প্রতিবেদক, বিডিজেন
এমএলএম (বহুধাপ বিপণন) প্রতিষ্ঠান ডেসটিনির ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীকসহ ১৯ জনের ১২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক রবিউল আলম বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন—মোহাম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ গোফরানুল হক, সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, শেখ তৈয়েবুর রহমান, গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা, জামসেদ আরা চৌধুরী, মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, মো. জাকির হোসেন, মো. আবুল কালাম আজাদ, এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল, আব্দুল মান্নান ও মোসাদ্দেক আলী খান।
অভিযুক্তদের মধ্যে রফিকুল আমীন, তাঁর স্ত্রী ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেন কারাগারে আছেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
জামিনে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন–অব–রশীদ বীর প্রতীকও আদালতে হাজির হন। অপর ১৫ অভিযুক্ত পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
রায়ে ১২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত অভিযুক্তদের ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে অভিযুক্তদের এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড পরিশোধ না করলে জেলা প্রশাসনকে অর্থদণ্ড আদায় করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আইনে থাকা সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছে আদালত। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।
২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর রাষ্ট্র ও অভিযুক্তপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ১৫ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করে।
এর আগে ২০২২ সালের ১৫ মে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীকসহ ৪৬ অভিযুক্তকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় আদালত।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। রাজধানীর কলাবাগান থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
দুই মামলায় মোট অভিযুক্তর সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুই মামলাতেই রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল।
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় দণ্ড পাওয়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমান, মেজবাহ উদ্দিন, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ, ফারাহ দিবা, জামসেদ আরা চৌধুরী, শেখ তৈয়েবুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সাইদুল ইসলাম খান, সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মজিবুর রহমান, দিদারুল আলম, এম হায়দার উজ্জামান, জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, শফিউল ইসলাম, জিয়াউল হক মোল্লা, সিকদার কবিরুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সুনীল বরণ কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান, সাকিবুজ্জামান, এস এম আহসানুল কবির, এ এইচ এম আতাউর রহমান, জি এম গোলাম কিবরিয়া, আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমদ, এ কে এম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, দেলোয়ার হোসেন, জেসমিন আক্তার ও শফিকুল হক।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এই অর্থ আত্মসাতের কারণে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।
অপর মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী। এ মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই টাকার মধ্যে এলসি (ঋণপত্র) হিসেবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা ও সরাসরি পাচার করা হয় ২ লাখ ৬ হাজার ইউএস ডলার।
মামলা করার ৪ বছরের মাথায় ২০১৬ সালের ২৪ অগাস্ট রফিকুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।
কারামুক্ত হয়েছেন রফিকুল আমীন
এদিকে ১২ বছর পর কারামুক্ত হয়েছেন ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস-ঢাকা বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবির ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রফিকুল আমীন কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।
রফিকুল আমীন ১২ বছর ধরে কারাগারে আছেন। রায়ে আদালত জানায়, কারাগারে থাকার বয়স সাজা থেকে বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে রফিকুল আমীনের সাজা হয়ে গেছে।
রফিকুল আমীনের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এমএলএম (বহুধাপ বিপণন) প্রতিষ্ঠান ডেসটিনির ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীকসহ ১৯ জনের ১২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক রবিউল আলম বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন—মোহাম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ গোফরানুল হক, সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, শেখ তৈয়েবুর রহমান, গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা, জামসেদ আরা চৌধুরী, মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, মো. জাকির হোসেন, মো. আবুল কালাম আজাদ, এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল, আব্দুল মান্নান ও মোসাদ্দেক আলী খান।
অভিযুক্তদের মধ্যে রফিকুল আমীন, তাঁর স্ত্রী ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেন কারাগারে আছেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
জামিনে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন–অব–রশীদ বীর প্রতীকও আদালতে হাজির হন। অপর ১৫ অভিযুক্ত পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
রায়ে ১২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত অভিযুক্তদের ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে অভিযুক্তদের এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড পরিশোধ না করলে জেলা প্রশাসনকে অর্থদণ্ড আদায় করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আইনে থাকা সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছে আদালত। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।
২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর রাষ্ট্র ও অভিযুক্তপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ১৫ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করে।
এর আগে ২০২২ সালের ১৫ মে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীকসহ ৪৬ অভিযুক্তকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় আদালত।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। রাজধানীর কলাবাগান থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
দুই মামলায় মোট অভিযুক্তর সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুই মামলাতেই রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল।
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় দণ্ড পাওয়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমান, মেজবাহ উদ্দিন, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ, ফারাহ দিবা, জামসেদ আরা চৌধুরী, শেখ তৈয়েবুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সাইদুল ইসলাম খান, সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মজিবুর রহমান, দিদারুল আলম, এম হায়দার উজ্জামান, জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, শফিউল ইসলাম, জিয়াউল হক মোল্লা, সিকদার কবিরুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সুনীল বরণ কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান, সাকিবুজ্জামান, এস এম আহসানুল কবির, এ এইচ এম আতাউর রহমান, জি এম গোলাম কিবরিয়া, আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমদ, এ কে এম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, দেলোয়ার হোসেন, জেসমিন আক্তার ও শফিকুল হক।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এই অর্থ আত্মসাতের কারণে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।
অপর মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী। এ মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই টাকার মধ্যে এলসি (ঋণপত্র) হিসেবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা ও সরাসরি পাচার করা হয় ২ লাখ ৬ হাজার ইউএস ডলার।
মামলা করার ৪ বছরের মাথায় ২০১৬ সালের ২৪ অগাস্ট রফিকুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।
কারামুক্ত হয়েছেন রফিকুল আমীন
এদিকে ১২ বছর পর কারামুক্ত হয়েছেন ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস-ঢাকা বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবির ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রফিকুল আমীন কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।
রফিকুল আমীন ১২ বছর ধরে কারাগারে আছেন। রায়ে আদালত জানায়, কারাগারে থাকার বয়স সাজা থেকে বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে রফিকুল আমীনের সাজা হয়ে গেছে।
রফিকুল আমীনের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দ্বীপে কোনো ফায়ার সার্ভিস না থাকায় আগুনে এই বড় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে শাবলের আঘাতে নুরুন্নবী (২০) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে আটকে রেখে মারধর করেছে এলাকাবাসী। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।
ডেসটিনির ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও কোম্পানির প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব. এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীকসহ ১৯ জনের ১২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।