logo
খবর

মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে নরসিংদীতে মানববন্ধন

বিডিজেন ডেস্ক
বিডিজেন ডেস্ক৩০ জানুয়ারি ২০২৫
Copied!
মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে নরসিংদীতে মানববন্ধন
সুফি দরবার, মাজার ও আখড়ায় উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, পাগল ফকিরদের হত্যা ও ওরশ মাহফিল আয়োজনে বাধা সৃষ্টির প্রতিবাদে নরসিংদীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা। ছবি: সংগৃহীত

সুফি দরবার, মাজার ও আখড়ায় উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, পাগল ফকিরদের হত্যা ও ওরশ মাহফিল আয়োজনে বাধা সৃষ্টির প্রতিবাদে নরসিংদীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

খবর বার্তা সংস্থা ইউএনবির।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ব সুফি সংস্থার আয়োজনে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন বিভিন্ন দরবার, মাজার ও আখড়ার ভক্তরা। কয়েক হাজার লোকের এ মানববন্ধনে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন দরবার ও খানকার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, সারাদেশে প্রায় ১০০টি মাজার ভাঙচুর, বিভিন্ন দরবারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করছে একটি ধর্মান্ধ গোষ্ঠী। কিন্তু প্রশাসন এ গোষ্ঠীকে থামাবার জন্য কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। সম্প্রতি দু-একজন উপদেষ্টা এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

তারা আরও বলেন, কোনো মাজারে কিংবা দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলে তা মেনে নেওয়া হবে না। 

কোনো মাজার ভাঙচুর না করতে ও মাজার সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

নরসিংদী জেলাতেও ৩টি মাজার ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ব সুফি সংস্থা। তারা বলেছে, সুফিবাদ একটি শান্তিপ্রিয় ধর্ম পালনকারী গোষ্ঠীর নাম। এ নামে সুফিরা কারও বিরুদ্ধে লাঠি ধরে বদনাম নিতে চায় না। আলেম নামের জালেমরা যেভাবে বিভিন্ন স্থানে মাজার ও দরবারে হামলা ভাঙচুর করছে, তার প্রতিবাদ করতে সুফিরা যদি নেমে যায়, তা হলে আলেমরা পালানোর জায়গা পাবেন না।

সাড়ে ৫ মাসে ৪০টি মাজারে হামলার ঘটনায় ২৩ জন গ্রেফতার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

এদিকে ১৮ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সাড়ে ৫ মাসে ৪০টি মাজার ও তার সাথে সম্পর্কিত ৪৪টি স্থাপনা ভাঙচুর ও হামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

মাজার ও দরগাহে হামলার ঘটনায় পুলিশের প্রতিবেদনের বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ পুলিশ ৪ অগাস্ট ২০২৪ থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৪০টি মাজার ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত ৪৪টি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা রিপোর্ট পেয়েছে।"

এসব স্থাপনার মধ্যে সুফি সমাধিক্ষেত্র/দরগাহ আছে।

এসব হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং, গ্রেফতার হয়েছে ২৩ জন।

প্রেস উইং জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ১৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি হামলার ঘটনা ঘটে।

শেরপুর জেলায় একই মাজারে চার দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এসব হামলার ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়রি নথিভুক্ত হয়েছে।

প্রেস উইং বলেছে, মাজারে যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।

এর আগে ৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, মাজার বা কাওয়ালীতে হামলার ঘটনায় ছাড় দেওয়া হবে না।

২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, "অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থান এবং সুফি মাজারগুলোতে যেকোনো ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।"

আরও পড়ুন

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এ পর্যন্ত নিহত ৬৩৯: হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এ পর্যন্ত নিহত ৬৩৯: হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক হাজার ৩২০ জনের বেশি। ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত সপ্তম দিনের মতো চলছে।

৩২ মিনিট আগে

তেহরান থেকে পাকিস্তান হয়ে ফিরবেন বাংলাদেশিরা

তেহরান থেকে পাকিস্তান হয়ে ফিরবেন বাংলাদেশিরা

ইরান–ইসরায়েলের সংঘাত অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে যেসব ব্যক্তি দেশে ফিরতে চান, তাদের সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তেহরান থেকে প্রথমে এসব ব্যক্তিদের স্থলপথে ইরান–পাকিস্তান সীমান্তে নেওয়া হতে পারে। তারপর পাকিস্তান থেকে আকাশপথে ফেরানো হতে পারে বাংলাদেশে।

৪০ মিনিট আগে

দক্ষিণ আফ্রিকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু

দক্ষিণ আফ্রিকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু

দক্ষিণ আফ্রিকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মো. মমিন হোসেন নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ জুন) রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মমিন। পরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

১১ ঘণ্টা আগে

পিকেএসএফের বর্তমান কর্মকৌশলে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের পরামর্শ অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের

পিকেএসএফের বর্তমান কর্মকৌশলে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের পরামর্শ অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের

পিকেএসএফের প্রতিষ্ঠাকালে পল্লী অঞ্চলের আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোগত বাস্তবতা এবং বর্তমানে সেখানকার চিত্র এক নয়; বিধায়, শীর্ষ এ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষেত্র, কর্মপরিধি ও কর্মপন্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে।

১১ ঘণ্টা আগে