বিডিজেন ডেস্ক
অনেক দিন পর গ্রামে বউ নিয়ে হাজির জোবায়েদ আহমেদ জয় (৩৭)। পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক স্ত্রী কুলসুম খাতুনের (৩৫) পরনে। জয় সবাইকে জানালেন, তাঁর স্ত্রী থাকেন ইতালিতে। সেখানে দুই শ্যালকের কারখানা আছে। কেউ চাইলে তাকে ইতালি নিয়ে ভালো বেতনে কাজ দেওয়া হবে। ইতালি যাওয়ার আশায় সরল বিশ্বাসে গ্রামের অনেকেই জয় ও কুলসুমের হাতে তুলে দিয়েছেন মোটা টাকা। এরপর লাপাত্তা হয়ে গেছেন এই `প্রতারক’ দম্পতি।
খবর আজকের পত্রিকার।
প্রতারণার এমন ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। এলাকাটি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঠিক বিপরীতে, পদ্মা নদীর ওপারে। প্রতারক কুলসুম খাতুন স্বামীর সঙ্গে ওই এলাকায় গিয়ে তাঁর নাম জানিয়েছিলেন ‘মুনিয়া’। তাঁর বাবার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে। এই গ্রামে তিনি কুলসুম নামেই পরিচিত। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম মিয়া ওরফে টেনু। কুলসুমের বহুবিবাহের অভ্যাস আছে। তাই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
দৌলতপুরে যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন শুভ বিশ্বাস মানিক (২৫) ও জাহিদ হাসান (২৩)। জাহিদ পেশায় কাঠমিস্ত্রি। আর শুভ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেক্ট্রিক্যালে ডিপ্লোমা করেছেন। দুজনের বাড়িই দৌলতপুর উপজেলা সদরে। কুলসুমকে খুঁজতে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাহিদ, মানিক ও তাঁর বাবা রতন কুমার বিশ্বাস পবার তেবাড়িয়ায় আসেন।
তাঁরা জানান, ইতালি যাওয়ার জন্য গত বছরের ২৪ নভেম্বর কুলসুমের রূপালী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৫ লাখ টাকা জমা দিয়েছিলেন জাহিদ হাসান। টাকা জমা দেওয়ার রশিদ তাঁদের হাতেই ছিল। সেখান থেকে ব্যাংক হিসাব নম্বরের সূত্র ধরে কুলসুমের জাতীয় পরিচয়পত্র বের করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা ঠিকানা নিয়ে তাঁরা রাজশাহী এসেছেন। কিন্তু এখানেও কুলসুমকে পাননি। বাড়ি গিয়ে কুলসুমের বাবা টেনুর সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়েছে।
টেনু জানিয়েছেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নেই। তাঁকে পেলে যেন তাঁরা টাকা আদায় করে নেন। জাহিদ ও মানিক দাবি করেন, এলাকায় গিয়ে তাঁরা শুনেছেন কুলসুমের বহুবিবাহের অভ্যাস আছে। এ পর্যন্ত পাঁচ-ছয়টি বিয়ের কথা এলাকার লোকজন জানেন।
জাহিদ ব্যাংকের মাধ্যমে কুলসুমকে টাকা দিলেও মানিক দিয়েছিলেন নগদ। তিনিও খুইয়েছেন ৫ লাখ টাকা। মানিক জানান, কুলসুমের সর্বশেষ স্বামী জোবায়েদের বাড়ি দৌলতপুর গ্রামে। তবে গত বছরের শেষের দিকে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে দৌলতপুর থানার পাশেই একটি বাসা ভাড়া নেন। সেখানে এসে দুজনে এলাকার লোকজনের সঙ্গে মিশে যান। কুলসুমের পোশাক-আশাক ছিল পশ্চিমা ধাঁচের। তাঁর নাম জানাতেন মুনিয়া। বলতেন, তিনি ইতালিতে থাকেন। সেখানে তাঁর দুই ভাইয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কারখানা আছে। যাঁরা ইতালি যেতে চান, তিনি তাঁদের সবাইকেই ইতালি নিয়ে যাবেন। ভালো কাজ দেবেন। মোট ১৭ লাখ টাকা খরচ হবে। অর্ধেক বাংলাদেশেই দিতে হবে। বাকি অর্ধেক ইতালিতে বেতন থেকে কাটা হবে।
ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখে এলাকার অনেক যুবক জোবায়েদ ও কুলসুমের হাতে ৫-৭ লাখ টাকা করে তুলে দেন। জোবায়েদ ও কুলসুম এলাকায় চার মাস ছিলেন। ইতালি যেতে যাঁরা টাকা দেন, তাঁদের পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা আনতে যাওয়ার কথা বলে গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা এলাকা ছাড়েন। এরপর যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এখন এলাকার লোকজন তাঁদের খুঁজে পাচ্ছেন না।
মানিক ও জাহিদ আরও জানান, তাঁরা জোবায়েদের বাবার বাড়িও গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েও বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। গোপনে জায়গা-জমি বিক্রি করে তাঁরা সপরিবারে পালিয়েছেন। তাঁরা নিজ আত্মীয়স্বজনেরও টাকা হাতিয়েছেন ইতালি নেওয়ার কথা বলে। এ ছাড়া দৌলতপুর বাজারের ব্যবসায়ী আরেজ উদ্দিনের জুয়েলার্সের দোকান থেকে ২ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে টাকা না দিয়েই পালিয়েছেন কুলসুম। সব মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে তাঁরা লাপাত্তা।
মানিকের বাবা রতন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘দৌলতপুরে আমার ছোট একটা ব্যবসা ছিল। ছেলেটা পড়াশোনা করে চাকরি পায়নি। তাই ব্যবসার সব টাকা টেনে বিদেশ যাওয়ার জন্য দিয়েছিলাম। এখন ছেলে বিদেশও যেতে পারেনি, আমার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ। এখন খুব কষ্টে পড়ে গেছি। আমরা চাই প্রশাসন যেন এদের খুঁজে বের করে।’
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য জোবায়েদ আহমেদ জয়ের ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি। ভুক্তভোগী মানিক ও জাহিদের কাছে এই দম্পতির চারটি মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। সবগুলো নম্বরই বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কুলসুম খাতুন ওরফে মুনিয়াকে পাওয়া গেছে। হোয়াটসঅ্যাপের আইডিতে তখন ইতালির একটি লাল পাসপোর্টের ছবি দেখা যায়। পরপর দুবার ফোন করা হলে তিনি প্রথমে কেটে দেন। পরে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাংলাদেশি পাসপোর্টের ডেলিভারি স্লিপের ছবি পাঠানো হলে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এই প্রতিবেদককে ফোন করেন।
তিনি ইতালি নিয়ে যাওয়ার নামে দৌলতপুরে প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেন। হোয়াটসঅ্যাপের আইডিতে ইতালির লাল পাসপোর্টের ছবি থাকার কারণ জানতে চাইলে কুলসুম খাতুন দাবি করেন, এই পাসপোর্ট তার। পাঁচ মাস আগে তিনি ইতালি চলে গেছেন। এখন আছেন রোমে। তিনি বাংলাদেশেই কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘বাংলাদেশে তো খুঁজে বের করেন।’
এর পরই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর তিনি হোয়াটসঅ্যাপ আইডি থেকে ইতালির লাল পাসপোর্টের ছবিটি সরিয়ে দেন। পরে হোয়াটসঅ্যাপেও আর সংযোগ মেলেনি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম প্রতারণার বিষয়টি আমার নলেজে নেই। হয়তো আমি আসার আগে ঘটেছে। এ রকম কোনো অভিযোগও আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সূত্র: আজকের পত্রিকা
অনেক দিন পর গ্রামে বউ নিয়ে হাজির জোবায়েদ আহমেদ জয় (৩৭)। পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক স্ত্রী কুলসুম খাতুনের (৩৫) পরনে। জয় সবাইকে জানালেন, তাঁর স্ত্রী থাকেন ইতালিতে। সেখানে দুই শ্যালকের কারখানা আছে। কেউ চাইলে তাকে ইতালি নিয়ে ভালো বেতনে কাজ দেওয়া হবে। ইতালি যাওয়ার আশায় সরল বিশ্বাসে গ্রামের অনেকেই জয় ও কুলসুমের হাতে তুলে দিয়েছেন মোটা টাকা। এরপর লাপাত্তা হয়ে গেছেন এই `প্রতারক’ দম্পতি।
