশকতাটা হয়েছে। অন্য হরতাল কল (আহ্বান) করার সময় এই নাশকতাটা আরও বেশি হয়েছে। তার থেকে আমরা (নাশকতার পরিমাণ) অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি কি না, সেটি আপনারা দেখবেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগামী ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেই প্রস্তুতি, আরও তো অনেক সময় রয়ে গেছে। আমাদের প্রস্তুতি রয়ে গেছে, আমাদের ট্রেনিং হচ্ছে, আমরা ট্রেনিং করিয়ে দিচ্ছি। আমরা তো প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছি। আল্লায় দিলে (নির্বাচন) করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে আমরা শুনলাম, তারা কীভাবে কাজ করছেন, আগে কী পরিস্থিতি ছিল, এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে। তারা ফিডব্যাক দিয়েছেন, তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তারা বললেন যে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি হয়নি, সেটি আপনারা বলতে পারবেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ রোববার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ওই সভায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলি ছোড়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যে সময় যে পরিস্থিতি, ওই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গত বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। সংঘর্ষের পর ওই জেলায় কারফিউ জারি করে সরকার। এখন কারফিউ প্রত্যাহার করে ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে। সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে। অন্যায় করলে সে গ্রেপ্তার হবে। আমি একটি কথাই বলেছি, কোনো অবস্থায় যেন দুষ্কৃতকারী ছাড় না পায়। আর যে অপরাধ করেনি, সে যেন ধরা না পড়ে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি তো আমি অস্বীকার করছি না। এটা তো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে তো অনেক কিছু অনেক সময়...আগে যখন আমরাও (রাজনীতি) করেছি, তখন ইউনিভার্সিটিতে তো কত ধরনের ঘটনা হয়েছে। ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটি হচ্ছে আমাদের কথা, আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কি না।’
গোপালগঞ্জে মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি জানিয়ে একজন সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ মামলা করবে কি করবে না, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বলবে। গোপালগঞ্জে গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না। যারা অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
গোপালগঞ্জের ঘটনায় ৯ শিশুকেও আটকে রাখা হয়েছে বলে তথ্য দেন একজন সাংবাদিক। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ রকম কোনো খবর আমার কাছে নেই।’ এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানতে চান—কোন গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন হয়েছে। তখন তাঁকে জানানো হয় দৈনিক সমকাল এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের আজকের হরতাল নিয়ে এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তরফ থেকে একটি হরতাল ডাকা হয়েছে, হরতাল হয়েছে কি না সেটা বলেন। দুটি গাড়ি (পোড়ানো) হয়েছে সত্যি কথা। নাশকতাটা হয়েছে। অন্য হরতাল কল (আহ্বান) করার সময় এই নাশকতাটা আরও বেশি হয়েছে। তার থেকে আমরা (নাশকতার পরিমাণ) অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি কি না, সেটি আপনারা দেখবেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগামী ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেই প্রস্তুতি, আরও তো অনেক সময় রয়ে গেছে। আমাদের প্রস্তুতি রয়ে গেছে, আমাদের ট্রেনিং হচ্ছে, আমরা ট্রেনিং করিয়ে দিচ্ছি। আমরা তো প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছি। আল্লায় দিলে (নির্বাচন) করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে আমরা শুনলাম, তারা কীভাবে কাজ করছেন, আগে কী পরিস্থিতি ছিল, এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে। তারা ফিডব্যাক দিয়েছেন, তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তারা বললেন যে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি হয়নি, সেটি আপনারা বলতে পারবেন।’
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।