বিডিজেন ডেস্ক
আট বছর সৌদি আরবে থেকে মাসখানেক আগে দেশে ফেরেন মো. শওকত হোসেন (৩৪)। সঙ্গে এনেছিলেন ১৪ হাজার সৌদি রিয়াল। সেগুলো বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করে বাড়িতে ঘর করার কাজ করতে চেয়েছিলেন। কয়েক দিন আগে মুঠোফোনে কথা বলে এক নারীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ফাঁদে পড়ে সব টাকা খোয়ান তিনি। পরে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর অভিযান চালিয়ে চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবর প্রথম আলোর।
ভুক্তভোগী প্রবাসী শওকত হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম খলিলুর রহমান ওরফে সজল মিয়া (২৪)। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, চুরি, মাদকসহ ছয়টি মামলা আছে কোতোয়ালি থানায়। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে নগরের পাটগুদাম আটাআনি পুকুরপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শওকত দেশে ফেরার পর নগরের পাটগুদাম আটাআনি পুকুরপাড় এলাকার রকি মিয়ার স্ত্রী রুমা আক্তারের (২৫) সঙ্গে মুঠোফোনে কথাবার্তা হয়। ওই নারী প্রথমে শওকতকে ফোন করে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেন। নিজের বাড়ি ফুলবাড়িয়া ও শওকতের এক আত্মীয়ের বাড়ির পাশের বাড়ির বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। এরপর দুজনের মধ্যে কয়েক দিন মুঠোফোনে কথা হয়।
গতকাল (শনিবার) বিকেলে শওকত তাঁর চাচাতো ভাই রিয়াজকে নিয়ে ১৪ হাজার রিয়াল ভাঙাতে ময়মনসিংহ শহরে আসেন। বিদেশি মুদ্রা ভাঙিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু শহরে আসার পর রুমা তাঁদের দুজনকে বাসায় দাওয়াত করে নিয়ে যান।
শওকত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা দুই ভাই পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় একটি হোটেলে নাশতা করার সময় রুমা ফোন করে তাঁর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। বাসা না চেনায় নিজে এসে এগিয়ে নিয়ে যান। বাসায় বেড়াতে যাচ্ছেন দেখে তাঁরা দুই কেজি আম ও বিস্কুট নিয়ে যান। তারপর দোতলা বাসার নিচতলার একটি কক্ষে নিয়ে তাঁদের আম কেটে খেতে দেন। এরপর নাশতা তৈরির কথা বলে কক্ষের বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন। ২০ মিনিট পর এক যুবক এসে ‘খারাপ করতে এসেছি’ বলে গালাগাল শুরু করেন। পরে আরও একজন যুক্ত হন। হত্যার হুমকি দিয়ে চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন।
শওকত হোসেন আরও বলেন, ওই অবস্থা চলার এক ঘণ্টা পর রুমা এসে তাঁদের বলেন, ‘ওরা যা চায় দিয়ে দেন।’ তখন দুজনের পকেট থেকে দুটি মুঠোফোন, বিদেশি মুদ্রা, ১১ হাজার রিয়াল নিয়ে নেন। মুক্তি দিতে বাড়ি থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরও ২০ হাজার টাকা নেন। মুক্তি দেওয়ার আগে ইয়াবা সামনে রেখে দুজনের ছবি ও ভিডিও, নারীর সঙ্গে ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। পাশাপাশি সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসা থেকে বের করে পাকা সড়কের কাছে এনে একটি রিকশায় তুলে দেন।
আজ (রোববার) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানা চত্বরে কথা হয় শওকতের চাচাতো ভাই রিয়াজ আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের রিকশায় তুলে দেওয়ার পর কিছু দূর যাওয়ার পর আমরা দৌড়ে থানায় যাই। পরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ আমাদের সঙ্গে নিয়ে বাসাটিতে অভিযানে যায়। তখন পুলিশ ওই বাসা থেকে খলিলুর রহমানকে আটক করে। কিন্তু রকি মিয়া ও তাঁর স্ত্রী রুমা পালিয়ে যায়।’
পুলিশ জানায়, রকি মিয়ার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদক আইনে দুটি মামলা আছে। রুমা আক্তার ২০২৪ সালের মার্চ ও এপ্রিলে দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ রেখে প্রবাসফেরত ও অর্থবিত্ত আছে এমন লোককে টার্গেট করে মুঠোফোনের নম্বর সংগ্রহ করে ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর বাসায় আটকে জিম্মি করে টাকা আদায় করতেন।
এ ঘটনায় শওকত হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন। তিনি বলেন, চক্রের অন্য দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।
সূত্র: প্রথম আলো