খবর আজকের পত্রিকার।
প্রতারণার এমন ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। এলাকাটি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঠিক বিপরীতে, পদ্মা নদীর ওপারে। প্রতারক কুলসুম খাতুন স্বামীর সঙ্গে ওই এলাকায় গিয়ে তাঁর নাম জানিয়েছিলেন ‘মুনিয়া’। তাঁর বাবার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে। এই গ্রামে তিনি কুলসুম নামেই পরিচিত। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম মিয়া ওরফে টেনু। কুলসুমের বহুবিবাহের অভ্যাস আছে। তাই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
দৌলতপুরে যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন শুভ বিশ্বাস মানিক (২৫) ও জাহিদ হাসান (২৩)। জাহিদ পেশায় কাঠমিস্ত্রি। আর শুভ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেক্ট্রিক্যালে ডিপ্লোমা করেছেন। দুজনের বাড়িই দৌলতপুর উপজেলা সদরে। কুলসুমকে খুঁজতে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাহিদ, মানিক ও তাঁর বাবা রতন কুমার বিশ্বাস পবার তেবাড়িয়ায় আসেন।
তাঁরা জানান, ইতালি যাওয়ার জন্য গত বছরের ২৪ নভেম্বর কুলসুমের রূপালী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৫ লাখ টাকা জমা দিয়েছিলেন জাহিদ হাসান। টাকা জমা দেওয়ার রশিদ তাঁদের হাতেই ছিল। সেখান থেকে ব্যাংক হিসাব নম্বরের সূত্র ধরে কুলসুমের জাতীয় পরিচয়পত্র বের করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা ঠিকানা নিয়ে তাঁরা রাজশাহী এসেছেন। কিন্তু এখানেও কুলসুমকে পাননি। বাড়ি গিয়ে কুলসুমের বাবা টেনুর সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়েছে।
টেনু জানিয়েছেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নেই। তাঁকে পেলে যেন তাঁরা টাকা আদায় করে নেন। জাহিদ ও মানিক দাবি করেন, এলাকায় গিয়ে তাঁরা শুনেছেন কুলসুমের বহুবিবাহের অভ্যাস আছে। এ পর্যন্ত পাঁচ-ছয়টি বিয়ের কথা এলাকার লোকজন জানেন।
জাহিদ ব্যাংকের মাধ্যমে কুলসুমকে টাকা দিলেও মানিক দিয়েছিলেন নগদ। তিনিও খুইয়েছেন ৫ লাখ টাকা। মানিক জানান, কুলসুমের সর্বশেষ স্বামী জোবায়েদের বাড়ি দৌলতপুর গ্রামে। তবে গত বছরের শেষের দিকে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে দৌলতপুর থানার পাশেই একটি বাসা ভাড়া নেন। সেখানে এসে দুজনে এলাকার লোকজনের সঙ্গে মিশে যান। কুলসুমের পোশাক-আশাক ছিল পশ্চিমা ধাঁচের। তাঁর নাম জানাতেন মুনিয়া। বলতেন, তিনি ইতালিতে থাকেন। সেখানে তাঁর দুই ভাইয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কারখানা আছে। যাঁরা ইতালি যেতে চান, তিনি তাঁদের সবাইকেই ইতালি নিয়ে যাবেন। ভালো কাজ দেবেন। মোট ১৭ লাখ টাকা খরচ হবে। অর্ধেক বাংলাদেশেই দিতে হবে। বাকি অর্ধেক ইতালিতে বেতন থেকে কাটা হবে।
ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখে এলাকার অনেক যুবক জোবায়েদ ও কুলসুমের হাতে ৫-৭ লাখ টাকা করে তুলে দেন। জোবায়েদ ও কুলসুম এলাকায় চার মাস ছিলেন। ইতালি যেতে যাঁরা টাকা দেন, তাঁদের পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা আনতে যাওয়ার কথা বলে গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা এলাকা ছাড়েন। এরপর যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এখন এলাকার লোকজন তাঁদের খুঁজে পাচ্ছেন না।
মানিক ও জাহিদ আরও জানান, তাঁরা জোবায়েদের বাবার বাড়িও গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েও বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। গোপনে জায়গা-জমি বিক্রি করে তাঁরা সপরিবারে পালিয়েছেন। তাঁরা নিজ আত্মীয়স্বজনেরও টাকা হাতিয়েছেন ইতালি নেওয়ার কথা বলে। এ ছাড়া দৌলতপুর বাজারের ব্যবসায়ী আরেজ উদ্দিনের জুয়েলার্সের দোকান থেকে ২ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে টাকা না দিয়েই পালিয়েছেন কুলসুম। সব মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে তাঁরা লাপাত্তা।
মানিকের বাবা রতন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘দৌলতপুরে আমার ছোট একটা ব্যবসা ছিল। ছেলেটা পড়াশোনা করে চাকরি পায়নি। তাই ব্যবসার সব টাকা টেনে বিদেশ যাওয়ার জন্য দিয়েছিলাম। এখন ছেলে বিদেশও যেতে পারেনি, আমার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ। এখন খুব কষ্টে পড়ে গেছি। আমরা চাই প্রশাসন যেন এদের খুঁজে বের করে।’
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য জোবায়েদ আহমেদ জয়ের ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি। ভুক্তভোগী মানিক ও জাহিদের কাছে এই দম্পতির চারটি মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। সবগুলো নম্বরই বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কুলসুম খাতুন ওরফে মুনিয়াকে পাওয়া গেছে। হোয়াটসঅ্যাপের আইডিতে তখন ইতালির একটি লাল পাসপোর্টের ছবি দেখা যায়। পরপর দুবার ফোন করা হলে তিনি প্রথমে কেটে দেন। পরে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাংলাদেশি পাসপোর্টের ডেলিভারি স্লিপের ছবি পাঠানো হলে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এই প্রতিবেদককে ফোন করেন।
তিনি ইতালি নিয়ে যাওয়ার নামে দৌলতপুরে প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেন। হোয়াটসঅ্যাপের আইডিতে ইতালির লাল পাসপোর্টের ছবি থাকার কারণ জানতে চাইলে কুলসুম খাতুন দাবি করেন, এই পাসপোর্ট তার। পাঁচ মাস আগে তিনি ইতালি চলে গেছেন। এখন আছেন রোমে। তিনি বাংলাদেশেই কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘বাংলাদেশে তো খুঁজে বের করেন।’
এর পরই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর তিনি হোয়াটসঅ্যাপ আইডি থেকে ইতালির লাল পাসপোর্টের ছবিটি সরিয়ে দেন। পরে হোয়াটসঅ্যাপেও আর সংযোগ মেলেনি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম প্রতারণার বিষয়টি আমার নলেজে নেই। হয়তো আমি আসার আগে ঘটেছে। এ রকম কোনো অভিযোগও আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সূত্র: আজকের পত্রিকা
রাজধানী ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
অঘোষিত ফাইনালে রূপ নেওয়া লড়াইয়ে মোসাম্মৎ সাগরিকা একাই করলেন হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল। তার চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে যারা নিজেদের ফায়দা হাসিল করতে চায়, তারাই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে বাধা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তৌকিরের পরিবার যে বাসায় ভাড়া থাকেন তার মালিক আতিকুল ইসলাম জানান, তৌকির প্রথমবারের মতো একা প্রশিক্ষণ বিমান চালাবেন- এই খবরে পুরো পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দুপুরের পর তারা বিমান বিধ্বস্তের খবর পান।