আট বছর সৌদি আরবে থেকে মাসখানেক আগে দেশে ফেরেন মো. শওকত হোসেন (৩৪)। সঙ্গে এনেছিলেন ১৪ হাজার সৌদি রিয়াল। সেগুলো বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করে বাড়িতে ঘর করার কাজ করতে চেয়েছিলেন। কয়েক দিন আগে মুঠোফোনে কথা বলে এক নারীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ফাঁদে পড়ে সব টাকা খোয়ান তিনি। পরে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর অভিযান চালিয়ে চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবর প্রথম আলোর।
ভুক্তভোগী প্রবাসী শওকত হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম খলিলুর রহমান ওরফে সজল মিয়া (২৪)। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, চুরি, মাদকসহ ছয়টি মামলা আছে কোতোয়ালি থানায়। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে নগরের পাটগুদাম আটাআনি পুকুরপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শওকত দেশে ফেরার পর নগরের পাটগুদাম আটাআনি পুকুরপাড় এলাকার রকি মিয়ার স্ত্রী রুমা আক্তারের (২৫) সঙ্গে মুঠোফোনে কথাবার্তা হয়। ওই নারী প্রথমে শওকতকে ফোন করে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেন। নিজের বাড়ি ফুলবাড়িয়া ও শওকতের এক আত্মীয়ের বাড়ির পাশের বাড়ির বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। এরপর দুজনের মধ্যে কয়েক দিন মুঠোফোনে কথা হয়।
গতকাল (শনিবার) বিকেলে শওকত তাঁর চাচাতো ভাই রিয়াজকে নিয়ে ১৪ হাজার রিয়াল ভাঙাতে ময়মনসিংহ শহরে আসেন। বিদেশি মুদ্রা ভাঙিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু শহরে আসার পর রুমা তাঁদের দুজনকে বাসায় দাওয়াত করে নিয়ে যান।
শওকত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা দুই ভাই পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় একটি হোটেলে নাশতা করার সময় রুমা ফোন করে তাঁর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। বাসা না চেনায় নিজে এসে এগিয়ে নিয়ে যান। বাসায় বেড়াতে যাচ্ছেন দেখে তাঁরা দুই কেজি আম ও বিস্কুট নিয়ে যান। তারপর দোতলা বাসার নিচতলার একটি কক্ষে নিয়ে তাঁদের আম কেটে খেতে দেন। এরপর নাশতা তৈরির কথা বলে কক্ষের বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন। ২০ মিনিট পর এক যুবক এসে ‘খারাপ করতে এসেছি’ বলে গালাগাল শুরু করেন। পরে আরও একজন যুক্ত হন। হত্যার হুমকি দিয়ে চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন।
শওকত হোসেন আরও বলেন, ওই অবস্থা চলার এক ঘণ্টা পর রুমা এসে তাঁদের বলেন, ‘ওরা যা চায় দিয়ে দেন।’ তখন দুজনের পকেট থেকে দুটি মুঠোফোন, বিদেশি মুদ্রা, ১১ হাজার রিয়াল নিয়ে নেন। মুক্তি দিতে বাড়ি থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরও ২০ হাজার টাকা নেন। মুক্তি দেওয়ার আগে ইয়াবা সামনে রেখে দুজনের ছবি ও ভিডিও, নারীর সঙ্গে ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। পাশাপাশি সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসা থেকে বের করে পাকা সড়কের কাছে এনে একটি রিকশায় তুলে দেন।
আজ (রোববার) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানা চত্বরে কথা হয় শওকতের চাচাতো ভাই রিয়াজ আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের রিকশায় তুলে দেওয়ার পর কিছু দূর যাওয়ার পর আমরা দৌড়ে থানায় যাই। পরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ আমাদের সঙ্গে নিয়ে বাসাটিতে অভিযানে যায়। তখন পুলিশ ওই বাসা থেকে খলিলুর রহমানকে আটক করে। কিন্তু রকি মিয়া ও তাঁর স্ত্রী রুমা পালিয়ে যায়।’
পুলিশ জানায়, রকি মিয়ার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদক আইনে দুটি মামলা আছে। রুমা আক্তার ২০২৪ সালের মার্চ ও এপ্রিলে দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ রেখে প্রবাসফেরত ও অর্থবিত্ত আছে এমন লোককে টার্গেট করে মুঠোফোনের নম্বর সংগ্রহ করে ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর বাসায় আটকে জিম্মি করে টাকা আদায় করতেন।
এ ঘটনায় শওকত হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন। তিনি বলেন, চক্রের অন্য দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।
সূত্র: প্রথম আলো
বিদেশে ভালো বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৪ জন ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ থাকায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের আওতায় ৫ জেলার ১১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা ও রাজশাহীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। তারা ২ জন মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জনের মৃত্যু হলো।